হ্যাপি-স্মৃতি-প্রীতির ফেসবুক ফাঁদে অর্ধশত যুবক
জিনিয়া জান্নাত প্রীতি (১৯), সুমাইয়া
জান্নাত হ্যাপি (২৩) এবং তানিয়া জান্নাত স্মৃতি (১৯)। এরা ৩ বোন। এদের
মধ্যে প্রীতি ও স্মৃতি টুইন। ৩ জনই ফেসবুক প্রতারক। প্রীতি তুলনামূলক
সুন্দরী।
প্রীতিকে দিয়ে তারা একের পর এক তরুণকে প্রেমের
ফাঁদে ফেলছে। হাতিয়ে নিচ্ছে সর্বস্ব। ৩-৪ বছর ধরে তারা এ প্রতারণার সঙ্গে
জড়িত। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক যুবককে বসিয়েছে পথে। তাদের সিন্ডিকেটে রয়েছে
কয়েকজন পুরুষ সদস্য। সিন্ডিকেটের পুরুষ সদস্যদের সহায়তায় তারা অভিনব
কৌশলে চালাচ্ছেন লুটতরাজ। প্রেমিকাবেশী প্রতারক চক্র প্রেমিকদের কাছ থেকে
নানা কায়দায় টাকা আদায় করছে। কখনও বোনের অসুস্থতা। কখনও মায়ের
অসুস্থতা। কখনও পরীক্ষার ফি- আরও কত বাহানা! ছলনায় পড়ে উঠতি বয়সের
যুবকরা নিজেদের পকেট খালি করছেন। খালি করছেন মা-বাবার পকেট। কথিত প্রেমিকার
আবদার রক্ষা করতে তরুণরা পরিবারে সৃষ্টি করছে কলহ। টাকা জোগাড় করতে
মা-বাবার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করছে না উঠতি বয়সের ছেলেরা।
ছলনা-বাহানায় কাজ না হলে প্রেমিককে নির্জন স্থানে নিয়ে কথিত প্রেমিকা অংশ
নিচ্ছে ছিনতাইয়ে। করছে ছুরিকাঘাত। বাসায় ঢুকে প্রেমিককে অচেতন করে বাসা
থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে সটকে পড়ছেন। এক প্রেমিককে
ছরিকাঘাত করার পর রোববার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে প্রেমিকাবেশী ৩ বোন।
পালিয়ে গেছে তাদের পুরুষ সহকারী আরেফিনসহ সিন্ডিকেটের ৩-৪ জন সদস্য।
ভুক্তভোগী এবং পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কথিত প্রেমিকা প্রীতির হিংস্র হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ছটফট করছেন তরুণ ব্যবসায়ী শাহরুখ হোসেন মল্লিক। কথা বলতে তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। তিনি জানান, ২০১১ সালের জুলাই মাসে প্রীতির সঙ্গে আমার পরিচয় ফেসবুকে। তখন সে জানিয়েছিল-তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। বাবা লন্ডন প্রবাসী। সে পড়ালেখা করে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমে পড়ার পর ১ বছরে তার চাহিদামতো বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়েছি। এমনভাবে টাকা চাইতো যে, টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধরও করেছি। এক পর্যায়ে গত আগস্ট মাসে বাবা-মা আমার প্রেমের বিষয়টি জেনে যায়। আমি জানতে পারি-ওরা ফেসবুক প্রতারক। তারা যে অন্য ছেলেদের সঙ্গেও প্রতারণা করছে তা-ও অবগত হই। জানতে পারি তার বাবা লন্ডনে থাকে না। ডাকাতি মামলায় ১৮ বছর জেল খেটে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বের হয়েছে। ওই ৩ বোনের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাবা ফারুক হোসেন মতিঝিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ওসি উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়। ছেদ পড়ে আমাদের সম্পর্কে। বাবা আমাকে ব্যবসা ধরিয়ে দেন। আমি ব্যবসা করতে থাকি। এরই মধ্যে প্রীতি ভুয়া আইডি দিয়ে ফেসবুকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। আমি তা গ্রহণ করি। পরে যখন জানতে পারি-আবারও প্রীতির ছলনায় পড়ে গেছি। এরপর থেকে তাকে এড়িয়ে চলতে থাকি। এরই মধ্যে গত ৩ মাসে সে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। তার মা-ও আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ধার নেয়। এ পর্যন্ত কোন টাকা ফেরত দেয়নি। এসব কারণে প্রীতি, তার মা এবং বোনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিই। রোববার প্রীতি আমাকে ফোন করে কৌশলে বেইলী রোডের কেএফসি-এর সামনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি তার সঙ্গে ২ বোন এবং তাদের সহযোগী আরেফিনসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন অপেক্ষা করছে। তারা সবাই মিলে আমাকে আরও টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হলে প্রীতি তার ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে একটি এন্টিকাটার বের করে দেয় আরেফিনের হাতে। আরেফিন এন্টিকাটার দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। পরে অন্যরা আমার ওপর হামলে পড়ে ছুরি, চাকু এবং চাপাতি নিয়ে। তাদের এলোপাতাড়ি আঘাতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। হাত-পা, গলা, ঘাড় এবং পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তারা আঘাত করে। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি জানান, পলাতক আরেফিনের বাসা বাসাবোতে। মাঝেমধ্যেই আমি তাদের সঙ্গে ওই আরেফিনকে দেখিছি।
শাহরুখ হোসেন মল্লিক জানান, ৩ বোনের পেশা একই। তারা একেক সময় একেকজনের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারা প্রেমিকের মেস বা বাসায় গিয়ে কৌশলে প্রেমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। পরে বাসা বা মেস থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল এবং টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তিনি জানান, মাসখানেক আগে রামপুরা এলাকায় এক যুবককে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে পুরুষ সহযোগীদের মাধ্যমে ওই যুবকের ক্রেডিট কার্ড, নগদ টাকা, মানিব্যাগ এমনকি গায়ের জ্যাকেটটি পর্যন্ত খুলে নেয়। তারা ৩ বোন গ্রীন রোডের গ্রীন কর্নারে একটি বাসা নিয়ে ভাড়া থাকেন। ওই বাসার ঠিকানা কাউকে জানান না। তবে তার বাবা-মা প্রায়ই ওই বাসায় আসা-যাওয়া করে। শাহরুখ আরও জানায়, প্রীতি গতবছর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। স্মৃতি এইচএসসি ফেল করেছে। বড় বোন হ্যাপি শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পড়ে বলে আমাকে জানিয়েছে।
এদিকে শাহরুখ হোসেন মল্লিকের বাবা ফারুক হোসেন শনিবার রমনা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় প্রীতি, হ্যাপি, স্মৃতি এবং আরেফিনসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়। তিনি জানান, শাহরুখ বঙ্গবাজারের আশিক ফ্যাশনের মালিক। আসামি ৩ বোন দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের অভিনয় করে আমার ছেলের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা আরও অনেক তরুণকে প্রতারিত করছে। তাদের অন্যায় আবদারে রাজি না হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা আমার ছেলের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ৩ বোনের বাবার নাম হিরো রেজা। ৩ জনই সিদ্ধিরগঞ্জের ভূঁইয়া নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। তারা অনেক তথ্য গোপন করছে। স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে মৌলভীবাজারের আবদা গ্রাম এবং অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নারায়ণগঞ্জের কথা জানিয়েছে। ঢাকায় তারা কোথায় ভাড়া থাকেন তা এখনও জানায়নি। তবে বাসাবোতে এক আত্মীয়ের বাসায় মাঝেমধ্যে থাকে বলে জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে অধিকতর তথ্য পেতে গতকাল রোববার ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে হাজির করেছিলাম। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। রিমান্ড আবেদনের ওপর আগামীকাল শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর এ পর্যন্ত ৩ বোনের কোন আত্মীয়স্বজন আমাদের কাছে আসেনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, শাহরুখের সঙ্গে প্রীতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সূত্র ধরেই আমরা কেএফসির নিচে কথাবার্তা বলছিলাম। হঠাৎ কে বা কারা আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে আমাদের আরেক বন্ধু আরেফিনও আহত হয়। রমনা থানার ওসি শাহআলম একই ধরনের তথ্য দিয়ে বলেন, শুনানির পর আদালত রিমান্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আরেফিনের আহত হওয়ার কথা বললেও তাকে খুঁজে পায়নি। মামলার আসামি হওয়ায় হয়তো সে পলাতক। টেলিফোনে ৩ বোনের মা জানান, কেন পুলিশ আমার মেয়েদের গ্রেপ্তার করেছিল তা জানি না। তারা জামিন পেয়েছে। এখন তারা নারায়ণগঞ্জে নানির বাড়িতে আছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।
কথিত প্রেমিকা প্রীতির হিংস্র হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ছটফট করছেন তরুণ ব্যবসায়ী শাহরুখ হোসেন মল্লিক। কথা বলতে তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। তিনি জানান, ২০১১ সালের জুলাই মাসে প্রীতির সঙ্গে আমার পরিচয় ফেসবুকে। তখন সে জানিয়েছিল-তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। বাবা লন্ডন প্রবাসী। সে পড়ালেখা করে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমে পড়ার পর ১ বছরে তার চাহিদামতো বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়েছি। এমনভাবে টাকা চাইতো যে, টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধরও করেছি। এক পর্যায়ে গত আগস্ট মাসে বাবা-মা আমার প্রেমের বিষয়টি জেনে যায়। আমি জানতে পারি-ওরা ফেসবুক প্রতারক। তারা যে অন্য ছেলেদের সঙ্গেও প্রতারণা করছে তা-ও অবগত হই। জানতে পারি তার বাবা লন্ডনে থাকে না। ডাকাতি মামলায় ১৮ বছর জেল খেটে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বের হয়েছে। ওই ৩ বোনের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাবা ফারুক হোসেন মতিঝিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ওসি উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়। ছেদ পড়ে আমাদের সম্পর্কে। বাবা আমাকে ব্যবসা ধরিয়ে দেন। আমি ব্যবসা করতে থাকি। এরই মধ্যে প্রীতি ভুয়া আইডি দিয়ে ফেসবুকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। আমি তা গ্রহণ করি। পরে যখন জানতে পারি-আবারও প্রীতির ছলনায় পড়ে গেছি। এরপর থেকে তাকে এড়িয়ে চলতে থাকি। এরই মধ্যে গত ৩ মাসে সে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। তার মা-ও আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ধার নেয়। এ পর্যন্ত কোন টাকা ফেরত দেয়নি। এসব কারণে প্রীতি, তার মা এবং বোনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিই। রোববার প্রীতি আমাকে ফোন করে কৌশলে বেইলী রোডের কেএফসি-এর সামনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি তার সঙ্গে ২ বোন এবং তাদের সহযোগী আরেফিনসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন অপেক্ষা করছে। তারা সবাই মিলে আমাকে আরও টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হলে প্রীতি তার ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে একটি এন্টিকাটার বের করে দেয় আরেফিনের হাতে। আরেফিন এন্টিকাটার দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। পরে অন্যরা আমার ওপর হামলে পড়ে ছুরি, চাকু এবং চাপাতি নিয়ে। তাদের এলোপাতাড়ি আঘাতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। হাত-পা, গলা, ঘাড় এবং পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তারা আঘাত করে। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি জানান, পলাতক আরেফিনের বাসা বাসাবোতে। মাঝেমধ্যেই আমি তাদের সঙ্গে ওই আরেফিনকে দেখিছি।
শাহরুখ হোসেন মল্লিক জানান, ৩ বোনের পেশা একই। তারা একেক সময় একেকজনের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারা প্রেমিকের মেস বা বাসায় গিয়ে কৌশলে প্রেমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। পরে বাসা বা মেস থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল এবং টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তিনি জানান, মাসখানেক আগে রামপুরা এলাকায় এক যুবককে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে পুরুষ সহযোগীদের মাধ্যমে ওই যুবকের ক্রেডিট কার্ড, নগদ টাকা, মানিব্যাগ এমনকি গায়ের জ্যাকেটটি পর্যন্ত খুলে নেয়। তারা ৩ বোন গ্রীন রোডের গ্রীন কর্নারে একটি বাসা নিয়ে ভাড়া থাকেন। ওই বাসার ঠিকানা কাউকে জানান না। তবে তার বাবা-মা প্রায়ই ওই বাসায় আসা-যাওয়া করে। শাহরুখ আরও জানায়, প্রীতি গতবছর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। স্মৃতি এইচএসসি ফেল করেছে। বড় বোন হ্যাপি শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পড়ে বলে আমাকে জানিয়েছে।
এদিকে শাহরুখ হোসেন মল্লিকের বাবা ফারুক হোসেন শনিবার রমনা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় প্রীতি, হ্যাপি, স্মৃতি এবং আরেফিনসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়। তিনি জানান, শাহরুখ বঙ্গবাজারের আশিক ফ্যাশনের মালিক। আসামি ৩ বোন দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের অভিনয় করে আমার ছেলের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা আরও অনেক তরুণকে প্রতারিত করছে। তাদের অন্যায় আবদারে রাজি না হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা আমার ছেলের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ৩ বোনের বাবার নাম হিরো রেজা। ৩ জনই সিদ্ধিরগঞ্জের ভূঁইয়া নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। তারা অনেক তথ্য গোপন করছে। স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে মৌলভীবাজারের আবদা গ্রাম এবং অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নারায়ণগঞ্জের কথা জানিয়েছে। ঢাকায় তারা কোথায় ভাড়া থাকেন তা এখনও জানায়নি। তবে বাসাবোতে এক আত্মীয়ের বাসায় মাঝেমধ্যে থাকে বলে জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে অধিকতর তথ্য পেতে গতকাল রোববার ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে হাজির করেছিলাম। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। রিমান্ড আবেদনের ওপর আগামীকাল শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর এ পর্যন্ত ৩ বোনের কোন আত্মীয়স্বজন আমাদের কাছে আসেনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, শাহরুখের সঙ্গে প্রীতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সূত্র ধরেই আমরা কেএফসির নিচে কথাবার্তা বলছিলাম। হঠাৎ কে বা কারা আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে আমাদের আরেক বন্ধু আরেফিনও আহত হয়। রমনা থানার ওসি শাহআলম একই ধরনের তথ্য দিয়ে বলেন, শুনানির পর আদালত রিমান্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আরেফিনের আহত হওয়ার কথা বললেও তাকে খুঁজে পায়নি। মামলার আসামি হওয়ায় হয়তো সে পলাতক। টেলিফোনে ৩ বোনের মা জানান, কেন পুলিশ আমার মেয়েদের গ্রেপ্তার করেছিল তা জানি না। তারা জামিন পেয়েছে। এখন তারা নারায়ণগঞ্জে নানির বাড়িতে আছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।
No comments