অসত্য হলফনামা দানকারীদের কী হবে- মন্ত্রী-সাংসদের প্লট
সংরক্ষিত কোটা মানেই বিশেষ সুযোগ। রাজউকের প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দের ক্ষেত্রেও এ ধরনের একটি বিধান রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের রাজধানীতে থাকার মতো কোনো বাড়ি বা জমি নেই, তাঁদের সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই বিধান।
বর্তমান সরকারের যে ১১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ৪৮ সাংসদ এই কোটায় প্লট পেলেন ‘জাতীয় পর্যায়ে’ তাঁরা কে কী অবদান রেখেছেন, সে প্রশ্ন না হয় আপাতত বাদ রইল। কিন্তু আইন ভঙ্গ ও নৈতিকতার প্রশ্নটি তো তুলতেই হচ্ছে।
ঢাকায় নিজের বা পরিবারের কারও নামে প্লট বা ফ্ল্যাট থাকলে রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী কেউ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন না। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের অনেকেরই নিজের অথবা পরিবারের নামে ঢাকায় জমি ও বাড়ি রয়েছে। অথচ আরও জমি পাওয়ার জন্য ‘জাতীয় পর্যায়ে’ অবদান রাখা এই ব্যক্তিরা ‘ঢাকায় নিজের বা পরিবারের নামে কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই’—এমন অসত্য হলফনামা পর্যন্ত দিয়েছেন।
১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফ করে অসত্য তথ্য দেওয়া ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে। জমি বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের অনেকেই এই কাজ করেছেন। এর মধ্যে ১১ জন সাংসদ তো এই জমি বরাদ্দ পাওয়ার আগে ঘোষিতভাবেই ঢাকা শহরে জমি বা ফ্ল্যাটের মালিক। গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নির্বাচন কমিশনে হলফনামা আকারে দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীতেই এর উল্লেখ রয়েছে। এমন কয়েকজন সাংসদ রয়েছেন যাঁরা রাজউকের উত্তরা ও পূর্বাচল দুটি প্রকল্প থেকেই জমি নিয়েছেন। এই আইন ভঙ্গকারীরা শুধু জনপ্রতিনিধিই নন, আইনপ্রণেতাও!
এবার নৈতিকতার প্রশ্ন। ১১ মন্ত্রী ও ৪৮ সাংসদ মিলিয়ে এই যে ৫৯ জন—তাঁদের আর্থিক অবস্থা কি সত্যিই এত করুণ, রাজধানীতে থাকার মতো সংগতি বা অবস্থাও তাঁদের নেই? তাঁরা কি এতটাই অসহায় অবস্থায় রয়েছেন যে সংরক্ষিত কোটার মাধ্যমে তাঁদের প্লট বরাদ্দ নিতে হলো! এরপর জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের সম্পর্কে জনগণের কী ধারণা হতে পারে তা অনুমান করা কঠিন নয়।
এক খণ্ড জমি বা প্লটের জন্য যাঁরা আইন ভেঙেছেন, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন এমন অনেকেই আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনপ্রণেতা। নৈতিকতার প্রশ্নটি নিজের বিবেচনা বোধের বিষয়, কিন্তু কেউ যেহেতু আইনের ঊর্ধ্বে নন, তাই আইন ভেঙে, অসত্য হলফনামা দিয়ে যাঁরা জমি নিয়েছেন, তার একটা বিহিত হওয়া দরকার। আইন যদি নিজের গতিতে চলে তবে অসত্য তথ্য দিয়ে যাঁরা জমি বরাদ্দ নিয়েছেন তাঁদের বরাদ্দ বাতিল হবে, অসত্য তথ্য দেওয়ার জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সরকার আইনকে নিজের গতিতে চলতে দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকায় নিজের বা পরিবারের কারও নামে প্লট বা ফ্ল্যাট থাকলে রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী কেউ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন না। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের অনেকেরই নিজের অথবা পরিবারের নামে ঢাকায় জমি ও বাড়ি রয়েছে। অথচ আরও জমি পাওয়ার জন্য ‘জাতীয় পর্যায়ে’ অবদান রাখা এই ব্যক্তিরা ‘ঢাকায় নিজের বা পরিবারের নামে কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই’—এমন অসত্য হলফনামা পর্যন্ত দিয়েছেন।
১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফ করে অসত্য তথ্য দেওয়া ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে। জমি বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের অনেকেই এই কাজ করেছেন। এর মধ্যে ১১ জন সাংসদ তো এই জমি বরাদ্দ পাওয়ার আগে ঘোষিতভাবেই ঢাকা শহরে জমি বা ফ্ল্যাটের মালিক। গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নির্বাচন কমিশনে হলফনামা আকারে দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীতেই এর উল্লেখ রয়েছে। এমন কয়েকজন সাংসদ রয়েছেন যাঁরা রাজউকের উত্তরা ও পূর্বাচল দুটি প্রকল্প থেকেই জমি নিয়েছেন। এই আইন ভঙ্গকারীরা শুধু জনপ্রতিনিধিই নন, আইনপ্রণেতাও!
এবার নৈতিকতার প্রশ্ন। ১১ মন্ত্রী ও ৪৮ সাংসদ মিলিয়ে এই যে ৫৯ জন—তাঁদের আর্থিক অবস্থা কি সত্যিই এত করুণ, রাজধানীতে থাকার মতো সংগতি বা অবস্থাও তাঁদের নেই? তাঁরা কি এতটাই অসহায় অবস্থায় রয়েছেন যে সংরক্ষিত কোটার মাধ্যমে তাঁদের প্লট বরাদ্দ নিতে হলো! এরপর জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের সম্পর্কে জনগণের কী ধারণা হতে পারে তা অনুমান করা কঠিন নয়।
এক খণ্ড জমি বা প্লটের জন্য যাঁরা আইন ভেঙেছেন, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন এমন অনেকেই আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনপ্রণেতা। নৈতিকতার প্রশ্নটি নিজের বিবেচনা বোধের বিষয়, কিন্তু কেউ যেহেতু আইনের ঊর্ধ্বে নন, তাই আইন ভেঙে, অসত্য হলফনামা দিয়ে যাঁরা জমি নিয়েছেন, তার একটা বিহিত হওয়া দরকার। আইন যদি নিজের গতিতে চলে তবে অসত্য তথ্য দিয়ে যাঁরা জমি বরাদ্দ নিয়েছেন তাঁদের বরাদ্দ বাতিল হবে, অসত্য তথ্য দেওয়ার জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সরকার আইনকে নিজের গতিতে চলতে দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments