গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে মজীনা- ঋণগ্রহীতারাই এমডি নিয়োগের ক্ষমতা পাক

গ্রামীণ ব্যাংকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ হওয়া দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। মজীনা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে এমন একটি স্বতন্ত্র পর্ষদ থাকা দরকার, যাতে ঋণগ্রহীতাদেরই এমডি নিয়োগের ক্ষমতা থাকে।


গ্রামীণ ব্যাংক বিষয়ে এই মতামতের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একমত পোষণ করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মজীনা। সচিবালয়ে গতকাল সোমবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মজীনা এসব কথা বলেছেন। তবে অর্থমন্ত্রী এ নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো কথা বলেননি।
মজীনা বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে চমৎকার একটি বৈঠক হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রূপরেখা (টিকফা) চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে।
মজীনা বলেন, আগামী দিনের এশীয় ব্যাঘ্র হবে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের বড় বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হিমায়িত মৎস্য ইত্যাদি রপ্তানিতে বাংলাদেশ দিন দিন আরও ভালো করুক।’ বাংলাদেশ একদিন ঠিকই ‘সোনালি দেশ’ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
মজীনা বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। অর্থমন্ত্রীকে তিনি এ কথা বলে এসেছেন। সম্ভাব্য টিকফা বাস্তবায়িত হবে বলেও তিনি আশা করেন।
কর শনাক্তকরণ নম্বর চায় এনবিআর: গ্রামীণ ব্যাংক ও এর সহযোগী ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) জানালে তথ্য দিতে পারবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল এ কথা জানিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সদস্যসচিব এম এ কামালকে পাল্টা চিঠি দিয়েছে এনবিআরের আয়কর বিভাগ।
এর আগে গত ১ জুলাই গ্রামীণ ব্যাংক ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের তথ্য জানাতে এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছিল গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের আয়কর বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চল-১৪-এ এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু একেকটি কর অঞ্চলে হাজার হাজার আয়কর ফাইল থাকে। তাই পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়কর ফাইল খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে সূত্র জানায়।
গ্রামীণ কমিশনে পাঠানো চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংক ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর টিআইএন, কর সার্কেল ও কর অঞ্চলের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.