রাজনীতির নামে এই নৈরাজ্য চলতে পারে না আবার জামায়াতের হরতাল
জামায়াতে ইসলামী নিজেকে একটি আইনানুগ ও
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করে। কিন্তু তারা বরাবরই দেশের প্রচলিত
আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে।
অন্যথায়
স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রায় প্রতিটি
রায়ের আগে ও পরে হরতালের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করত না। গত সোমবার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের রায়
ঘোষণার আগের দিন হরতাল ডেকেই দলটি রাস্তায় যানবাহন ভাঙচুর করে ও আগুন দেয়।
তাদের আক্রোশের শিকার হন সাধারণ বাসযাত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের
নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গোলাম আযমের মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাকে অনেকেই গুরু পাপে লঘু দণ্ড অভিহিত করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আদালত নিজেও তাঁর অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে শাস্তি লঘু করে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এই অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার আবার জামায়াতের হরতাল পালন ছিল আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
তবে একাত্তরে মানবতা ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী দলটি এখানেই ক্ষান্ত হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যখন ঘোষণা করেছেন যে আজ বুধবার জামায়াতের আরেক নেতা আলী আহসান মুজাহিদের মামলার রায় দেওয়া হবে, তখনই জামায়াতে ইসলামী সপ্তাহের তৃতীয় হরতালটি আহ্বান করতে দ্বিধা করেনি। যেখানে সারা দেশের মানুষ গোলাম আযমের লঘু দণ্ডে ক্ষুব্ধ ও হতাশ, সেখানে এ ধরনের কর্মসূচি ঔদ্ধত্য ছাড়া কিছুই নয়। এর মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী কেবল আইন নিজের হাতে তুলে নেয়নি, জনজীবনকেও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দলটি নিজেকে ইসলামের খেদমতগার বলে দাবি করে; অথচ রোজার দিনে একের পর হরতাল ডেকে ধর্মপ্রাণ রোজাদার মানুষদের কষ্ট দিচ্ছে। এটাই জামায়াতের রাজনৈতিক চরিত্র।
মনে রাখতে হবে, যুদ্ধাপরাধের বিচার একটি আইনি প্রক্রিয়া। আদালত বিবাদীপক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগই দিয়েছেন। এর পরও বিবাদীপক্ষ রায়ে অসন্তুষ্ট হলে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাইতে পারে। একাধিক মামলায় জামায়াতে ইসলামী সেই সুযোগও নিয়েছে। এর পরও হরতালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো এবং জনজীবন বিপর্যস্ত করার কী কারণ থাকতে পারে? রাজনীতির নামে এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া যায় না।
মাননীয় আদালত গোলাম আযমের রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। একই সঙ্গে সরকারের কোনো নির্বাহী পদে, রাজনৈতিক দলে, সামাজিক সংগঠনে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঠাঁই না দেওয়ার কথা বলেছেন আদালত। পৃথিবীর কোনো দেশেই যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রাজনীতি করতে পারেন না। বাংলাদেশে তাঁরা সেটি কীভাবে পারছেন, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হরতালের নামে অরাজকতা ও নৈরাজ্য অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
গোলাম আযমের মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাকে অনেকেই গুরু পাপে লঘু দণ্ড অভিহিত করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আদালত নিজেও তাঁর অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে শাস্তি লঘু করে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এই অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার আবার জামায়াতের হরতাল পালন ছিল আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
তবে একাত্তরে মানবতা ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী দলটি এখানেই ক্ষান্ত হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যখন ঘোষণা করেছেন যে আজ বুধবার জামায়াতের আরেক নেতা আলী আহসান মুজাহিদের মামলার রায় দেওয়া হবে, তখনই জামায়াতে ইসলামী সপ্তাহের তৃতীয় হরতালটি আহ্বান করতে দ্বিধা করেনি। যেখানে সারা দেশের মানুষ গোলাম আযমের লঘু দণ্ডে ক্ষুব্ধ ও হতাশ, সেখানে এ ধরনের কর্মসূচি ঔদ্ধত্য ছাড়া কিছুই নয়। এর মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী কেবল আইন নিজের হাতে তুলে নেয়নি, জনজীবনকেও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দলটি নিজেকে ইসলামের খেদমতগার বলে দাবি করে; অথচ রোজার দিনে একের পর হরতাল ডেকে ধর্মপ্রাণ রোজাদার মানুষদের কষ্ট দিচ্ছে। এটাই জামায়াতের রাজনৈতিক চরিত্র।
মনে রাখতে হবে, যুদ্ধাপরাধের বিচার একটি আইনি প্রক্রিয়া। আদালত বিবাদীপক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগই দিয়েছেন। এর পরও বিবাদীপক্ষ রায়ে অসন্তুষ্ট হলে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাইতে পারে। একাধিক মামলায় জামায়াতে ইসলামী সেই সুযোগও নিয়েছে। এর পরও হরতালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো এবং জনজীবন বিপর্যস্ত করার কী কারণ থাকতে পারে? রাজনীতির নামে এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া যায় না।
মাননীয় আদালত গোলাম আযমের রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। একই সঙ্গে সরকারের কোনো নির্বাহী পদে, রাজনৈতিক দলে, সামাজিক সংগঠনে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঠাঁই না দেওয়ার কথা বলেছেন আদালত। পৃথিবীর কোনো দেশেই যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রাজনীতি করতে পারেন না। বাংলাদেশে তাঁরা সেটি কীভাবে পারছেন, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হরতালের নামে অরাজকতা ও নৈরাজ্য অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
No comments