অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে মতৈক্যের আহ্বান বান কি-মুনের-বড় ধরনের অগ্রগতি ছাড়াই নিউ ইয়র্কে মাসব্যাপী আলোচনা শেষ
বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক চুক্তির ব্যাপারে মতপার্থক্য দূর করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন। নিউ ইয়র্কে অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত মাসব্যাপী আলোচনা শেষ হওয়ার এক দিন আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্বে প্রতিবছর ছয় হাজার থেকে সাত হাজার ডলারের অস্ত্র বাণিজ্য হয়। আর অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে সারা বিশ্বে বছরে প্রায় সাড়ে সাত লাখ লোক মারা যায়। এই বাণিজ্য-সংক্রান্ত সর্বজনীন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রায় এক মাস আগে নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক এক সম্মেলন শুরু হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অঙ্ফামসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সম্মিলিত আন্দোলনের ছয় বছরের মাথায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হলো। ১৯৩টি দেশ এতে যোগ দেয়। গতকাল শুক্রবার রাতে সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ বিশ্বের প্রধান অস্ত্র রপ্তারিকারক দেশগুলো বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র গোলা-বারুদ বিক্রির বিষয়গুলো চুক্তির বাইরে রাখতে চায়। আর হালকা অস্ত্র রপ্তানি-সংক্রান্ত বিষয়গুলো চুক্তির আওতামুক্ত রাখতে চায় চীন। রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে মানবিক ত্রাণ-সংক্রান্ত আইনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান, কিউবা ও আলজেরিয়াও চুক্তির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে নিউ ইয়র্ক সম্মেলন থেকে কোনো চুক্তির খসড়া বের হয়ে আসার জন্য অংশ নেওয়া সবগুলো দেশের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সবগুলো দেশই সেখানে ভেটো ক্ষমতা ভোগ করছে। গত মঙ্গলবার চুক্তির একটি খসড় প্রস্তাব প্রকাশের পর তা মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে। খসড়াটিকে 'অস্পষ্ট; এবং এর মাধ্যমে 'চুক্তি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে' বলে অভিযোগ ওঠে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বান কি-মুন বলেন, 'নিউ ইয়র্কে মাসব্যাপী সম্মেলনে খুব কমই অগ্রগতি এসেছে। মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে খোলা মনে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় সশস্ত্র সংঘাত ও সহিংসতার শিকার বেসামরিক লোকদের কাছে আমরা ঋণী থাকব।' এ দিকে ব্রিটিশ এক কূটনৈতিক জানান, অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত ঐতিহাসিক একটি চুক্তি সমঝোতায় পেঁৗছার দ্বারপ্রান্তে। দেশগুলো যদি কোনো চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হতে পারে, তবে তা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত হবে। কার্যকর হওয়ার জন্য সাধারণ পরিষদের ৬৫ সদস্যের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো পরবর্তিতে স্বতন্ত্রভাবে তা অনুমোদন করবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ বিশ্বের প্রধান অস্ত্র রপ্তারিকারক দেশগুলো বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র গোলা-বারুদ বিক্রির বিষয়গুলো চুক্তির বাইরে রাখতে চায়। আর হালকা অস্ত্র রপ্তানি-সংক্রান্ত বিষয়গুলো চুক্তির আওতামুক্ত রাখতে চায় চীন। রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে মানবিক ত্রাণ-সংক্রান্ত আইনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান, কিউবা ও আলজেরিয়াও চুক্তির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে নিউ ইয়র্ক সম্মেলন থেকে কোনো চুক্তির খসড়া বের হয়ে আসার জন্য অংশ নেওয়া সবগুলো দেশের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সবগুলো দেশই সেখানে ভেটো ক্ষমতা ভোগ করছে। গত মঙ্গলবার চুক্তির একটি খসড় প্রস্তাব প্রকাশের পর তা মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে। খসড়াটিকে 'অস্পষ্ট; এবং এর মাধ্যমে 'চুক্তি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে' বলে অভিযোগ ওঠে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বান কি-মুন বলেন, 'নিউ ইয়র্কে মাসব্যাপী সম্মেলনে খুব কমই অগ্রগতি এসেছে। মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে খোলা মনে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় সশস্ত্র সংঘাত ও সহিংসতার শিকার বেসামরিক লোকদের কাছে আমরা ঋণী থাকব।' এ দিকে ব্রিটিশ এক কূটনৈতিক জানান, অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত ঐতিহাসিক একটি চুক্তি সমঝোতায় পেঁৗছার দ্বারপ্রান্তে। দেশগুলো যদি কোনো চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হতে পারে, তবে তা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত হবে। কার্যকর হওয়ার জন্য সাধারণ পরিষদের ৬৫ সদস্যের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো পরবর্তিতে স্বতন্ত্রভাবে তা অনুমোদন করবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments