এমআরডিআইয়ের সেমিনার- সুশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক পরিবেশ জরুরি
দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ‘জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন’ প্রয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করাটা জরুরি। হুইসেল ব্লোয়ারস প্রটেকশন অ্যাক্ট (জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ আইন) শীর্ষক এক সেমিনারে গতকাল সোমবার বক্তারা এই অভিমত দিয়েছেন।
তাঁদের মতে, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির মূলোৎপাটনে সব রাজনৈতিক দলের দৃঢ় অঙ্গীকার থাকাটা বাঞ্ছনীয়।
ইউএসএইড-প্রগতির সহযোগিতায় দুদক ও এমআরডিআই রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে গতকাল দুপুরে এ সেমিনারের আয়োজন করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ন্যান্স স্টাডিজের পরিচালক মঞ্জুর হোসেন। আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
মঞ্জুর হোসেন তাঁর উপস্থাপনায় গত বছর তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা প্রদান আইন প্রণীত হওয়ায় সরকারকে সাধুবাদ দেন। তিনি ওই আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুক্ত আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, এ আইন প্রয়োগের সময় খেয়াল রাখতে হবে, তথ্য প্রকাশকারীকে যাতে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতি নিয়ে প্রতিদিন গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সম্প্রতি প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য গোপন রেখে সাংসদদের একই সঙ্গে প্লট ও ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইন করে কোনো লাভ নেই।
মুক্ত আলোচনায় জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ আইনে তথ্য প্রকাশকারীর সংজ্ঞায় দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। এর উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু গণমাধ্যমে সাধারণভাবে অভিযোগগুলো প্রকাশিত হয়, সুতরাং গণমাধ্যম সুরক্ষা আইনের আওতায় আসে না।
মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন আইনবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাংসদ গোলাম মাওলা ও শাহরিয়ার আলম, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নসচিব আবু আলম মো. শহীদ খান এবং প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, সুরক্ষা আইন দুর্নীতি দূরীকরণে একটি বড় পদক্ষেপ। এই আইন তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন সাধারণ মানুষ এটি সম্পর্কে জানবে।
প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির বলেন, দায়বদ্ধতা না বাড়লে সুশাসন নিশ্চিত হয় না। সভাপতির বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর যদি ১০০ জন দুর্নীতিবাজেরও শাস্তি হতো, তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যেত। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান।
ইউএসএইড-প্রগতির সহযোগিতায় দুদক ও এমআরডিআই রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে গতকাল দুপুরে এ সেমিনারের আয়োজন করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ন্যান্স স্টাডিজের পরিচালক মঞ্জুর হোসেন। আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
মঞ্জুর হোসেন তাঁর উপস্থাপনায় গত বছর তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা প্রদান আইন প্রণীত হওয়ায় সরকারকে সাধুবাদ দেন। তিনি ওই আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুক্ত আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, এ আইন প্রয়োগের সময় খেয়াল রাখতে হবে, তথ্য প্রকাশকারীকে যাতে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতি নিয়ে প্রতিদিন গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সম্প্রতি প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য গোপন রেখে সাংসদদের একই সঙ্গে প্লট ও ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইন করে কোনো লাভ নেই।
মুক্ত আলোচনায় জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ আইনে তথ্য প্রকাশকারীর সংজ্ঞায় দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। এর উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু গণমাধ্যমে সাধারণভাবে অভিযোগগুলো প্রকাশিত হয়, সুতরাং গণমাধ্যম সুরক্ষা আইনের আওতায় আসে না।
মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন আইনবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাংসদ গোলাম মাওলা ও শাহরিয়ার আলম, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নসচিব আবু আলম মো. শহীদ খান এবং প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, সুরক্ষা আইন দুর্নীতি দূরীকরণে একটি বড় পদক্ষেপ। এই আইন তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন সাধারণ মানুষ এটি সম্পর্কে জানবে।
প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির বলেন, দায়বদ্ধতা না বাড়লে সুশাসন নিশ্চিত হয় না। সভাপতির বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর যদি ১০০ জন দুর্নীতিবাজেরও শাস্তি হতো, তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যেত। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান।
No comments