বিদেশের কারাগারে বাংলাদেশি আটকঃ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি তাদের দায়িত্ব পালন করছে
জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি গত রোববার
জানান, বিশ্বের মোট ৪৭টি দেশের বিভিন্ন কারাগারে ৪ হাজার ৫৩২ জন বাংলাদেশি
নাগরিক আটক আছেন।
তিনি
আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই একটি
চলমান প্রক্রিয়া। অর্থাৎ বন্দীদের সংখ্যা দিন যত যাবে বাড়তে বা কমতে পারে।
যেভাবেই বিচার করা হোক না কেন এই সংখ্যা অনেক বেশি।
বিশ্বের ৪৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক আছে সৌদি আরবে। সংখ্যার দিক থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বোধহয় সবচেয়ে বেশি এবং সে দেশের আইন-কানুনও আলাদা। সেখান থেকে মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশিদের শিরশ্ছেদের খবর পাওয়া যায়। সৌদি আরবে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত কারাগারে আটক আছেন ৬৮৩ জন। তার পরই ভারতে। সেখানে সরকারি হিসাবে আটক ৫৯৩ জন। আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন উপলক্ষে বৈধ-অবৈধভাবে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ভারতে যান। তার মধ্যে মহিলাও আছেন। ভারতে যে সমস্যা হয় তা হলো সেখানে কারাভোগের পরও দেশে ফেরত আসে না অথবা নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয় না। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের শৈথিল্য থাকতে পারে।
এ দুটি দেশের পরই মালয়েশিয়া। সেখানে সরকারিভাবে আটক ৩১৬ জন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০৮ জন। এ দুটি দেশেও অবৈধভাবে গিয়ে 'লুকিয়ে' থাকার খবর পাওয়া যায়। এ দুটি দেশে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দিতে গড়িমসি করা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। এ দুটি দেশেও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মরত এবং এরাও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট সহায়তা করে থাকেন।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আটক গ্রিসে। অন্যান্য সব দেশেই বাংলাদেশিরা কর্মরত। প্রায় সব দেশেই বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশিরা কারাগারে আটক আছেন। এদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই দূতাবাস থেকে আইনি সহায়তা পেয়ে থাকেন। যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারেন তারা কিছুটা স্বস্তি পান। তবে অধিকাংশ অভিবাসী সে কাজ করতে সক্ষম হন না। ফলে দিনের পর দিন অথবা বছরের পর বছর কারাগারে দুর্ভোগের মধ্যে থাকেন।
বিদেশে বাংলাদেশিদের কারাভোগ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে না। সেই বিবেচনায় প্রতিটি দেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনে এ কাজের জন্য একটা 'উইং' থাকা উচিত যারা অভিবাসীদের আইনি সমস্যা সমাধান করবেন। বিদেশে কারা ভোগের পর তাদের দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে। বিষয়টি এক্সপট্টিয়েট ওয়েলফেয়ারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করলে দেশের মানও রক্ষা পাবে।
বিশ্বের ৪৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক আছে সৌদি আরবে। সংখ্যার দিক থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বোধহয় সবচেয়ে বেশি এবং সে দেশের আইন-কানুনও আলাদা। সেখান থেকে মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশিদের শিরশ্ছেদের খবর পাওয়া যায়। সৌদি আরবে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত কারাগারে আটক আছেন ৬৮৩ জন। তার পরই ভারতে। সেখানে সরকারি হিসাবে আটক ৫৯৩ জন। আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন উপলক্ষে বৈধ-অবৈধভাবে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ভারতে যান। তার মধ্যে মহিলাও আছেন। ভারতে যে সমস্যা হয় তা হলো সেখানে কারাভোগের পরও দেশে ফেরত আসে না অথবা নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয় না। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের শৈথিল্য থাকতে পারে।
এ দুটি দেশের পরই মালয়েশিয়া। সেখানে সরকারিভাবে আটক ৩১৬ জন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০৮ জন। এ দুটি দেশেও অবৈধভাবে গিয়ে 'লুকিয়ে' থাকার খবর পাওয়া যায়। এ দুটি দেশে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দিতে গড়িমসি করা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। এ দুটি দেশেও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মরত এবং এরাও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট সহায়তা করে থাকেন।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আটক গ্রিসে। অন্যান্য সব দেশেই বাংলাদেশিরা কর্মরত। প্রায় সব দেশেই বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশিরা কারাগারে আটক আছেন। এদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই দূতাবাস থেকে আইনি সহায়তা পেয়ে থাকেন। যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারেন তারা কিছুটা স্বস্তি পান। তবে অধিকাংশ অভিবাসী সে কাজ করতে সক্ষম হন না। ফলে দিনের পর দিন অথবা বছরের পর বছর কারাগারে দুর্ভোগের মধ্যে থাকেন।
বিদেশে বাংলাদেশিদের কারাভোগ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে না। সেই বিবেচনায় প্রতিটি দেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনে এ কাজের জন্য একটা 'উইং' থাকা উচিত যারা অভিবাসীদের আইনি সমস্যা সমাধান করবেন। বিদেশে কারা ভোগের পর তাদের দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে। বিষয়টি এক্সপট্টিয়েট ওয়েলফেয়ারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করলে দেশের মানও রক্ষা পাবে।
No comments