সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ প্রাপ্তদের সমাবেশে হামলা
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী নিয়োগের স্থগিতাদেশ বাতিল ও কাজে
যোগদানের দাবিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা সোমবার বিক্ষোভ-সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা
হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা
অভিযোগ করে বলে, বেলা ১১টার দিকে নিয়োগপ্রাপ্তিদের বিক্ষোভ কর্মসূচি
চলাকালে জেলা যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী সিভিল সার্জন অফিসে ঢুকে পুলিশের
উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্য
থেকে কালাম, রফিক, অর্চনা, ফাতেমা পারভীন ও ফিরোজসহ বেশ কয়েকজনকে লাঞ্ছিত
করা হয়। একপর্যায়ে রফিক ও কালাম প্রতিবাদ করলে তাদের পুনরায় সন্ত্রাসীরা
আক্রমণ করে। এ সময় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবদুল হাকিম
আন্দোলন ও হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক
অ্যাড. কেএম হোসেন আলী বলেন, সিভিল সার্জন অফিসের ১৮৩ জন কর্মচারী নিয়োগে ৯
কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর
থেকে সব কার্যক্রম স্থগিত করে সম্প্রতি তদন্ত হয়েছে। অথচ যারা ঘুষ দিয়ে
চাকরি পেয়েছে তারা হঠাৎ সিভিল সার্জন অফিসে আন্দোলন-বিক্ষোভ শুরু করায়
নিয়োগ বঞ্চিতরা তাদের ওপর চড়াও হয়। সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক আবু
সাদাদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
উল্লেখ্য, এই অফিসে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যে নিয়ে নিয়োগ কমিটির প্রধান রাজশাহী
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আশরাফুজ্জামান, সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন
ডা. নাজিমুদ্দিন খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন, হিসাব রক্ষক
রেজাউল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, অফিস সহকারী আবদুল হালিম,
পরিসংখ্যান সহকারী হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বঞ্চিত ও প্রত্যাশীরা ৮টি
মামলা করেছে। পুলিশ হিসাবরক্ষক রেজাউলকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার
করে হাজতে পাঠালেও বাকিরাও পুলিশের ভয়ে গত ৪ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত
রয়েছেন।
পুলিশ সুপার অফিস সংলগ্ন সিভিল সার্জন অফিস বর্তমানে পুলিশ প্রহারায় রয়েছে।
পুলিশ সুপার অফিস সংলগ্ন সিভিল সার্জন অফিস বর্তমানে পুলিশ প্রহারায় রয়েছে।
No comments