ঈদের খুশি গায়ে লাগেনি যাদের by রোমান কবির
ঈদ সবার জীবনেই বয়ে আনে আনন্দ। এই দিনে পিছনের সকল দুঃখ-ব্যাথা ভুলে গিয়ে খুশিতে ভেসে থাকতে চায় সবাই। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যাদের জীবনে ঈদ কখনোই তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
ঈদের দিনে রাজধানীতে এমন অনেক ছিন্নমূল মানুষজনের দেখা মেলে। বেঁচে থাকার তাগিদে তারা জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররমসহ পাড়া-মহল্লায় মসজিদের বাইরে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। কেউ দয়া করে দুই টাকা, পাঁচ টাকা দিলে সেটা পেয়ে বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মেটান তারা।
সোমবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ থেকে বায়তুল মোকাররমে ঘুরে দেখা যায় এই সব ছিন্নমূল মানুষদের ভিড়। কেউ টাকা দেওয়া শুরু করলে তার চারপাশে আরো অনেকের ভিড় লেগে যায়। এই নিয়ে পরস্পরের সাথে কাড়াকাড়ি, ঝগড়া এমনকি হাতাহাতিও লেগে যায়। কার আগে কে নেবে চলে এই প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই পথশিশুরাও।
যখন দেখা যায় ধনী ঘরের শিশুরা নানা রঙ্গের পাঞ্জাবী ও জামা পরে তাদের বাবার হাত ধরে ঈদগাহে নামাজ পড়তে বেরিয়েছে, সেই সময় তার বয়সই পথশিশুরা খালি গায়ে ছেড়া, ময়লা প্যান্ট জড়িয়ে দুটি টাকার জন্য দৌঁড়ে যাচ্ছে এক দ্বার থেকে অন্যদ্বারে।
জাতীয় ঈদগাহের পাশে আলী নামের এক পথশিশুর সাথে কথা হলে সে জানায় তার বাবা নেই, মা অসুস্থ। বড় একটি বোন আছে তার। টাকা তুলে মা ও বোনের জন্য খাবার নিয়ে যাবে সে।
কমলাপুরে একটি ঝুপড়িতে সে আর তার মা ও বোন বসবাস করে। সে কাগজ কুড়িয়ে যে পয়সা পায় তা দিয়ে চলে তাদের সংসার।
আলীর মত আরও অনেক পথশিশু পরিবারের জন্য খাবার কিনতে হাত পাতছে অন্যের কাছে। যখন ধনীর ছেলেরা বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরছে এটা ওটা কিনে দিতে। তখন সেই বয়সের আরেকটি ছেলে পরিবারের জন্য খাবার জোটাতেই ব্যস্ত। কোন রকমের বায়না নেই তাদের। দুট টাকা, পাচটি টাকা পেলেই খুশি তারা।
এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন, বেইলি রোড, শাহবাগ, বাংলামটর, গুলশান, ধানমন্ডি থেকে শুরু করে বিনোদন স্থানগুলোর বাইরেও দেখা যায় এদের ভিড়। একটু বেশি টাকার আশায় এসব স্থানে ছুটছে এসব পুরুষ-মহিলা-শিশুরা।
জীবন জীবিকার তাগিদে থেমে নেই শ্রমজীবি মানুষরাও। রিক্সাচালক, বাসচালক, হেলপারসহ শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ তাদের প্রিয় মানুষদের মুখে হাসি ফোঁটাতেই ঈদের দিন নেমে পড়েছেন কাজে।
পল্টনে রিক্সাওয়ালা শহিদুলের ঈদ কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, গরীব মানুষের আবার ঈদ। মা আর দুই বোনের সংসার। বোনদের বিয়ে দিতে হবে। আর মাকে ভাল রাখতে হবে। ঈদে তাদের জন্য তেমন কিছু কিনে দিতে পারিনি। তারপরও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
এত সমস্যা নিয়ে এই মানুষগুলো দিনাতিপাত করলেও কোন রাগ ও ক্ষোভ নেই তাদের। বেশি কিছু চাওয়ারও নেই তাদের। প্রিয়জনদের নিয়ে খেয়েপরে বেঁচে থাকাই তাদের পরম আনন্দের।
সোমবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ থেকে বায়তুল মোকাররমে ঘুরে দেখা যায় এই সব ছিন্নমূল মানুষদের ভিড়। কেউ টাকা দেওয়া শুরু করলে তার চারপাশে আরো অনেকের ভিড় লেগে যায়। এই নিয়ে পরস্পরের সাথে কাড়াকাড়ি, ঝগড়া এমনকি হাতাহাতিও লেগে যায়। কার আগে কে নেবে চলে এই প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই পথশিশুরাও।
যখন দেখা যায় ধনী ঘরের শিশুরা নানা রঙ্গের পাঞ্জাবী ও জামা পরে তাদের বাবার হাত ধরে ঈদগাহে নামাজ পড়তে বেরিয়েছে, সেই সময় তার বয়সই পথশিশুরা খালি গায়ে ছেড়া, ময়লা প্যান্ট জড়িয়ে দুটি টাকার জন্য দৌঁড়ে যাচ্ছে এক দ্বার থেকে অন্যদ্বারে।
জাতীয় ঈদগাহের পাশে আলী নামের এক পথশিশুর সাথে কথা হলে সে জানায় তার বাবা নেই, মা অসুস্থ। বড় একটি বোন আছে তার। টাকা তুলে মা ও বোনের জন্য খাবার নিয়ে যাবে সে।
কমলাপুরে একটি ঝুপড়িতে সে আর তার মা ও বোন বসবাস করে। সে কাগজ কুড়িয়ে যে পয়সা পায় তা দিয়ে চলে তাদের সংসার।
আলীর মত আরও অনেক পথশিশু পরিবারের জন্য খাবার কিনতে হাত পাতছে অন্যের কাছে। যখন ধনীর ছেলেরা বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরছে এটা ওটা কিনে দিতে। তখন সেই বয়সের আরেকটি ছেলে পরিবারের জন্য খাবার জোটাতেই ব্যস্ত। কোন রকমের বায়না নেই তাদের। দুট টাকা, পাচটি টাকা পেলেই খুশি তারা।
এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন, বেইলি রোড, শাহবাগ, বাংলামটর, গুলশান, ধানমন্ডি থেকে শুরু করে বিনোদন স্থানগুলোর বাইরেও দেখা যায় এদের ভিড়। একটু বেশি টাকার আশায় এসব স্থানে ছুটছে এসব পুরুষ-মহিলা-শিশুরা।
জীবন জীবিকার তাগিদে থেমে নেই শ্রমজীবি মানুষরাও। রিক্সাচালক, বাসচালক, হেলপারসহ শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ তাদের প্রিয় মানুষদের মুখে হাসি ফোঁটাতেই ঈদের দিন নেমে পড়েছেন কাজে।
পল্টনে রিক্সাওয়ালা শহিদুলের ঈদ কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, গরীব মানুষের আবার ঈদ। মা আর দুই বোনের সংসার। বোনদের বিয়ে দিতে হবে। আর মাকে ভাল রাখতে হবে। ঈদে তাদের জন্য তেমন কিছু কিনে দিতে পারিনি। তারপরও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
এত সমস্যা নিয়ে এই মানুষগুলো দিনাতিপাত করলেও কোন রাগ ও ক্ষোভ নেই তাদের। বেশি কিছু চাওয়ারও নেই তাদের। প্রিয়জনদের নিয়ে খেয়েপরে বেঁচে থাকাই তাদের পরম আনন্দের।
No comments