‘অপারেশন ক্লিনহার্টসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যার বিচার হবে’- ইলিয়াস আলী আদৌ গুম হয়েছেন কিনা জানি না ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, চালকসহ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ ও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর হত্যারহস্য উদঘাটন করা হবে।
হত্যাকা-ে জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি সদর দফতর, দুপুরে র্যাব সদর দফতর এবং বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের টেলিকম সেন্টার পরিদর্শন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
র্যাব সদর দফতর পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী আদৌ গুম হয়েছেন কি-না তা জানি না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বিগত বিএনপি সরকার আমলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তাদের ক্ষমতার সময় অনেক তা-ব দেখিয়েছে। সেই তা-বে অনেকেই গুম হয়েছেন। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে যেসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হয়েছে তারও রহস্য উদঘাটন করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপারেশন ক্লিনহার্ট নামে দেশব্যাপী সামরিক বাহিনীর অভিযান চলে। সন্ত্রাস দমনের নামে পরিচালিত ওই বিশেষ অভিযান চালানো হয় বলে বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের দাবি। ওই সময় প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করেছিল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করতেই ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৬০ জন নিহত হয় বলে মানবাধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস ওয়াচ দাবি করে। তবে ওই সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল গ্রেফতার অবস্থায় হার্ট এ্যাটাকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ওই অভিযানে অংশ নেয়া সামরিক বাহিনী কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দিয়ে আইন করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ওই আইন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট চলতি বছর একটি রুল জারি করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- সমর্থন করে না। যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ঘটায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার প্রস্তুত। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যা খুবই কম হয়েছে বলেও মন্ত্রী দাবি করেন। যদিও সব হত্যাকা-ই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের সংজ্ঞায় পড়ে না। সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে ডাকাত, জঙ্গী, অপহরণকারীদের গ্রেফতারের সময় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি বিচারবহির্ভূত বলে মনে হয় না।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের অঙ্গীকার করলেও তা চলছেই। ২০১১ সালেই র্যাবের হাতে অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। যার কোনোটিরই বিচার হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাগর-রুনী হত্যা ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাবে না। র্যাব হত্যাকারীদের গ্রেফতারে এবং হত্যাকা-ের মোটিভ উদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে।
দুপুর আড়াইটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রী ই-ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান বিষয়ক একটি পদ্ধতির উদ্বোধন করেন।
সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি সদর দফতর, দুপুরে র্যাব সদর দফতর এবং বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের টেলিকম সেন্টার পরিদর্শন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
র্যাব সদর দফতর পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী আদৌ গুম হয়েছেন কি-না তা জানি না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বিগত বিএনপি সরকার আমলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তাদের ক্ষমতার সময় অনেক তা-ব দেখিয়েছে। সেই তা-বে অনেকেই গুম হয়েছেন। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে যেসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হয়েছে তারও রহস্য উদঘাটন করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপারেশন ক্লিনহার্ট নামে দেশব্যাপী সামরিক বাহিনীর অভিযান চলে। সন্ত্রাস দমনের নামে পরিচালিত ওই বিশেষ অভিযান চালানো হয় বলে বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের দাবি। ওই সময় প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করেছিল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করতেই ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৬০ জন নিহত হয় বলে মানবাধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস ওয়াচ দাবি করে। তবে ওই সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল গ্রেফতার অবস্থায় হার্ট এ্যাটাকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ওই অভিযানে অংশ নেয়া সামরিক বাহিনী কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দিয়ে আইন করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ওই আইন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট চলতি বছর একটি রুল জারি করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- সমর্থন করে না। যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ঘটায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার প্রস্তুত। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যা খুবই কম হয়েছে বলেও মন্ত্রী দাবি করেন। যদিও সব হত্যাকা-ই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের সংজ্ঞায় পড়ে না। সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে ডাকাত, জঙ্গী, অপহরণকারীদের গ্রেফতারের সময় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি বিচারবহির্ভূত বলে মনে হয় না।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের অঙ্গীকার করলেও তা চলছেই। ২০১১ সালেই র্যাবের হাতে অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। যার কোনোটিরই বিচার হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাগর-রুনী হত্যা ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাবে না। র্যাব হত্যাকারীদের গ্রেফতারে এবং হত্যাকা-ের মোটিভ উদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে।
দুপুর আড়াইটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রী ই-ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান বিষয়ক একটি পদ্ধতির উদ্বোধন করেন।
No comments