নতুন পোপ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবেন না ষোড়শ বেনেডিক্ট
অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর ভ্যাটিকান ক্যাথলিক রোমান চার্চের
উত্তরাধিকারী নির্বাচনে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট কোন হস্তক্ষেপ করবেন না বলে
জানিয়েছেন বিশপ ব্রাদাররা।
তবে
ঈস্টারের আগেই ওই চার্চের নতুন পোপ নির্বাচন করা হবে বলে ভ্যাটিকান জানায়।
বিবিসিকে পোপের ভাই জর্জ রাটজিঙ্গার জানান, নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার
পূর্ব পর্যন্ত কেবলমাত্র চার্চের প্রয়োজন হলেই 'বেনেডিক্টকে পাওয়া যাবে'।গত
সোমবার সকালে নিজ মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি জানান, আগামী ২৮
ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করবেন তিনি। এক্ষেত্রে বার্ধক্যকে একমাত্র কারণ হিসেবে
দেখিয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী এই জার্মান ধর্মযাজক। আট ভাষায় অনুদিত হওয়া তার ওই
স্বেচ্ছাবসরের চিঠি এখন ভ্যাটিকানের ওয়েবসাইটে।
পোপের পদত্যাগে শোক, বিস্ময়
১২০ কোটি ক্যাথলিকদের ধর্মগুরুর আকস্মিক এ বিদায়ের ঘোষণায় শুধু খ্রিস্টান দুনিয়া নয়, বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তুমুল আলোড়ন। এর প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই শোকাতুর, কেউবা বিস্মিত ও বিভ্রান্ত আবার কেউ কেউ উল্লসিত হয়ে স্বাগতও জানিয়েছেন পোপের এ সিদ্ধান্তকে।
তবে তার এ পদত্যাগের ঘোষণায় উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। শুরু হয়েছে বিভিন্ন আঙ্গিকের বিশ্লেষণ। এই অবসরের পিছনে কি শুধুই বার্ধক্য, নাকি অন্য কিছু এই নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মুখে তড়িঘড়ি ভ্যাটিক্যান কর্মকর্তা ফাদার প্যাড্রিকো ল্যাম্বার্দির বরাত দিয়ে রয়টার্স বিবৃতি জানায়, 'নতুন পোপ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ২৪ মার্চ। গত কয়েক মাস ধরে পোপ দায়িত্ব ছাড়ার কথা ভাবছিলেন। এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোন রকম বাইরের চাপে নয়।'
এবার কি কৃষ্ণাঙ্গ কেউ পাবেন ওই পদ? বহু যুগ ধরেই এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ভ্যাটিকানকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কারণ অতিরিক্ত রক্ষণশীলতার জন্য পরিচিত এবং বেশ কিছু মহলে সমালোচিতও ষোড়শ বেনডিক্টের পুরো কার্যকাল ধরেই বিতর্ক ছিল তার ছায়াসঙ্গী।
বিতর্ক তার ছায়াসঙ্গী
শিশু নিগ্রহে অভিযুক্ত যাজকদের আড়াল করার চেষ্টা। খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার করতে গিয়ে মুসলিমদের ক্ষুণ্ন করা। নিজের বই 'জেসাস অফ নাজারেথ'-এ যিশুর মৃত্যুর জন্য ইহুদিদের দায়ী করা। ভ্যাটিকানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে গ্রেফতার হয় তার বাটলার পাওলো গ্যাব্রিয়েল। সমকামিতার বিরোধিতা। মেয়েদের যাজক হওয়ার অনুমোদন না দেয়া এবং স্টেম সেল (দেহের বিশেষ কোষ) নিয়ে গবেষণায় আপত্তি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রচারিত সব বিতর্ককে আরও উস্কে দেন তিনি। তবে যে বিতর্ক তাকে সব থেকে বেশি তাড়া করে বেড়িয়েছে, তা হলো চার্চের যাজকদের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ। এমনকি, এই বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছিল তার নিজের নামও। ২০০৫ সালের ২৪ এপ্রিল পোপ হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই একাধিক যাজকের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তবে ধর্মগুরু হিসেবে প্রকাশ্যে নিগৃহীত শিশু ও তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান স্বয়ং পোপ। কয়েকজন নিগৃহীত শিশুর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। এ ঘটনাকে 'চার্চের নোংরামো' বলে অভিহিত করেন তিনি। কিন্তু ওই সময়েই পোপের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহে অভিযুক্ত এক যাজককে পুনরায় চার্চের কাজে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় পোপের পদত্যাগের দাবিতে মুখর হন অনেকে। পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের জন্ম ১৯২৭-র ১৬ এপ্রিল, জার্মানির বাভেরিয়ায়। বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার। পোপ দ্বিতীয় জন পলের সময়কালে দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গী ছিলেন ষোড়শ বেনেডিক্ট। দ্বিতীয়জন পলের মৃত্যুর পরে ১১৫ জন কার্ডিনালের অধিকাংশই তাকে পরবর্তী পোপ বলে মেনে নেন। ২০০৫ সালে ৭৮ বছর বয়সে পোপ হিসেবে অভিষিক্ত হন জোসেফ রাটজিঙ্গার। পোপ হয়ে ষোড়শ বেনেডিক্ট নামে পরিচিতি পান তিনি। ষোড়শ বেনেডিক্ট পদত্যাপত্র জমা দিলে তিনি হবেন ৬০০ বছরের ইতিহাসে এক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি। সর্বশেষ ১৪১৫ সালে এই ধরনের ঘটনা পদত্যাগ করেছিলেন পোপ দ্বাদশ গ্রেগরি। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মেসেজে ভরে গিয়েছে টুইটটার, ফেসবুক। বিবিসি, ওয়েবসাইট।
পোপের পদত্যাগে শোক, বিস্ময়
১২০ কোটি ক্যাথলিকদের ধর্মগুরুর আকস্মিক এ বিদায়ের ঘোষণায় শুধু খ্রিস্টান দুনিয়া নয়, বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তুমুল আলোড়ন। এর প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই শোকাতুর, কেউবা বিস্মিত ও বিভ্রান্ত আবার কেউ কেউ উল্লসিত হয়ে স্বাগতও জানিয়েছেন পোপের এ সিদ্ধান্তকে।
তবে তার এ পদত্যাগের ঘোষণায় উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। শুরু হয়েছে বিভিন্ন আঙ্গিকের বিশ্লেষণ। এই অবসরের পিছনে কি শুধুই বার্ধক্য, নাকি অন্য কিছু এই নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মুখে তড়িঘড়ি ভ্যাটিক্যান কর্মকর্তা ফাদার প্যাড্রিকো ল্যাম্বার্দির বরাত দিয়ে রয়টার্স বিবৃতি জানায়, 'নতুন পোপ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ২৪ মার্চ। গত কয়েক মাস ধরে পোপ দায়িত্ব ছাড়ার কথা ভাবছিলেন। এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোন রকম বাইরের চাপে নয়।'
এবার কি কৃষ্ণাঙ্গ কেউ পাবেন ওই পদ? বহু যুগ ধরেই এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ভ্যাটিকানকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কারণ অতিরিক্ত রক্ষণশীলতার জন্য পরিচিত এবং বেশ কিছু মহলে সমালোচিতও ষোড়শ বেনডিক্টের পুরো কার্যকাল ধরেই বিতর্ক ছিল তার ছায়াসঙ্গী।
বিতর্ক তার ছায়াসঙ্গী
শিশু নিগ্রহে অভিযুক্ত যাজকদের আড়াল করার চেষ্টা। খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার করতে গিয়ে মুসলিমদের ক্ষুণ্ন করা। নিজের বই 'জেসাস অফ নাজারেথ'-এ যিশুর মৃত্যুর জন্য ইহুদিদের দায়ী করা। ভ্যাটিকানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে গ্রেফতার হয় তার বাটলার পাওলো গ্যাব্রিয়েল। সমকামিতার বিরোধিতা। মেয়েদের যাজক হওয়ার অনুমোদন না দেয়া এবং স্টেম সেল (দেহের বিশেষ কোষ) নিয়ে গবেষণায় আপত্তি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রচারিত সব বিতর্ককে আরও উস্কে দেন তিনি। তবে যে বিতর্ক তাকে সব থেকে বেশি তাড়া করে বেড়িয়েছে, তা হলো চার্চের যাজকদের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ। এমনকি, এই বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছিল তার নিজের নামও। ২০০৫ সালের ২৪ এপ্রিল পোপ হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই একাধিক যাজকের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তবে ধর্মগুরু হিসেবে প্রকাশ্যে নিগৃহীত শিশু ও তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান স্বয়ং পোপ। কয়েকজন নিগৃহীত শিশুর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। এ ঘটনাকে 'চার্চের নোংরামো' বলে অভিহিত করেন তিনি। কিন্তু ওই সময়েই পোপের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহে অভিযুক্ত এক যাজককে পুনরায় চার্চের কাজে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় পোপের পদত্যাগের দাবিতে মুখর হন অনেকে। পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের জন্ম ১৯২৭-র ১৬ এপ্রিল, জার্মানির বাভেরিয়ায়। বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার। পোপ দ্বিতীয় জন পলের সময়কালে দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গী ছিলেন ষোড়শ বেনেডিক্ট। দ্বিতীয়জন পলের মৃত্যুর পরে ১১৫ জন কার্ডিনালের অধিকাংশই তাকে পরবর্তী পোপ বলে মেনে নেন। ২০০৫ সালে ৭৮ বছর বয়সে পোপ হিসেবে অভিষিক্ত হন জোসেফ রাটজিঙ্গার। পোপ হয়ে ষোড়শ বেনেডিক্ট নামে পরিচিতি পান তিনি। ষোড়শ বেনেডিক্ট পদত্যাপত্র জমা দিলে তিনি হবেন ৬০০ বছরের ইতিহাসে এক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি। সর্বশেষ ১৪১৫ সালে এই ধরনের ঘটনা পদত্যাগ করেছিলেন পোপ দ্বাদশ গ্রেগরি। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মেসেজে ভরে গিয়েছে টুইটটার, ফেসবুক। বিবিসি, ওয়েবসাইট।
No comments