পরিস্থিতি দেখতে এসে আহত হয়ে ফিরল দশ ছাত্রদল কর্মী- ছাত্রদল পরিস্থিতি ‘অস্বাভাবিক’ করেই ক্যাম্পাসে ফিরবে
ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাত করতে দিল না ছাত্রলীগ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে আহত হয়ে ফিরে গেল অন্তত দশজন। এ অবস্থায় ছাত্রদল ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর অছাত্রদের নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পরদিন থেকেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছাত্রলীগ ঘোষণা করে, ছাত্রসংগঠনের নামে কোন অছাত্র যদি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চায় তবে তাদের প্রতিহত করা হবে। যে কোন সময় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ছিলেন আতঙ্কিত। সোমবার দুপুর ২টায় ছাত্রদলের দশজনের একটি প্রতিনিধিদলের উপাচার্যকে ফুল দিতে আসার কথা। কিন্তু তারা ক্যাম্পাসে না এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে কয়েকজনকে পাঠায়। তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। এরপর কমিটির কেউ উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে আসছে এমন খবরে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এমন সময় দুটো মোটরসাইকেলে করে চারজন ছাত্রদলের কর্মী প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে তাদের দুজনকে পুলিশ ও প্রক্টরের সামনেই মারধর করেন তাঁরা। মারধরের শিকার হওয়া কর্মীরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। এরপর মল চত্বরে আরও দুজন হামলার শিকার হন। পরে প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আরও ছয়জনকে পেয়ে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পাসের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
কয়েক দফায় ছাত্রলীগের মারধরে আহত হয়েছেন ছাত্রদলের অন্তত দশজন। এরা হলেন এফ রহমান হলের আমিরুল হক মুন্না, নাসির মোড়ল, পলাশ, জিয়া হলের নাঈম, এসএম হলের হিমেল, সোহাগ, আব্বাস আলী, সূর্যসেন হলের পাভেল, মহসিন ও জহুরুল হক হলের রাশেদ। তাদের কারোরই ছাত্রত্ব নেই বলে দাবি হামলাকারীদের। কিন্তু অন্যদিকে ছাত্রদলের দাবি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।
হামলার প্রতিবাদে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রদলের প্রবেশে যদি ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি না করে তবে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্যাম্পাসে ঢুকবেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল বলেন, পুলিশ পাহারায় ছাত্রলীগ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলা করেছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচীতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে উপাচার্য ছাত্রসমাজ এবং ছাত্রদলের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাই ভিসির স্বপদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক এসএম ওবায়দুল হক নাসির, ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন ছাত্রের ওপর যে হামলা করা হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছি। সাক্ষাতপ্রার্থী ছাত্রনেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের যেভাবে শারীরিক নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।
এদিকে উপাচার্যের দাবি, তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতাদের জন্য অপেক্ষা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের পরও তিনি ছাত্রদলের সভাপতিকে ফোন করে আসার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তারা কেউ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।
হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি হামলার ঘটনা পরে জেনেছি। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে আসছে এমন খবরে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এমন সময় দুটো মোটরসাইকেলে করে চারজন ছাত্রদলের কর্মী প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে তাদের দুজনকে পুলিশ ও প্রক্টরের সামনেই মারধর করেন তাঁরা। মারধরের শিকার হওয়া কর্মীরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। এরপর মল চত্বরে আরও দুজন হামলার শিকার হন। পরে প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আরও ছয়জনকে পেয়ে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পাসের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
কয়েক দফায় ছাত্রলীগের মারধরে আহত হয়েছেন ছাত্রদলের অন্তত দশজন। এরা হলেন এফ রহমান হলের আমিরুল হক মুন্না, নাসির মোড়ল, পলাশ, জিয়া হলের নাঈম, এসএম হলের হিমেল, সোহাগ, আব্বাস আলী, সূর্যসেন হলের পাভেল, মহসিন ও জহুরুল হক হলের রাশেদ। তাদের কারোরই ছাত্রত্ব নেই বলে দাবি হামলাকারীদের। কিন্তু অন্যদিকে ছাত্রদলের দাবি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।
হামলার প্রতিবাদে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রদলের প্রবেশে যদি ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি না করে তবে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্যাম্পাসে ঢুকবেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল বলেন, পুলিশ পাহারায় ছাত্রলীগ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলা করেছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচীতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে উপাচার্য ছাত্রসমাজ এবং ছাত্রদলের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাই ভিসির স্বপদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক এসএম ওবায়দুল হক নাসির, ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন ছাত্রের ওপর যে হামলা করা হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছি। সাক্ষাতপ্রার্থী ছাত্রনেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের যেভাবে শারীরিক নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।
এদিকে উপাচার্যের দাবি, তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতাদের জন্য অপেক্ষা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের পরও তিনি ছাত্রদলের সভাপতিকে ফোন করে আসার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তারা কেউ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।
হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি হামলার ঘটনা পরে জেনেছি। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments