ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সভায় বক্তারাঃ নতুন প্রজন্মের আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি
সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের গণআন্দোলনের প্রতি আবারও সমর্থন ও একাত্মতা প্রকাশ করেছে ১৪ দলীয় জোট।
জোট
নেতারা বলেছেন, নতুন প্রজন্মের এই আন্দোলন নস্যাৎ করতে বিএনপি বিভ্রান্তি
ছড়াচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে। যারা শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে,
তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নেতারা আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের
এই গণজাগরণে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পূ্্র্বঘোষিত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পাশে পৃথক তিনটি স্থানে গণপদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় হেমায়েতপুর বাজার থেকে সাভার বাজার পর্যন্ত, টঙ্গী থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। পদযাত্রা কর্মসূচির পর কেন্দ্রীয় ১৪ দল আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান, ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
ঢাকা মহানগর জাসদ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মীর হোসাইন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, ড. অসিত বরণ রায়, ইসমাইল হোসেন, শফিউদ্দিন মোল্লা, মোস্তফা আলমগীর রতন প্রমুখ।
শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণের কথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে একাট্টা। নতুন প্রজন্মের এই বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। '৭১ সালে আমরা যেমন বিজয় ছিনিয়ে এনেছি, এবারও বিজয় ছিনিয়ে আনব। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- ঘোষিত এবং রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ১৪ দল ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্ম জাগ্রত হয়েছে। '৬৯'র গণঅভ্যুত্থান এবং '৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আবারও সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এটা মেনে নিতে পারছে না। তারা বিবৃতির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্নে কোন মতামত না দিয়ে এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার কৌশল নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ এবং বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ নেই। নতুন প্রজন্মের এই গণজাগরণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সুসংগঠিত করতে হবে। গণজাগরণের এই আন্দোলন নিয়ে আমার দেশ, নয়াদিগন্তসহ কয়েকটি মিডিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, শাহবাগের নতুন প্রজন্মের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই বিএনপি বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি প্রদান করেছে। গণদাবির প্রতি সমর্থন না জানিয়ে মিথ্যা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিবৃতি দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা যুদ্ধাপরাধীর দল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে চক্রান্ত করছে- তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলন বৃথা যাবে না। যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়বই।
কামরুল ইসলাম বলেন, শাহবাগের নতুন প্রজন্মের গণজাগরণ ট্রাইব্যুনালের বিপক্ষে নয়। যারা নতুন প্রজন্মের ভাষা বোঝে না, তারা গণবিছিন্ন হয়ে পড়বে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পূ্্র্বঘোষিত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পাশে পৃথক তিনটি স্থানে গণপদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় হেমায়েতপুর বাজার থেকে সাভার বাজার পর্যন্ত, টঙ্গী থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। পদযাত্রা কর্মসূচির পর কেন্দ্রীয় ১৪ দল আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান, ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
ঢাকা মহানগর জাসদ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মীর হোসাইন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, ড. অসিত বরণ রায়, ইসমাইল হোসেন, শফিউদ্দিন মোল্লা, মোস্তফা আলমগীর রতন প্রমুখ।
শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণের কথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে একাট্টা। নতুন প্রজন্মের এই বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। '৭১ সালে আমরা যেমন বিজয় ছিনিয়ে এনেছি, এবারও বিজয় ছিনিয়ে আনব। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- ঘোষিত এবং রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ১৪ দল ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্ম জাগ্রত হয়েছে। '৬৯'র গণঅভ্যুত্থান এবং '৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আবারও সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এটা মেনে নিতে পারছে না। তারা বিবৃতির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্নে কোন মতামত না দিয়ে এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার কৌশল নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ এবং বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ নেই। নতুন প্রজন্মের এই গণজাগরণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সুসংগঠিত করতে হবে। গণজাগরণের এই আন্দোলন নিয়ে আমার দেশ, নয়াদিগন্তসহ কয়েকটি মিডিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, শাহবাগের নতুন প্রজন্মের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই বিএনপি বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি প্রদান করেছে। গণদাবির প্রতি সমর্থন না জানিয়ে মিথ্যা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিবৃতি দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা যুদ্ধাপরাধীর দল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে চক্রান্ত করছে- তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলন বৃথা যাবে না। যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়বই।
কামরুল ইসলাম বলেন, শাহবাগের নতুন প্রজন্মের গণজাগরণ ট্রাইব্যুনালের বিপক্ষে নয়। যারা নতুন প্রজন্মের ভাষা বোঝে না, তারা গণবিছিন্ন হয়ে পড়বে।
No comments