অভিভাবকশূন্য বিদ্যুত মন্ত্রণালয় ॥ প্রতিমন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তারা বিদেশে by রশিদ মামুন
বিদ্যুত বিভাগের প্রায় সকল শীর্ষ কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে গেছেন। বর্তমানে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী এবং বিদ্যুত বিভাগের সচিবসহ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সংস্থা প্রধান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বিদ্যুত বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, একসঙ্গে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দল বেঁধে এভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।
বিদ্যুত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক ফলোআপ চিকিৎসা এবং বিদ্যুত খাতে জাপানি সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে দুটি দেশ ভ্রমণ করছেন। সরকারী সফরসূচীতে ২০ তারিখ প্রতিমন্ত্রীর সফর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিনি ফিরবেন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। মন্ত্রণালয় সূত্র জনায়, প্রতিমন্ত্রী নিজের চিকিৎসার জন্য প্রথমে সিঙ্গাপুর যাবেন, সেখান থেকে সরকারী কাজে জাপান যাবেন। অন্যদিকে বিদ্যুত বিভাগের সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ নয় কর্মকর্তার এক বহর নিয়ে কানাডা গেছেন ২৩ সেপ্টেম্বর। কানাডা সফর শেষে তাঁরা দেশে ফিরবেন আগামী ৬ অক্টোবর। বিদ্যুত বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, এমনিতে প্রতিমন্ত্রী আগে থেকেই দেশের বাইরে রয়েছেন এখন সচিবও দেশের বাইরে গেলেন। ফলে মন্ত্রণালয় এখন অভিভাবক শূন্য। কাজের কি অবস্থা তা সহজেই বোঝা যায়। মন্ত্রী সচিব দু’জনে ভিন্ন ভিন্ন দেশে যাওয়ায় আইনের কোন ব্যত্যয় না ঘটলেও একই সময়ে মন্ত্রণালয় ফাঁকা করে যাওয়াটা উচিত হয়নি বলে মনে করছেন অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী।
বিদ্যুত বিভাগের সচিবের সঙ্গে পাঁচটি সংস্থার প্রধান ব্যক্তি রয়েছেন। এরা হলেন, পিডিবি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান, পাওয়ারসেলের মহাপরিচালক মাহাবুব সারোয়ার-ই-কায়নাত, পাওয়ারগ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জামাল উল্লাহ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মোঃ নজরুল হাসান, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি (এপিএসসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নূরুল আলম, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ (ইজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) হারুন-উর-রশীদ এবং পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এর সদস্য (অর্থ) গোলাম মোস্তফা।
রেজাল্ট বেজড ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড পারফরম্যান্স ইনডেকটরস শীর্ষক প্রশিক্ষণে এই নয় কর্মকর্তার ১৩ দিনের বিদেশ ভ্রমণের যাবতীয় খরচ বহন করছে পাওয়ারসেল। সংস্থার পিএসডিটিএ প্রকল্প থেকে ব্যয়ভার বহন করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে পাওয়ারসেলের পরিচালক (ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা রেজাল্ট বেজড ম্যানেজমেন্টকে কাজে লাগাতে চাচ্ছি। এ জন্যই এই প্রশিক্ষণে গেছেন কর্মকর্তারা। তিনি বলেন কানাডার সিটিম আন্তর্জাতিক একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংস্থাটি সারা বছরই এ ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলেন, ধরা যাক আমরা ‘সিস্টেম লস’ কমাতে চাচ্ছি এ জন্য প্রত্যেকটি সংস্থাকে একটি টার্গেট বেঁধে দেয়া হবে। এর মধ্যে যারা থাকতে পারবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। না থাকতে পারলে জরিমানা করা হবে। সিটিম আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এসব কাজ করছে তাই প্রতিনিধি দল দেখতে গেছেন বলে জানান তিনি।
বিদ্যুত বিভাগের অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই মুহ’র্তে বাংলাদেশী বিতরণ কোম্পানির মিল খোঁজা বাস্তবতা বিবর্জিত। আমাদের এখানে একটি কোম্পানি (ডেসকো) ছাড়া অন্যসব কোম্পানির সিস্টেম লস অনেক বেশি। আমাদের দুর্বল এবং জরাজীর্ণ বিতরণ ব্যবস্থায় ইচ্ছা করলেই অনেক কিছু সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ডেসকোর সিস্টেম লস হ্রাসের রহস্য অন্য কোম্পানিগুলোকে মেনে চলার নির্দেশ দিলে কানাডায় প্রশিক্ষণ নেয়ার দরকার হতো না।
সিটিম এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ এবং খরচ নিয়ন্ত্রণ (প্রজেক্ট বাজেটিং এন্ড কস্ট কন্ট্রোল) বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত একটি দুই সপ্তাহের সেমিনার রয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের অপর একজন কর্মকর্তা শীর্ষ নয় জন ব্যক্তির একই সেমিনারে যোগ দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, অভিজ্ঞতার যদি এতই প্রয়োজন ছিল তাহলে একজন বা দু’জন গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে বিনিময় করলেই হতো। আসলে এসব হচ্ছে হাওয়া বদল মাঝে মাঝে দরকার হয়।
বিদ্যুত বিভাগের সচিবের সঙ্গে পাঁচটি সংস্থার প্রধান ব্যক্তি রয়েছেন। এরা হলেন, পিডিবি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান, পাওয়ারসেলের মহাপরিচালক মাহাবুব সারোয়ার-ই-কায়নাত, পাওয়ারগ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জামাল উল্লাহ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মোঃ নজরুল হাসান, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি (এপিএসসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নূরুল আলম, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ (ইজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) হারুন-উর-রশীদ এবং পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এর সদস্য (অর্থ) গোলাম মোস্তফা।
রেজাল্ট বেজড ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড পারফরম্যান্স ইনডেকটরস শীর্ষক প্রশিক্ষণে এই নয় কর্মকর্তার ১৩ দিনের বিদেশ ভ্রমণের যাবতীয় খরচ বহন করছে পাওয়ারসেল। সংস্থার পিএসডিটিএ প্রকল্প থেকে ব্যয়ভার বহন করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে পাওয়ারসেলের পরিচালক (ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা রেজাল্ট বেজড ম্যানেজমেন্টকে কাজে লাগাতে চাচ্ছি। এ জন্যই এই প্রশিক্ষণে গেছেন কর্মকর্তারা। তিনি বলেন কানাডার সিটিম আন্তর্জাতিক একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংস্থাটি সারা বছরই এ ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলেন, ধরা যাক আমরা ‘সিস্টেম লস’ কমাতে চাচ্ছি এ জন্য প্রত্যেকটি সংস্থাকে একটি টার্গেট বেঁধে দেয়া হবে। এর মধ্যে যারা থাকতে পারবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। না থাকতে পারলে জরিমানা করা হবে। সিটিম আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এসব কাজ করছে তাই প্রতিনিধি দল দেখতে গেছেন বলে জানান তিনি।
বিদ্যুত বিভাগের অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই মুহ’র্তে বাংলাদেশী বিতরণ কোম্পানির মিল খোঁজা বাস্তবতা বিবর্জিত। আমাদের এখানে একটি কোম্পানি (ডেসকো) ছাড়া অন্যসব কোম্পানির সিস্টেম লস অনেক বেশি। আমাদের দুর্বল এবং জরাজীর্ণ বিতরণ ব্যবস্থায় ইচ্ছা করলেই অনেক কিছু সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ডেসকোর সিস্টেম লস হ্রাসের রহস্য অন্য কোম্পানিগুলোকে মেনে চলার নির্দেশ দিলে কানাডায় প্রশিক্ষণ নেয়ার দরকার হতো না।
সিটিম এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ এবং খরচ নিয়ন্ত্রণ (প্রজেক্ট বাজেটিং এন্ড কস্ট কন্ট্রোল) বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত একটি দুই সপ্তাহের সেমিনার রয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের অপর একজন কর্মকর্তা শীর্ষ নয় জন ব্যক্তির একই সেমিনারে যোগ দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, অভিজ্ঞতার যদি এতই প্রয়োজন ছিল তাহলে একজন বা দু’জন গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে বিনিময় করলেই হতো। আসলে এসব হচ্ছে হাওয়া বদল মাঝে মাঝে দরকার হয়।
No comments