নৌপথের পৌনঃপুনিক দুর্ঘটনাঃ নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শক ও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে
দেশে যত লঞ্চ দুর্ঘটনা হচ্ছে তার সিংহভাগের কারণ বালুবাহী নৌযানের (বাল্ক
হেড) নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল। গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে
সর্বশেষ লঞ্চ দুর্ঘটনাটিও ঘটেছে একটি বাল্ক হেডের ধাক্কা মারার কারণে।
শতাধিক
যাত্রী নিয়ে এমএল সারস মেঘনাবক্ষে ডুবে যায়। এ সম্পর্কে সহযোগী দৈনিক গত
সোমবার তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশের নৌপথে চলাচলকারী প্রায় ১০ হাজার
বালুবাহী নৌযান বা বাল্ক হেড কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলে। এগুলোর
অর্ধেকের নিবন্ধন নেই। বেশিরভাগ চালকের নেই প্রশিক্ষণের সনদ বা ড্রাইভিং
লাইসেন্স। প্রতিবছরই বাল্ক হেডের ধাক্কায় নৌদুর্ঘটনায় প্রচুরসংখ্যক যাত্রী
প্রাণ হারায়। কিন্তু দোষীদের শাস্তি হয় না। বাল্ক হেড চালকদের আচরণ হচ্ছে
সড়কপথের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সবিহীন বাস-ট্রাকচালকদের মতোই বেপরোয়া। বিশেষ
করে রাতের অন্ধকারে এদের বেপরোয়া চালনার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় নৌকা-খেয়া
নৌকার মাঝি ও যাত্রীরা। ছোটখাটো দুর্ঘটনা খবরে আসে না। বড় দুর্ঘটনার খবরই
প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন, এমনিভাবে প্রতিবছর বাল্ক হেডের ধাক্কায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন। এর কারণ এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মত হলো অধিদফতরে পর্যাপ্তসংখ্যক পরিদর্শক ও জরিপকারক নেই। যার কারণে পর্যাপ্ত পরিদর্শনের অভাবে জলপথে পৌনঃপুনিক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। লক্ষণীয়, পরিদর্শকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব কয়েকবার দেয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা ফাইলবন্দী।
অথচ নদীপথে দুর্ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে। এ বৃদ্ধি প্রধানত দুটি কারণে। একদিকে পরিদর্শন ও তদারকির ঘাটতি, অন্যদিকে নিবন্ধনহীন বাল্ক হেড ও যাত্রীবাহী লঞ্চের ক্রমাগত সংখ্যা বৃদ্ধি। এসব দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবৈধ টাকার লেনদেনের বিনিময়ে এভাবে অবৈধ লঞ্চ ও বাল্ক হেড চলাচল করছে। আর এদের শিকার হচ্ছেন নৌপথের যাত্রীরা।
সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরে প্রধান পরিদর্শকসহ ৯টি পরিদর্শকের পদ রয়েছে। তিন বছর ধরে আছেন মাত্র ৪ জন পরিদর্শক। দরকার এখানে নূ্যনতম ২৫ জনের। জরিপকারক আছেন মাত্র ২ জন। প্রয়োজন ২০ জনের। উলি্লখিত এই হিসাব থেকেই বোঝা যায়, নৌপথে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার ব্যাপ্তি এবং ধরন। যখন বড় ধরনের কোন লঞ্চডুবির দুর্ঘটনা ঘটে তখন উদ্ধার কাজের নামে তাদের তোড়জোড় চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দুর্ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ থাকে অনুদ্াঘাটিত। সেখানে দুর্নীতি, অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে শৈথিল্যই যে এ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ তা অনুদ্াঘাটিতই থেকে যায়।
এক হিসাব দেখা যায়, দেশে প্রায় ১০ হাজার নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বাল্ক হেড রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। এছাড়াও অন্তত ১০ হাজার অবৈধ নৌযান চলাচল করছে। যেগুলোর প্রায় অর্ধেক বাল্ক হেড। এগুলোর চালকদের কোন সনদ নেই। বেপরোয়াভাবে চালানো তাদের অভ্যাস। বড় দুর্ঘটনা ঘটলে এরা গা-ঢাকা দেয়। গত বছরের মার্চে গজারিয়ারই চরকিশোরগঞ্জের অদূরে এমভি শরীয়তপুর-৩ দুর্ঘটনায় পড়ে বাল্ক হেডের ধাক্কায়। লঞ্চটি তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেলে মারা যায় ১৪৬ জন। এছাড়া দেশের অন্যত্র লঞ্চডুবির ঘটনা তো আছেই।
নৌপরিবহন দুর্ঘটনার কারণে এভাবে মানুষ হত্যা আর কতকাল চলবে। সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক ও জরিপকারকের ঘাটতি কি খোদ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অজানা? প্রকৃত অর্থে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদফতর পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলাই কাজ করছে। বাল্ক হেড ও অবৈধ লঞ্চের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিদর্শক ও জরিপকারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে আরেকটি বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই।
প্রশ্ন, এমনিভাবে প্রতিবছর বাল্ক হেডের ধাক্কায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন। এর কারণ এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মত হলো অধিদফতরে পর্যাপ্তসংখ্যক পরিদর্শক ও জরিপকারক নেই। যার কারণে পর্যাপ্ত পরিদর্শনের অভাবে জলপথে পৌনঃপুনিক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। লক্ষণীয়, পরিদর্শকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব কয়েকবার দেয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা ফাইলবন্দী।
অথচ নদীপথে দুর্ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে। এ বৃদ্ধি প্রধানত দুটি কারণে। একদিকে পরিদর্শন ও তদারকির ঘাটতি, অন্যদিকে নিবন্ধনহীন বাল্ক হেড ও যাত্রীবাহী লঞ্চের ক্রমাগত সংখ্যা বৃদ্ধি। এসব দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবৈধ টাকার লেনদেনের বিনিময়ে এভাবে অবৈধ লঞ্চ ও বাল্ক হেড চলাচল করছে। আর এদের শিকার হচ্ছেন নৌপথের যাত্রীরা।
সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরে প্রধান পরিদর্শকসহ ৯টি পরিদর্শকের পদ রয়েছে। তিন বছর ধরে আছেন মাত্র ৪ জন পরিদর্শক। দরকার এখানে নূ্যনতম ২৫ জনের। জরিপকারক আছেন মাত্র ২ জন। প্রয়োজন ২০ জনের। উলি্লখিত এই হিসাব থেকেই বোঝা যায়, নৌপথে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার ব্যাপ্তি এবং ধরন। যখন বড় ধরনের কোন লঞ্চডুবির দুর্ঘটনা ঘটে তখন উদ্ধার কাজের নামে তাদের তোড়জোড় চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দুর্ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ থাকে অনুদ্াঘাটিত। সেখানে দুর্নীতি, অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে শৈথিল্যই যে এ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ তা অনুদ্াঘাটিতই থেকে যায়।
এক হিসাব দেখা যায়, দেশে প্রায় ১০ হাজার নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বাল্ক হেড রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। এছাড়াও অন্তত ১০ হাজার অবৈধ নৌযান চলাচল করছে। যেগুলোর প্রায় অর্ধেক বাল্ক হেড। এগুলোর চালকদের কোন সনদ নেই। বেপরোয়াভাবে চালানো তাদের অভ্যাস। বড় দুর্ঘটনা ঘটলে এরা গা-ঢাকা দেয়। গত বছরের মার্চে গজারিয়ারই চরকিশোরগঞ্জের অদূরে এমভি শরীয়তপুর-৩ দুর্ঘটনায় পড়ে বাল্ক হেডের ধাক্কায়। লঞ্চটি তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেলে মারা যায় ১৪৬ জন। এছাড়া দেশের অন্যত্র লঞ্চডুবির ঘটনা তো আছেই।
নৌপরিবহন দুর্ঘটনার কারণে এভাবে মানুষ হত্যা আর কতকাল চলবে। সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক ও জরিপকারকের ঘাটতি কি খোদ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অজানা? প্রকৃত অর্থে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদফতর পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলাই কাজ করছে। বাল্ক হেড ও অবৈধ লঞ্চের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিদর্শক ও জরিপকারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে আরেকটি বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই।
No comments