রংপুরে শিবিরের ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ by লিয়াকত আলী বাদল
রংপুর নগরীতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
এর মধ্যে শুধু নগরীর অভিজাত এলাকা ধাপ লাললকুঠি মহল্লায় রয়েছে ৬ তলা বিশিষ্ট আলিশান রেটিনা কোচিং সেন্টার ভবন।
জানা গেছে, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এ কোচিং সেন্টারটি সরাসরি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই কোচিং সেন্টার থেকে প্রতিবছর আয় হয় কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। আর এই অর্থ ব্যয় করে ইসলামী ছাত্র শিবির কমলমতি শিক্ষার্থী অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দলে ভেরানোর কাজ করে। শুধু তাই নয়, সেই কোচিং সেন্টারের আয় থেকে মোটা অংকের টাকা যায় সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর তহবিলে। অথচ এত বিপুল সম্পদের মালিক কীভাবে হলো তার কোন মনিটরিং নেই সরকারের কোন মহল থেকে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু অর্থের জোরেই ছাত্র শিবির রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের মিনি ক্যান্টনমেন্ট বানিয়েছিল। শুধু তাই নয় এর আশপাশে দেড় শতাধিক বেসরকারি ছাত্রাবাস ভাড়া নিয়ে সেখানে তাদের দলের ছাত্রদের বিনা পয়সায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে আসছে। দীর্ঘদিন দখলে রাখার পর অবশ্য কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে তাদের আধিপত্য কমলেও আশপাশে তাদের শক্ত ঘাঁটি এখনও রয়েছে।
রেটিনা কোচিং সেন্টারের কর্মকা- এটা মূলত মেডিকেল ভর্তি কোচিং। রংপুরসহ সারাদেশে তারা এক চেটিয়াভাবে এ কোচিং পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবছর গড়ে দেড় থেকে ২ হাজার শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়ে কোচিং করে। জন প্রতি নেয়া হয় ১০ হাজার টাকা। রেটিনা কোচিং সেন্টারটি প্রথমে ধাপ এলাকায় ভাড়া করা বাসায় পরিচালিত হত। কিন্তু অল্প কিছুদিন আগে নগরীর সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ধাপ লালকুঠিতে জমি কিনে ৬ তলা বিশিষ্ট বিশাল আলিশান ভবন নির্মাণ করেছে তারা। ভবনটি এতটাই সুরক্ষিত যে সহজেই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।
এ কোচিং সেন্টারটি সরাসরি পরিচালনা করে ইসলামী ছাত্র শিবির। আগে শহর শিবির এটা পরিচালনা করলেও এখন এর দেখভাল করে মহানগর শিবির। এই কমিটির সভাপতি সম্পাদক রেটিনা কোচিং সেন্টার থেকে অর্জিত প্রতিবছর প্রায় ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা তাদের নামে বেনামে ইসলামী ব্যাংকে জমা করে। এখানে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করে শিবিরের সরাসরি সাথী এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিবির নেতারা। তারা মাসিক বেতনে কোচিং করাণ। এতে ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা বাকি টাকা জমা হয় ইসলামী ব্যাংকে ভিন্ন নামে এবং শিবিরের নামে। রেটিনা কোচিং সেন্টার থেকে উপার্জিত অর্থের একটা অংশ যায় শিবিরের কেন্দ্রীয় দফতরে আর জামায়াতে ইসলামীর কোষাগারে। আর প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয় রংপুর অঞ্চলে শিবিরকে সংগঠিত করার কাজে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক শিবির নেতা জানান, রংপুরে শিবিরের প্রায় আড়াইশ মোটরসাইকেল এবং এক হাজার বাইসাইকেল রয়েছে। শিবির সদস্যদের লেখাপড়াসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হয় অনেক টাকা। এ ছাড়াও নেতাদের মোটরসাইকেলসহ সাংগঠনিক কাজে ব্যয় করা হয়। তাছাড়া নেতাদের গ্রেড অনুযায়ী ভাতা দেয়া হয় মাসিক ভিত্তিতে। লেখাপড়া চিকিৎসাসহ সাথী ও সদস্যদের সব ব্যয় বহন করে তারা। একই আধিপত্য বিস্তার করার জন্য দেশি ও বিদেশি অস্ত্র সংগ্রহ প্রশিক্ষণ প্রদান করার কাজেও ব্যয় করা হয় বিপুল পরিমাণ টাকা ।
মূলত মাদ্রাসাগুলোতে শিবির করার জন্য কোমলমতি শিশুদের বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে শিবিরে যোগ দেয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। এরপর কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ধর্মের দোহাই দিয়ে দলে ভেড়ানো হয়। এরপর আস্তে আস্তে মটিভিশনের মাধ্যমে তাদের দলভুক্ত করা হয়। বিশেষ গরির সহায় সম্বলহীন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা শিবিরের সদস্য ও ক্যাডার হয় । কারণ এরা লেখারপড়া শেষ করে চাকরির নিশ্চয়তা পায়। তার ওপর বিনা পয়সায় থাকা খাওয়াসহ লেখাপড়ার সুযোগ। এসব কারণে শিবির কর্মীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ।
এভাবে রংপুরে আরও কয়েকটি কোচিং সেন্টার সরাসরি শিবির পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা বিত্তের মালিকানা অর্জন করে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও তারা অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে।
একজন শিবির নেতা জানান, থানায় কেউ গ্রেফতার হলে তার জামিন নেয়াসহ মামলা পরিচালনা করার জন্য দায়িত্বশীল কয়েকজন সদস্য তাদের আছে। ফলে পুলিশকে টাকা দিয়েও তারা ম্যানেজ করে ফেলে। এভাবেই রংপুরে শিবির শুধু কোচিং বাণিজ্য করে এখন ১০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে। গত রোববার তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে রংপুর নগরীতে রেটিনা কোচিং সেন্টার বন্ধ করে এর মালিকানা সরকারকে গ্রহণ করাসহ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার দাবিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী
জানা গেছে, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এ কোচিং সেন্টারটি সরাসরি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই কোচিং সেন্টার থেকে প্রতিবছর আয় হয় কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। আর এই অর্থ ব্যয় করে ইসলামী ছাত্র শিবির কমলমতি শিক্ষার্থী অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দলে ভেরানোর কাজ করে। শুধু তাই নয়, সেই কোচিং সেন্টারের আয় থেকে মোটা অংকের টাকা যায় সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর তহবিলে। অথচ এত বিপুল সম্পদের মালিক কীভাবে হলো তার কোন মনিটরিং নেই সরকারের কোন মহল থেকে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু অর্থের জোরেই ছাত্র শিবির রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের মিনি ক্যান্টনমেন্ট বানিয়েছিল। শুধু তাই নয় এর আশপাশে দেড় শতাধিক বেসরকারি ছাত্রাবাস ভাড়া নিয়ে সেখানে তাদের দলের ছাত্রদের বিনা পয়সায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে আসছে। দীর্ঘদিন দখলে রাখার পর অবশ্য কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে তাদের আধিপত্য কমলেও আশপাশে তাদের শক্ত ঘাঁটি এখনও রয়েছে।
রেটিনা কোচিং সেন্টারের কর্মকা- এটা মূলত মেডিকেল ভর্তি কোচিং। রংপুরসহ সারাদেশে তারা এক চেটিয়াভাবে এ কোচিং পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবছর গড়ে দেড় থেকে ২ হাজার শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়ে কোচিং করে। জন প্রতি নেয়া হয় ১০ হাজার টাকা। রেটিনা কোচিং সেন্টারটি প্রথমে ধাপ এলাকায় ভাড়া করা বাসায় পরিচালিত হত। কিন্তু অল্প কিছুদিন আগে নগরীর সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ধাপ লালকুঠিতে জমি কিনে ৬ তলা বিশিষ্ট বিশাল আলিশান ভবন নির্মাণ করেছে তারা। ভবনটি এতটাই সুরক্ষিত যে সহজেই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।
এ কোচিং সেন্টারটি সরাসরি পরিচালনা করে ইসলামী ছাত্র শিবির। আগে শহর শিবির এটা পরিচালনা করলেও এখন এর দেখভাল করে মহানগর শিবির। এই কমিটির সভাপতি সম্পাদক রেটিনা কোচিং সেন্টার থেকে অর্জিত প্রতিবছর প্রায় ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা তাদের নামে বেনামে ইসলামী ব্যাংকে জমা করে। এখানে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করে শিবিরের সরাসরি সাথী এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিবির নেতারা। তারা মাসিক বেতনে কোচিং করাণ। এতে ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা বাকি টাকা জমা হয় ইসলামী ব্যাংকে ভিন্ন নামে এবং শিবিরের নামে। রেটিনা কোচিং সেন্টার থেকে উপার্জিত অর্থের একটা অংশ যায় শিবিরের কেন্দ্রীয় দফতরে আর জামায়াতে ইসলামীর কোষাগারে। আর প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয় রংপুর অঞ্চলে শিবিরকে সংগঠিত করার কাজে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক শিবির নেতা জানান, রংপুরে শিবিরের প্রায় আড়াইশ মোটরসাইকেল এবং এক হাজার বাইসাইকেল রয়েছে। শিবির সদস্যদের লেখাপড়াসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হয় অনেক টাকা। এ ছাড়াও নেতাদের মোটরসাইকেলসহ সাংগঠনিক কাজে ব্যয় করা হয়। তাছাড়া নেতাদের গ্রেড অনুযায়ী ভাতা দেয়া হয় মাসিক ভিত্তিতে। লেখাপড়া চিকিৎসাসহ সাথী ও সদস্যদের সব ব্যয় বহন করে তারা। একই আধিপত্য বিস্তার করার জন্য দেশি ও বিদেশি অস্ত্র সংগ্রহ প্রশিক্ষণ প্রদান করার কাজেও ব্যয় করা হয় বিপুল পরিমাণ টাকা ।
মূলত মাদ্রাসাগুলোতে শিবির করার জন্য কোমলমতি শিশুদের বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে শিবিরে যোগ দেয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। এরপর কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ধর্মের দোহাই দিয়ে দলে ভেড়ানো হয়। এরপর আস্তে আস্তে মটিভিশনের মাধ্যমে তাদের দলভুক্ত করা হয়। বিশেষ গরির সহায় সম্বলহীন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা শিবিরের সদস্য ও ক্যাডার হয় । কারণ এরা লেখারপড়া শেষ করে চাকরির নিশ্চয়তা পায়। তার ওপর বিনা পয়সায় থাকা খাওয়াসহ লেখাপড়ার সুযোগ। এসব কারণে শিবির কর্মীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ।
এভাবে রংপুরে আরও কয়েকটি কোচিং সেন্টার সরাসরি শিবির পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা বিত্তের মালিকানা অর্জন করে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও তারা অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে।
একজন শিবির নেতা জানান, থানায় কেউ গ্রেফতার হলে তার জামিন নেয়াসহ মামলা পরিচালনা করার জন্য দায়িত্বশীল কয়েকজন সদস্য তাদের আছে। ফলে পুলিশকে টাকা দিয়েও তারা ম্যানেজ করে ফেলে। এভাবেই রংপুরে শিবির শুধু কোচিং বাণিজ্য করে এখন ১০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে। গত রোববার তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে রংপুর নগরীতে রেটিনা কোচিং সেন্টার বন্ধ করে এর মালিকানা সরকারকে গ্রহণ করাসহ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার দাবিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী
No comments