টোল না দিয়ে হামলা ও ভাংচুর- খালেদা জিয়ার গাড়িবহর
রবিবার রাতে দিনাজপুরে একটি টোল প্লাজায় বেগম জিয়ার গাড়িবহর নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। টোল না দিয়ে গাড়ি বহর চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে টোল আদায়কারীরা বাধা দেয়। এ সময় বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পুলিশ, বিএনপি কর্মী-সমর্থক, টোল আদায়কারী ও স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৮ জন আহত হয়।
এই ঘটনার পর শহর থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ি বহরে টোল চাওয়ার অপরাধে টোল প্লাজার ঘর ভাংচুর ও টাকা লুটপাট করে।
দিনাজপুর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্বে আত্রাই নদীর উপর মোহনপুর সেতু অবস্থিত। যানবাহন পারাপারের জন্য প্রতি বছর সড়ক বিভাগ সেতুটি নিলামের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে থাকে। এ বছর সেতুটির ইজারা পায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মোঃ নূর-এ-কামাল। তিনি জানান, রবিবার দুপুরে বগুড়া থেকে বেগম জিয়ার গাড়িবহর এই সেতুর উপর দিয়ে দিনাজপুর শহরে প্রবেশ করে। মূল গাড়ি বহরের বাইরে জনসভায় লোক আনার জন্য প্রায় ৩শ’টি বাস-ট্রাক ছিল। টোলের জন্য বলা হলে সে সব গাড়ির চালক জানায়, ফেরার পথে টাকা দেয়া হবে। রাত ৮টার দিকে লোক বোঝাই ওই সব ট্রাক-বাস পুনরায় টোল প্লাজার কাছে আসলে তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে টোল আদায়কারীদের সঙ্গে গাড়ি চালকদের বাক-বিত-া হয়। এ সময় বেগম জিয়ার মূল গাড়িবহর প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে আটকে পড়ে।
নূর-এ-কামাল জানান, একই সময় এই স্থানে দুটি ঘটনা ঘটে। টোল প্লাজার কাছে জনসভা থেকে ফিরে আসা লোক বোঝাই একটি ট্রাক পথের মাঝখানে খারাপ হয়ে আটকে থাকে। এতে প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বেগম জিয়ার গাড়িবহরের আগে বিএনপি কর্মীদের বহনকারী দুটি বাস ওভারটেক করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বাস দুটি তারা নিজেরাই ভাংচুর করে। এ সময় গাড়িবহরে থাকা পুলিশ সদস্যরা টোল প্লাজায় এসে সকলকে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। এতে টোল মালিকসহ ১৮ জন আহত হন। টোল মালিক নূর-এ-কামাল জানান, এরপর পুলিশ প্রহরায় বেগম জিয়ার গাড়িবহরের সব গাড়ি টোলের টাকা না দিয়ে চলে যায়।
নূর-এ-কামাল জানান, এই ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা পর শহর থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ৪০/৪৫ জন যুবক আসে। তাদের প্রত্যেকের হাতে পিস্তল, রিভলবার, চাইনিজ কুড়াল ও বড় বড় লোহার হাতুড়ি ছিল। সশস্ত্র যুবকরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে টোল আদায়কারীদের খুঁজতে থাকে। এ পর্যায়ে তারা টোল প্লাজার ভিতর ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ওসি মোঃ আসলাম ইকবাল জানান, রবিবার রাতে টোল আদায়কারী ও খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা পুলিশের মধ্যে কিছুটা সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি জানান, রাতে শহরে কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয়, মোহনপুর টোল প্লাজার কাছে বেগম জিয়ার গাড়িবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরই কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে যুবকরা সেখানে গিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
দিনাজপুর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্বে আত্রাই নদীর উপর মোহনপুর সেতু অবস্থিত। যানবাহন পারাপারের জন্য প্রতি বছর সড়ক বিভাগ সেতুটি নিলামের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে থাকে। এ বছর সেতুটির ইজারা পায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মোঃ নূর-এ-কামাল। তিনি জানান, রবিবার দুপুরে বগুড়া থেকে বেগম জিয়ার গাড়িবহর এই সেতুর উপর দিয়ে দিনাজপুর শহরে প্রবেশ করে। মূল গাড়ি বহরের বাইরে জনসভায় লোক আনার জন্য প্রায় ৩শ’টি বাস-ট্রাক ছিল। টোলের জন্য বলা হলে সে সব গাড়ির চালক জানায়, ফেরার পথে টাকা দেয়া হবে। রাত ৮টার দিকে লোক বোঝাই ওই সব ট্রাক-বাস পুনরায় টোল প্লাজার কাছে আসলে তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে টোল আদায়কারীদের সঙ্গে গাড়ি চালকদের বাক-বিত-া হয়। এ সময় বেগম জিয়ার মূল গাড়িবহর প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে আটকে পড়ে।
নূর-এ-কামাল জানান, একই সময় এই স্থানে দুটি ঘটনা ঘটে। টোল প্লাজার কাছে জনসভা থেকে ফিরে আসা লোক বোঝাই একটি ট্রাক পথের মাঝখানে খারাপ হয়ে আটকে থাকে। এতে প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বেগম জিয়ার গাড়িবহরের আগে বিএনপি কর্মীদের বহনকারী দুটি বাস ওভারটেক করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বাস দুটি তারা নিজেরাই ভাংচুর করে। এ সময় গাড়িবহরে থাকা পুলিশ সদস্যরা টোল প্লাজায় এসে সকলকে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। এতে টোল মালিকসহ ১৮ জন আহত হন। টোল মালিক নূর-এ-কামাল জানান, এরপর পুলিশ প্রহরায় বেগম জিয়ার গাড়িবহরের সব গাড়ি টোলের টাকা না দিয়ে চলে যায়।
নূর-এ-কামাল জানান, এই ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা পর শহর থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ৪০/৪৫ জন যুবক আসে। তাদের প্রত্যেকের হাতে পিস্তল, রিভলবার, চাইনিজ কুড়াল ও বড় বড় লোহার হাতুড়ি ছিল। সশস্ত্র যুবকরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে টোল আদায়কারীদের খুঁজতে থাকে। এ পর্যায়ে তারা টোল প্লাজার ভিতর ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ওসি মোঃ আসলাম ইকবাল জানান, রবিবার রাতে টোল আদায়কারী ও খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা পুলিশের মধ্যে কিছুটা সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি জানান, রাতে শহরে কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয়, মোহনপুর টোল প্লাজার কাছে বেগম জিয়ার গাড়িবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরই কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে যুবকরা সেখানে গিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
No comments