রায়গঞ্জে স্বাস্থ্যসমঞ্চত শৌচাগার দেওয়ার নামে প্রতারণা!
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ১০টি গ্রামের
শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারকে স্বাস্থ্যসমঞ্চত শৌচাগার দেওয়ার নামে প্রতারণা
করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গেছে একটি চক্র।
উপজেলার চান্দাইকোনা
ইউনিয়নের ঝিনাইদহপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন,
‘অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে ভালো একটি শৌচাগার পাওয়ার আশায় তাদের হাতে ৩০০
টাকা তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই যে টাকা নিয়ে গেছে আর আসার খবর নাই।’
পূর্বপাইকড়া গ্রামের গৃহবধূ নূরনাহার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের ভালো শৌচাগার দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে চলে গেছে।’ একই গ্রামের নজির উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, আয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী আর্জিনা বেগম, সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আর্জিনা বেগম, হায়দার আলীর স্ত্রী শাহানাজ বেগম প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পূর্বপাইকড়া, ডুমরাই দক্ষিণপাড়া, সরাইদহ, চরপাড়া, ঝিনাইদহপাড়াসহ ১০টি গ্রামে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে ওয়াস নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাঠকর্মীর পরিচয়ে কয়েকজন লোক পরিবারপ্রতি ৩০০ টাকা করে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়াস স্যানিটেশন প্রোগ্রাম ২০১৩, স্থান উপজেলা পরিষদ শীর্ষক একটি কার্ডে গ্রাহকের নাম-পরিচয় লিখে স্বাস্থ্যসমঞ্চত শৌচাগার দেওয়ার খরচ বাবদ ৩০০ টাকা নেওয়ার একটি রসিদ গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসমঞ্চত শৌচাগারের জন্য যেসব সামগ্রী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো আটটি রিং, দুটি স্লাব, দুটি সাবান, একটি সাবান কেস, একটি পানির ফিল্টার, একটি বদনা, একটি পানির পাত্র, বেড়া দেওয়ার জন্য নয়টি ঢেউটিন ও ছয়টি পাকা খুঁটি।
পূর্বপাইকড়া গ্রামের আবদুস সাত্তার সেখ জানান, এনজিওর পরিচয় দিয়ে এ কয়েকটি গ্রামের এক শর বেশি পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর দীর্ঘদিন পার হলেও সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মীদের দেখা না পেয়ে তাদের দেওয়া মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতারণার বিষয়টি তখনই ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস জানান, সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর প্রতারক তাদের ঠকাচ্ছে। তিনি এ জন্য ইউনিয়নবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং এ ধরনের সুযোগসুবিধা নিয়ে যারা কাজ করতে আসে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ শাহ্ বলেন, ‘ওয়াস নামে কোনো এনজিও এ উপজেলায় কাজ করে বলে আমার জানা নেই।’ এ রকম প্রতারকদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান।
পূর্বপাইকড়া গ্রামের গৃহবধূ নূরনাহার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের ভালো শৌচাগার দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে চলে গেছে।’ একই গ্রামের নজির উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, আয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী আর্জিনা বেগম, সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আর্জিনা বেগম, হায়দার আলীর স্ত্রী শাহানাজ বেগম প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পূর্বপাইকড়া, ডুমরাই দক্ষিণপাড়া, সরাইদহ, চরপাড়া, ঝিনাইদহপাড়াসহ ১০টি গ্রামে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে ওয়াস নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাঠকর্মীর পরিচয়ে কয়েকজন লোক পরিবারপ্রতি ৩০০ টাকা করে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়াস স্যানিটেশন প্রোগ্রাম ২০১৩, স্থান উপজেলা পরিষদ শীর্ষক একটি কার্ডে গ্রাহকের নাম-পরিচয় লিখে স্বাস্থ্যসমঞ্চত শৌচাগার দেওয়ার খরচ বাবদ ৩০০ টাকা নেওয়ার একটি রসিদ গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসমঞ্চত শৌচাগারের জন্য যেসব সামগ্রী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো আটটি রিং, দুটি স্লাব, দুটি সাবান, একটি সাবান কেস, একটি পানির ফিল্টার, একটি বদনা, একটি পানির পাত্র, বেড়া দেওয়ার জন্য নয়টি ঢেউটিন ও ছয়টি পাকা খুঁটি।
পূর্বপাইকড়া গ্রামের আবদুস সাত্তার সেখ জানান, এনজিওর পরিচয় দিয়ে এ কয়েকটি গ্রামের এক শর বেশি পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর দীর্ঘদিন পার হলেও সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মীদের দেখা না পেয়ে তাদের দেওয়া মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতারণার বিষয়টি তখনই ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস জানান, সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর প্রতারক তাদের ঠকাচ্ছে। তিনি এ জন্য ইউনিয়নবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং এ ধরনের সুযোগসুবিধা নিয়ে যারা কাজ করতে আসে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ শাহ্ বলেন, ‘ওয়াস নামে কোনো এনজিও এ উপজেলায় কাজ করে বলে আমার জানা নেই।’ এ রকম প্রতারকদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান।
No comments