শাহবাগ সমাবেশের নেতৃত্ব কুক্ষিগত করার প্রয়াস চলছেঃ বিএনপি
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে বাংলাদেশকে
একটি গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে
গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য তরুণ প্রজন্ম ও দেশবাসীর
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা এ আহ্বান
জানান। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-,
সাম্প্রতিক-কালের গুম, দুর্নীতিসহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিয়ে
একাত্মতা প্রকাশ করতে শাহবাগের তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির
নেতারা। একই সঙ্গে নেতারা বলেন, সমাবেশ মঞ্চ থেকে সমাবেশটিকে দলনিরপেক্ষ
বলে দাবি করলেও ক্রমান্বয়ে এটি প্রতীয়মান হচ্ছে এটি একটি বিশেষ রাজনৈতিক
ঘরানার ব্যক্তিদের হাতেই নেতৃত্ব কুক্ষিগত করার প্রয়াস চলছে।
নেতারা বিবৃতিতে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি প্রদানের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থান করছেন। তাদের সমাবেশে অবশ্য আরও কিছু অতিরিক্ত বিষয় নিয়ে প্রস্তাব পাঠ করা হয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্ম জাতির বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আগ্রহী হবেন এবং যৌক্তিক ও কার্যকর অবস্থান নেবেন_ এটাই কাঙ্ক্ষিত। তাই তারুণ্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিএনপি।
সমাবেশ মঞ্চ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বহুলভাবে উচ্চারিত একটি সেস্নাগান স্বাধীনতা উত্তরকালে চরমভাবে দলীয়করণ করার ফলে যার সর্বজনগ্রাহ্যতা হারায় সেই সেস্নাগান বারবার উচ্চারিত হওয়ার ফলে জনমনে চরম সংশয় এবং সমাবেশের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সমাবেশের অরাজনৈতিক চরিত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর ফলে এর একজন সুপরিচিত ছাত্রী উদ্যোক্তা দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় ঘটনা।
নেতারা বলেন, জনগণ আজ ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি সর্বদা এই বিচারের পক্ষে। একই সঙ্গে বিচারটি যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয় বিএনপি সে দাবিও জানিয়ে আসছে।
বিএনপির এই দাবির প্রতি সম্মান দেখালে বিচারটি প্রশ্নবিদ্ধ হতো না। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলও এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। একটি সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে বাংলাদেশ কত ন্যায়নিষ্ঠভাবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে পারছে।
নেতারা বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করে অভিযুক্তদের মৃত্যুদ- দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারকদের অনুরোধ জানিয়ে সমগ্র জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সমাবেশ মঞ্চের ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অথচ মানবতাবিরোধীসহ যেকোন অপরাধে অভিযুক্তদের যথাযথ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারপ্রধানের। বিচারকরা তাদের নিজস্ব মূল্যায়ন, যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে যদি রায় ঘোষণা করতে না পারেন তাহলে সমগ্র বিচারিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
এটি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। শাহবাগের সমাবেশ থেকে কিছু মিডিয়া ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত হুমকি উচ্চারিত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ভিন্নমত ও পথের প্রতি এ ধরনের অসহিষ্ণুতা নৈরাজ্যকে অনিবার্য করে দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করতে পারে। এটি কারও কাম্য হতে পারে না।
তরুণ প্রজন্ম দেশের ভবিষ্যৎ। তারা অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, অবস্থান নেবে এবং প্রয়োজনে আন্দোলনে নামবে এটিই স্বাভাবিক। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণ-তরুণীরা সব ধরনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করবে এবং এদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী সব অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।
নেতারা বলেন, আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই বিএনপি যদি নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে তাহলে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে এবং অবশ্যই মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করবে।
১৯৭১ সালে হানাদারমুক্ত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের জনগণ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, সুশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে। এসব অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।
বিএনপির মতে- বাংলাদেশের জনগণ বর্তমানে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রকে রক্ষা এবং অব্যাহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ।
নেতারা বিবৃতিতে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি প্রদানের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থান করছেন। তাদের সমাবেশে অবশ্য আরও কিছু অতিরিক্ত বিষয় নিয়ে প্রস্তাব পাঠ করা হয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্ম জাতির বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আগ্রহী হবেন এবং যৌক্তিক ও কার্যকর অবস্থান নেবেন_ এটাই কাঙ্ক্ষিত। তাই তারুণ্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিএনপি।
সমাবেশ মঞ্চ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বহুলভাবে উচ্চারিত একটি সেস্নাগান স্বাধীনতা উত্তরকালে চরমভাবে দলীয়করণ করার ফলে যার সর্বজনগ্রাহ্যতা হারায় সেই সেস্নাগান বারবার উচ্চারিত হওয়ার ফলে জনমনে চরম সংশয় এবং সমাবেশের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সমাবেশের অরাজনৈতিক চরিত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর ফলে এর একজন সুপরিচিত ছাত্রী উদ্যোক্তা দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় ঘটনা।
নেতারা বলেন, জনগণ আজ ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি সর্বদা এই বিচারের পক্ষে। একই সঙ্গে বিচারটি যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয় বিএনপি সে দাবিও জানিয়ে আসছে।
বিএনপির এই দাবির প্রতি সম্মান দেখালে বিচারটি প্রশ্নবিদ্ধ হতো না। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলও এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। একটি সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে বাংলাদেশ কত ন্যায়নিষ্ঠভাবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে পারছে।
নেতারা বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করে অভিযুক্তদের মৃত্যুদ- দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারকদের অনুরোধ জানিয়ে সমগ্র জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সমাবেশ মঞ্চের ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অথচ মানবতাবিরোধীসহ যেকোন অপরাধে অভিযুক্তদের যথাযথ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারপ্রধানের। বিচারকরা তাদের নিজস্ব মূল্যায়ন, যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে যদি রায় ঘোষণা করতে না পারেন তাহলে সমগ্র বিচারিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
এটি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। শাহবাগের সমাবেশ থেকে কিছু মিডিয়া ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত হুমকি উচ্চারিত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ভিন্নমত ও পথের প্রতি এ ধরনের অসহিষ্ণুতা নৈরাজ্যকে অনিবার্য করে দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করতে পারে। এটি কারও কাম্য হতে পারে না।
তরুণ প্রজন্ম দেশের ভবিষ্যৎ। তারা অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, অবস্থান নেবে এবং প্রয়োজনে আন্দোলনে নামবে এটিই স্বাভাবিক। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণ-তরুণীরা সব ধরনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করবে এবং এদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী সব অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।
নেতারা বলেন, আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই বিএনপি যদি নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে তাহলে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে এবং অবশ্যই মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করবে।
১৯৭১ সালে হানাদারমুক্ত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের জনগণ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, সুশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে। এসব অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।
বিএনপির মতে- বাংলাদেশের জনগণ বর্তমানে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রকে রক্ষা এবং অব্যাহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ।
No comments