ইরানের ওপর আরো অবরোধের পরিকল্পনা ইউরোপের
পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইরানের ওপর নতুন আরেক দফা অবরোধ আরোপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ ব্যাপারে ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টনের কাছে গত সপ্তাহে এক চিঠিও পাঠিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপীয় এক কূটনীতিক গত রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।
এদিকে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের যে বিরোধ রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে সে ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হওয়ার নয়।
ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পক্ষে সমর্থন টানার চেষ্টা করবেন। কিন্তু নতুন অবরোধ আরোপের মাধ্যমে ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে ইউরোপীয় দেশগুলো। অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে উপস্থিত আহমাদিনেজাদ গত রবিবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করেন। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ইরানসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন ক্যাথরিন অ্যাস্টন। ইইউ সদস্য দেশগুলো ইরানের ওপর নতুন অবরোধের বিষয়ে এখনো আলোচনা করছে। এ বিষয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, ইরানের ব্যাপারে কোনো সমাধানে পেঁৗছানোর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। দেশটির পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কাও ঘনীভূত হচ্ছে। এমন অবস্থায় বান কি মুন পরমাণু কর্মসূচি প্রশ্নে ইরানের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জনের আহ্বান জানান।
তবে আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে ইরানের পরমাণু ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হবে না বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মনে হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরানের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে না।' উচ্চ মানসম্পন্ন ইউরেনিয়ামের মজুদ হ্রাসের জন্য ইরান সব সময়ই প্রস্তুত ছিল এবং এখনো প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি। 'এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তিসম্মত অনেক প্রস্তাব দিয়েছি। বস্তুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনোই উদ্বেগ নেই। আমরা সব সময়ই এ ধরনের আলোচনা চাই। আইনের শাসন মেনে চললে এবং সব পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই আমাদের বিশ্বাস।' পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের জন্য ইরানকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সম্প্রতি পীড়াপীড়ি শুরু করে ইসরায়েল। গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টেলিভিশনে 'সিক্সটি মিনিটস' অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমেরিকানদের কথা মাথায় রেখেই আমি যেকোনো সিদ্ধান্ত নেব। এ ছাড়া আর যেকোনো ধরনের কলহ দূরে সরিয়ে রাখব আমি।' সূত্র : এএফপি।
এদিকে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের যে বিরোধ রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে সে ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হওয়ার নয়।
ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পক্ষে সমর্থন টানার চেষ্টা করবেন। কিন্তু নতুন অবরোধ আরোপের মাধ্যমে ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে ইউরোপীয় দেশগুলো। অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে উপস্থিত আহমাদিনেজাদ গত রবিবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করেন। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ইরানসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন ক্যাথরিন অ্যাস্টন। ইইউ সদস্য দেশগুলো ইরানের ওপর নতুন অবরোধের বিষয়ে এখনো আলোচনা করছে। এ বিষয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, ইরানের ব্যাপারে কোনো সমাধানে পেঁৗছানোর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। দেশটির পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কাও ঘনীভূত হচ্ছে। এমন অবস্থায় বান কি মুন পরমাণু কর্মসূচি প্রশ্নে ইরানের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জনের আহ্বান জানান।
তবে আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে ইরানের পরমাণু ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হবে না বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মনে হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরানের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে না।' উচ্চ মানসম্পন্ন ইউরেনিয়ামের মজুদ হ্রাসের জন্য ইরান সব সময়ই প্রস্তুত ছিল এবং এখনো প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি। 'এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তিসম্মত অনেক প্রস্তাব দিয়েছি। বস্তুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনোই উদ্বেগ নেই। আমরা সব সময়ই এ ধরনের আলোচনা চাই। আইনের শাসন মেনে চললে এবং সব পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই আমাদের বিশ্বাস।' পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের জন্য ইরানকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সম্প্রতি পীড়াপীড়ি শুরু করে ইসরায়েল। গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টেলিভিশনে 'সিক্সটি মিনিটস' অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমেরিকানদের কথা মাথায় রেখেই আমি যেকোনো সিদ্ধান্ত নেব। এ ছাড়া আর যেকোনো ধরনের কলহ দূরে সরিয়ে রাখব আমি।' সূত্র : এএফপি।
No comments