দেশে দেশে তিন মিনিট
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে টানা আট দিন ধরে শাহবাগ চত্বরে তরুণ প্রজন্মের গণজাগরণ এখন দেশ ছেড়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এই
বিচারের দাবিতে গতকাল বিকেল চারটায় তিন মিনিট স্তব্ধ থেকেছে পুরো
বাংলা?দেশ। এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা
পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। বিভিন্ন অনলাইন ও বস্নগের মাধ্যমে
প্রবাসীরা এই তথ্য পেঁৗছে দিচ্ছেন বাংলাদেশের শাহবাগ চত্বরে।
ব্রিটেন : শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালিরা। প্রচ- ঠা-াও ঘরে ধরে রাখতে পারেনি তাদের। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে খেয়ে না খেয়ে দীর্ঘ আট দিন ধরে দেশের রাজপথ দখল করে রাখা গণমানুষের তিন মিনিট নীরবতা কর্মসূচি পালনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গতকাল লন্ডন সময় সকাল ১০টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে আসেন। শহীদ মিনারকে সাক্ষী রেখে তিন মিনিট তারা নীরবতা পালন করেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকেই সেস্নাগানরত লোকজন দলে দলে শহীদ মিনারে আসতে থাকেন।
নীরবতা শুরুর আগ পর্যন্ত তাদের কণ্ঠে ছিল গগনবিদারী সেস্নাগান_ 'আর কোন দাবি নাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই', 'রাজাকারের কালো দাগ, এই বসন্তে মুছে যাক', 'মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার', 'মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম না, এবার তোদের ছাড়ছি না' ইত্যাদি।
সকাল ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীণ সংগঠক সুলতান শরীফ সবাইকে তিন মিনিট নীরবতা পালন করার জন্য সেস্নাগান বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এ সময় সবার কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়। পিনপতন নীরবতা নেমে আসে শহীদ মিনার চত্বরে।
ওয়ার ক্রাইম ট্রায়াল সাপোর্ট ফোরাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, সিপিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদসহ বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ এই নীরবতায় অংশগ্রহণ করেন। নীরবতার তিন মিনিট শেষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও লন্ডন সময় সকাল ১০টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় যার যার কর্মস্থলে দাঁড়িয়েই শাহবাগ নীরবতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। লন্ডন ছাড়াও ব্রিটেনের বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, ওল্ডহাম, নিউক্যাসেল, কার্ডিফ, লিডসসহ বিভিন্ন শহর থেকেও শাহবাগ নীরবতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণার খবর পাওয়া গেছে।
সৌদি আবর : ঘোষণা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গতকাল বিকেল চারটায় তিন মিনিট স্তব্ধ থেকেছে পুরো বাংলা?দেশ। এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে স্থানীয় সময় বেলা ১টায় রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম থেকেই এতে সংহতি জানিয়ে আসছেন সৌদি আরব।
এ ব্যাপারে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীরা জানান, আমরা প্রবাসে থাকলেও আমাদের মনপ্রাণ সারাক্ষণ পড়ে থাকে শাহবাগ চত্বরে। তাদের যে কোন কর্মসূচি আমরা এখান থেকে পালন করার চেষ্টা করব।
তারা আরও জানায়, স্থানীয় আইনি জটিলতা থাকায় সবকিছু হয়তো আমরা বিশ্বের অন্য দেশের মতো করতে পারব না। তবে স্থানীয় আইন মেনে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা থাকবে আমাদের।
শাহবাগ মঞ্চে যেতে না পারলেও দূর প্রবাস থেকে প্রতিদিনই সৌদি প্রবাসীরা প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করছেন। কয়েকজন প্রবাসী ইতোমধ্যে ছুটিতে ঢাকায় এসে যোগ দিয়েছেন শাহবাগ চত্বরের আন্দোলনের সঙ্গে। কেউ কেউ আবার আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
অস্ট্রেলিয়া : শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় এক মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে তিনটায় ক্যানবেরার বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সবাইকে অংশ নিয়ে প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পোস্টার ইত্যাদি নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
কুয়েত : শাহবাগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একাত্তরে মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কুয়েত সিটিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোটেলগুলো সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিদিন কোন না কোন সংগঠন সভা-সমাবেশ করছে। এই সমাবেশ থেকে প্রবাসীরা ঢাকার শাহবাগে ঐতিহাসিক গণজাগরণে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, এই আন্দোলন সুবিচারকামী স্বাধীন জনতার আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে আগামী প্রজন্মকে রাজাকারমুক্ত দেশ উপহার দিতে হবে। এতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংকৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ অসংখ্য প্রবাসী যোগ দেন। অনেকের হাত, শরীরসহ হোটেলের দেয়ালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র : যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে এবং নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ও জ্যাকসন হাইটসে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তরুণদের পাশাপাশি নানা বয়সী বাংলাদেশিরা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে এসব কর্মসূচিতে শামিল হয়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবি তোলেন। এছাড়াও নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের সুগন্ধা রেস্তোরাঁ এবং জ্যাকসন হাইটসে শাহবাগের আন্দোলনের সমর্থনে সংহতি সমাবেশ করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও বয়সের বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি। এর আগে মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, কলারাডো, টেক্সাস, মায়ামি, বস্টন, কানেটিকাট, পেনসিলভানিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলেসেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেন প্রবাসীরা। সবার একই দাবি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
জার্মানি : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবিতে গত শনিবার ও রোববার জার্মানির বিভিন্ন শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মানির এনআরভি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে আসা প্রবাসীদের একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি যাতে নিশ্চিত করা হয়। সমাবেশে মোম জ্বালিয়ে দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয়। সমাবেশ থেকে বলা হয়, আমরা হয়তো শাহবাগে নেই, কিন্তু শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গেই আছি। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সবার হাতে ছিল 'রাজাকারের ফাঁসি চাই' লেখা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন। এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন রাইনভাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস, ইউনিভার্সিটি অফ ডুইসবুর্গ-এসেন, রউর ইউনিভার্সিটি বখুম, জিগেন ইউনিভার্সিটি, আরডবিস্নউটিএইচ আখেন, নিদাররাইন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস, ইউনিভার্সিটি অফ বন, ইউনিভার্সিটি অফ প্যাডারবন, এফএইচ কোলন, ইউনিভার্সিটি অফ ডুসেলডরফ, টিইউ ডর্টমুন্ড, বন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
ব্রিটেন : শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালিরা। প্রচ- ঠা-াও ঘরে ধরে রাখতে পারেনি তাদের। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে খেয়ে না খেয়ে দীর্ঘ আট দিন ধরে দেশের রাজপথ দখল করে রাখা গণমানুষের তিন মিনিট নীরবতা কর্মসূচি পালনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গতকাল লন্ডন সময় সকাল ১০টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে আসেন। শহীদ মিনারকে সাক্ষী রেখে তিন মিনিট তারা নীরবতা পালন করেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকেই সেস্নাগানরত লোকজন দলে দলে শহীদ মিনারে আসতে থাকেন।
নীরবতা শুরুর আগ পর্যন্ত তাদের কণ্ঠে ছিল গগনবিদারী সেস্নাগান_ 'আর কোন দাবি নাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই', 'রাজাকারের কালো দাগ, এই বসন্তে মুছে যাক', 'মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার', 'মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম না, এবার তোদের ছাড়ছি না' ইত্যাদি।
সকাল ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীণ সংগঠক সুলতান শরীফ সবাইকে তিন মিনিট নীরবতা পালন করার জন্য সেস্নাগান বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এ সময় সবার কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়। পিনপতন নীরবতা নেমে আসে শহীদ মিনার চত্বরে।
ওয়ার ক্রাইম ট্রায়াল সাপোর্ট ফোরাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, সিপিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদসহ বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ এই নীরবতায় অংশগ্রহণ করেন। নীরবতার তিন মিনিট শেষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও লন্ডন সময় সকাল ১০টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় যার যার কর্মস্থলে দাঁড়িয়েই শাহবাগ নীরবতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। লন্ডন ছাড়াও ব্রিটেনের বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, ওল্ডহাম, নিউক্যাসেল, কার্ডিফ, লিডসসহ বিভিন্ন শহর থেকেও শাহবাগ নীরবতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণার খবর পাওয়া গেছে।
সৌদি আবর : ঘোষণা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গতকাল বিকেল চারটায় তিন মিনিট স্তব্ধ থেকেছে পুরো বাংলা?দেশ। এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে স্থানীয় সময় বেলা ১টায় রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম থেকেই এতে সংহতি জানিয়ে আসছেন সৌদি আরব।
এ ব্যাপারে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীরা জানান, আমরা প্রবাসে থাকলেও আমাদের মনপ্রাণ সারাক্ষণ পড়ে থাকে শাহবাগ চত্বরে। তাদের যে কোন কর্মসূচি আমরা এখান থেকে পালন করার চেষ্টা করব।
তারা আরও জানায়, স্থানীয় আইনি জটিলতা থাকায় সবকিছু হয়তো আমরা বিশ্বের অন্য দেশের মতো করতে পারব না। তবে স্থানীয় আইন মেনে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা থাকবে আমাদের।
শাহবাগ মঞ্চে যেতে না পারলেও দূর প্রবাস থেকে প্রতিদিনই সৌদি প্রবাসীরা প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করছেন। কয়েকজন প্রবাসী ইতোমধ্যে ছুটিতে ঢাকায় এসে যোগ দিয়েছেন শাহবাগ চত্বরের আন্দোলনের সঙ্গে। কেউ কেউ আবার আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
অস্ট্রেলিয়া : শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় এক মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে তিনটায় ক্যানবেরার বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সবাইকে অংশ নিয়ে প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পোস্টার ইত্যাদি নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
কুয়েত : শাহবাগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একাত্তরে মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কুয়েত সিটিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোটেলগুলো সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিদিন কোন না কোন সংগঠন সভা-সমাবেশ করছে। এই সমাবেশ থেকে প্রবাসীরা ঢাকার শাহবাগে ঐতিহাসিক গণজাগরণে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, এই আন্দোলন সুবিচারকামী স্বাধীন জনতার আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে আগামী প্রজন্মকে রাজাকারমুক্ত দেশ উপহার দিতে হবে। এতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংকৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ অসংখ্য প্রবাসী যোগ দেন। অনেকের হাত, শরীরসহ হোটেলের দেয়ালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র : যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে এবং নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ও জ্যাকসন হাইটসে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তরুণদের পাশাপাশি নানা বয়সী বাংলাদেশিরা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে এসব কর্মসূচিতে শামিল হয়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবি তোলেন। এছাড়াও নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের সুগন্ধা রেস্তোরাঁ এবং জ্যাকসন হাইটসে শাহবাগের আন্দোলনের সমর্থনে সংহতি সমাবেশ করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও বয়সের বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি। এর আগে মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, কলারাডো, টেক্সাস, মায়ামি, বস্টন, কানেটিকাট, পেনসিলভানিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলেসেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেন প্রবাসীরা। সবার একই দাবি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
জার্মানি : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবিতে গত শনিবার ও রোববার জার্মানির বিভিন্ন শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মানির এনআরভি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে আসা প্রবাসীদের একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি যাতে নিশ্চিত করা হয়। সমাবেশে মোম জ্বালিয়ে দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয়। সমাবেশ থেকে বলা হয়, আমরা হয়তো শাহবাগে নেই, কিন্তু শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গেই আছি। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সবার হাতে ছিল 'রাজাকারের ফাঁসি চাই' লেখা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন। এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন রাইনভাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস, ইউনিভার্সিটি অফ ডুইসবুর্গ-এসেন, রউর ইউনিভার্সিটি বখুম, জিগেন ইউনিভার্সিটি, আরডবিস্নউটিএইচ আখেন, নিদাররাইন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস, ইউনিভার্সিটি অফ বন, ইউনিভার্সিটি অফ প্যাডারবন, এফএইচ কোলন, ইউনিভার্সিটি অফ ডুসেলডরফ, টিইউ ডর্টমুন্ড, বন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
No comments