ওরা পথশিশু, ওদের জীবনে নেই ঈদের আনন্দ
কারো বাবা-মা থেকেও নেই। আবার কেউ কেউ জানেই না কে তাদের বাবা-মা। ঠিকানা নেই, পথই ওদের ঠিকানা। দিনভর পথে পথে ঘুরে বেড়ায়, রাতেও পথেই ঘুমায়। পথে এটা-ওটা কুড়িয়েই জীবন চলে ওদের। ওরা পথশিশু। কেউ কেউ ‘টোকাই’ বলে ডাকে। ওদের ঈদ নেই।
নেই ঈদের নতুন জামা-কাপড়, নেই কোনো আনন্দ। অন্যান্য দিনও যেমন ঈদের দিনও তেমনই ওদের কাছে। কোনো পার্থক্য নেই, নেই কোনো বাড়তি আয়োজন। রাজধানীর প্রায় সব পথশিশুরই একই ভাগ্য। এদেরই কয়েকজনের সাথে কথা হয় রাজধানীর গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায়।
গুলিস্তানে একত্রে থাকে গোলাপ শাহ (৭), আল আমিন (৮), জমির (১০), সুমন (৯) ও রাসেল (১২)।
এদের মধ্যে শুধু গোলাপ শাহ তার ঠিকানা জানে। বাড়ি ময়মনসিংহ। সেখানে মা আছেন। বাকিদের কোনো ঠিকানা নেই। নেই বাবা-মায়ের পরিচয়।
আল আমিন জানায়, বাবা-মা কে তা জানা নেই তার। পথেই বড় হয়েছে। কবে কোত্থেকে পথে এসেছে তা-ও মনে নেই। মনে নেই জমিরেরও। সুমন, রাসেল কেউই জানে না তাদের বাবা-মা কে। পথে যাকে পায় তাকেই ওরা আপন করে নেয়। একত্রে থাকে, ঘুমায়।
সুযোগ পেলে ‘পাঁচগুটি’ খেলে। দিনভর কাগজ কুড়ায়। তা বিক্রি করে যা পায় সবাই ভাগ করে খায়। আবার কখনো কখনো আশপাশের দোকান থেকে কিছু খাবার দেয়। ও খেয়েই দিন কেটে যায়।
ওরা জানে না ঈদ কী। ঈদে নতুন জামা পরবে কি না জানতে চাইলে গোলাপ শাহ বলে ‘আমগো ঈদ নেই। নতুন জামা দিবো কে?’ আল আমিন বলে, গত বছর একজনে একটি জামা দিয়েছিল। এবার কেউ দেয়নি।
রাসেল বলে, ‘নতুন জামা দিয়ে কী অইবো। রাস্তায় ঘুম গেলে কি জামা নতুন থাকে।’ ওরা জানায়, কবে কে কোত্থেকে এখানে এসেছে বলতে পারবে না। এখন সবাই একত্রে থাকে। রাতে ফুটপাথে বা রোড ডিভাইডারের ওপর ঘুমায়। কখনো কখনো তা-ও ঘুমাতে পারে না। পুলিশ বা দারোয়ানরা ঝামেলা করে। ঘুম থেকে তুলে দেয়। বৃষ্টি হলে কোথাও গুটিশুটি হয়ে সবাই একত্রে বসে থাকে।
পল্টন মোড়ের এক পথশিশু রুবেল জানায়, ওরা লেখাপড়া করে না। পড়ালেখা কী তাই জানে না কেউ। নেশা করার কথা স্বীকার করল ওরা। বলল ‘ডান্ডি খাই’।
ডান্ডি কী জানতে চাইলে বলল ‘জুতার গাম’। ওগুলো পলিথিনের মধ্যে নিয়ে তাতে মুখ ঢুকিয়ে শ্বাস টেনে নেশা করে ওরা। সুমন বলল, কখন কিভাবে নেশা ধরেছে তা মনে নেই। তবে এখন নেশা না করলে ঘুমাতে পারে না। নেশা করে ঘুমালে মশায় কামড়ায়।
পল্টন মোড়েও দেখা মেলে বেশ কয়েকজন পথশিশুর। আজ ঈদ, শুধু এতটুকুই জানে ওরা। আরো বলল ঈদে বাড়তি কোনো আনন্দ নেই। ঈদের দিনেও ওদের পথে কাগজ কুড়াতে হবে। তা না হলে খাবার জুটবে না।
এখানে যেসব পথশিশু রয়েছে তাদেরও কোনো ঠিকানা নেই। নেই বাবা-মায়ের পরিচয়। ভুট্টো নামের এক শিশু জানায়, ওর বয়স হবে ছয়-সাত বছর। কিভাবে এখানে এসেছে সে জানে না।
তবে এখন এখানেই তার ঠিকানা। ঈদের দিন নতুন জামা পরতে ইচ্ছে হয় কি না জানতে চাইলে সে বলে, ‘কে দিবো’।
গুলিস্তানে একত্রে থাকে গোলাপ শাহ (৭), আল আমিন (৮), জমির (১০), সুমন (৯) ও রাসেল (১২)।
এদের মধ্যে শুধু গোলাপ শাহ তার ঠিকানা জানে। বাড়ি ময়মনসিংহ। সেখানে মা আছেন। বাকিদের কোনো ঠিকানা নেই। নেই বাবা-মায়ের পরিচয়।
আল আমিন জানায়, বাবা-মা কে তা জানা নেই তার। পথেই বড় হয়েছে। কবে কোত্থেকে পথে এসেছে তা-ও মনে নেই। মনে নেই জমিরেরও। সুমন, রাসেল কেউই জানে না তাদের বাবা-মা কে। পথে যাকে পায় তাকেই ওরা আপন করে নেয়। একত্রে থাকে, ঘুমায়।
সুযোগ পেলে ‘পাঁচগুটি’ খেলে। দিনভর কাগজ কুড়ায়। তা বিক্রি করে যা পায় সবাই ভাগ করে খায়। আবার কখনো কখনো আশপাশের দোকান থেকে কিছু খাবার দেয়। ও খেয়েই দিন কেটে যায়।
ওরা জানে না ঈদ কী। ঈদে নতুন জামা পরবে কি না জানতে চাইলে গোলাপ শাহ বলে ‘আমগো ঈদ নেই। নতুন জামা দিবো কে?’ আল আমিন বলে, গত বছর একজনে একটি জামা দিয়েছিল। এবার কেউ দেয়নি।
রাসেল বলে, ‘নতুন জামা দিয়ে কী অইবো। রাস্তায় ঘুম গেলে কি জামা নতুন থাকে।’ ওরা জানায়, কবে কে কোত্থেকে এখানে এসেছে বলতে পারবে না। এখন সবাই একত্রে থাকে। রাতে ফুটপাথে বা রোড ডিভাইডারের ওপর ঘুমায়। কখনো কখনো তা-ও ঘুমাতে পারে না। পুলিশ বা দারোয়ানরা ঝামেলা করে। ঘুম থেকে তুলে দেয়। বৃষ্টি হলে কোথাও গুটিশুটি হয়ে সবাই একত্রে বসে থাকে।
পল্টন মোড়ের এক পথশিশু রুবেল জানায়, ওরা লেখাপড়া করে না। পড়ালেখা কী তাই জানে না কেউ। নেশা করার কথা স্বীকার করল ওরা। বলল ‘ডান্ডি খাই’।
ডান্ডি কী জানতে চাইলে বলল ‘জুতার গাম’। ওগুলো পলিথিনের মধ্যে নিয়ে তাতে মুখ ঢুকিয়ে শ্বাস টেনে নেশা করে ওরা। সুমন বলল, কখন কিভাবে নেশা ধরেছে তা মনে নেই। তবে এখন নেশা না করলে ঘুমাতে পারে না। নেশা করে ঘুমালে মশায় কামড়ায়।
পল্টন মোড়েও দেখা মেলে বেশ কয়েকজন পথশিশুর। আজ ঈদ, শুধু এতটুকুই জানে ওরা। আরো বলল ঈদে বাড়তি কোনো আনন্দ নেই। ঈদের দিনেও ওদের পথে কাগজ কুড়াতে হবে। তা না হলে খাবার জুটবে না।
এখানে যেসব পথশিশু রয়েছে তাদেরও কোনো ঠিকানা নেই। নেই বাবা-মায়ের পরিচয়। ভুট্টো নামের এক শিশু জানায়, ওর বয়স হবে ছয়-সাত বছর। কিভাবে এখানে এসেছে সে জানে না।
তবে এখন এখানেই তার ঠিকানা। ঈদের দিন নতুন জামা পরতে ইচ্ছে হয় কি না জানতে চাইলে সে বলে, ‘কে দিবো’।
No comments