ছাগলনাইয়া হাসপাতালঃ ২ বছর ধরে প্রবাসী ডাক্তারের নামে বেতন-ভাতা উত্তোলন
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার
বিদেশে চাকরি করলেও দু'বছর ধরে তার নামে মাসে মাসে বেতন উত্তোলনের ঘটনা
তদন্তে প্রমাণিত হলেও একটি বিশেষ মহল অর্থ জোরে এখন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার
জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনী
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ গত ০১/১২/১০
তারিখে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হরিপদ রায়
আকস্মিকভাবে সম্প্রতি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শনে গিয়ে ডা.
হারুন-অর-রশিদকে কর্মস্থলে উপস্থিত না পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.
আবদুল কাদের থেকে এ বিষয়ে কোন সন্তোষজনক জবাব পাননি। পরে গোপনসূত্রে জানতে
পারেন হারুন-অর-রশিদ যোগদান করার ২-১ মাস পর থেকেই কর্মস্থলে নেই এবং
বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানতে পারেন।
জানা যায়, এরপর সিভিল সার্জন অফিস থেকে নিয়মমাফিক অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে ডা. হারুন-অর-রশিদের নামে অফিশিয়াল চিঠি প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রেরিত চিঠির জবাব না পেয়ে পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল কাদেরকে এ বিষয়ে চিঠির সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে পরবর্তীতে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ছারওয়ার জাহানকে প্রধান করে ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আলী করিমকে সদস্য করে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটি গত ১৪/০১/১৩ তারিখে সরেজমিন তদন্ত করে এবং যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে নেই, তবে কখন থেকে নেই তার কোন রেকর্ডপত্র খুঁজে না পাওয়া এবং তার নামে মাসে মাসে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
খোঁজখবর নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ গত ০১/১২/১০ তারিখে ঘোপালস্থ কর্মস্থলে যোগদান করে মাত্র ২-১ মাস চাকরি করে বিদেশে চলে যান এবং বর্তমানেও বিদেশে অবস্থান করছেন। কিন্তু ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ দীর্ঘ ২ বছর যাবত কর্মস্থলে না থেকে বিদেশে অবস্থান করলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল কাদের এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কোন রিপোর্ট দেননি। বরং বিষয়টি গোপন রেখে তার যোগসাজশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতিপয় কর্মচারী ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে ডা. মো. হারুন-অর-রশিদের বেতন-ভাতা দু'বছর ধরে ভাগাভাগি করে ভোগ করে আসছেন বলে জানা গেছে। আরও জানা যায়, ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ দেশে নেই বিদেশে চাকরি করছে এবং তার নামে ২ বছর যাবত মাসে মাসে ভুয়া স্বাক্ষর দ্বারা বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হয়েছে তা তদন্তে উদ্ঘাটিত হলে বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হরিপদ রায় অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্রও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। ডা. মো. হারুন-অর-রশিদের নামে প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও সিভিল সার্জন স্বীকার করেন।
জানা যায়, এরপর সিভিল সার্জন অফিস থেকে নিয়মমাফিক অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে ডা. হারুন-অর-রশিদের নামে অফিশিয়াল চিঠি প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রেরিত চিঠির জবাব না পেয়ে পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল কাদেরকে এ বিষয়ে চিঠির সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে পরবর্তীতে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ছারওয়ার জাহানকে প্রধান করে ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আলী করিমকে সদস্য করে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটি গত ১৪/০১/১৩ তারিখে সরেজমিন তদন্ত করে এবং যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে নেই, তবে কখন থেকে নেই তার কোন রেকর্ডপত্র খুঁজে না পাওয়া এবং তার নামে মাসে মাসে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
খোঁজখবর নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ গত ০১/১২/১০ তারিখে ঘোপালস্থ কর্মস্থলে যোগদান করে মাত্র ২-১ মাস চাকরি করে বিদেশে চলে যান এবং বর্তমানেও বিদেশে অবস্থান করছেন। কিন্তু ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ দীর্ঘ ২ বছর যাবত কর্মস্থলে না থেকে বিদেশে অবস্থান করলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল কাদের এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কোন রিপোর্ট দেননি। বরং বিষয়টি গোপন রেখে তার যোগসাজশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতিপয় কর্মচারী ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে ডা. মো. হারুন-অর-রশিদের বেতন-ভাতা দু'বছর ধরে ভাগাভাগি করে ভোগ করে আসছেন বলে জানা গেছে। আরও জানা যায়, ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ দেশে নেই বিদেশে চাকরি করছে এবং তার নামে ২ বছর যাবত মাসে মাসে ভুয়া স্বাক্ষর দ্বারা বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হয়েছে তা তদন্তে উদ্ঘাটিত হলে বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হরিপদ রায় অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্রও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। ডা. মো. হারুন-অর-রশিদের নামে প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও সিভিল সার্জন স্বীকার করেন।
No comments