ঈদের দিনে পা হারানো লিমন ও তার মা-ভাইয়ের ওপর হামলা by জাকিয়া আহমেদ ও রহিম রেজা
র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন ও তার মা-ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে র্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারী ইব্রাহিম নামের এক যুবক। সোমবার সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ইদুরগ্রাম এলাকায় তাদের মারপিট করে ইব্রাহিম। ইব্রাহিম সাতুরিয়া গ্রামের রশিদের ছেলে।
লিমন বাংলানিউজকে জানান, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রাতুরিয়া ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামে ঈদ উদযাপন শেষে পিরোজপুর জেলার কাউখালীর ভাড়া বাসায় ফেরার পথে ইদুরবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে ইব্রাহিম।
এ সময় তার মা হেনোয়ারা বেগম (৪০) ও বড় ভাই সুমন (২৫) এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়।
এতে লিমনের মা ও ভাই আহত হন। পরে এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে লিমনের মাকে ভর্তি করেছেন। লিমন ও তার ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লিমন বাংলানিউজকে ফোনে আরো বলেন, ‘‘গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। কাউখালীতে ফেরার পথে র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচিত স্থানীয় মৃত আব্দৃর রশীদের ছেলে ইবরাহীম তাকে বলে, গ্রামে আসছো কেন?’’
‘‘এ কথা বলে ইব্রাহিম আমাকে দুই গালে চড়-থাপ্পড় মারে । আমাকে বাঁচাতে এ সময় আমার মা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে।’’
রাজাপুর স্বাস্থ্য উপজেলা কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল ফোনে বাংলানউজের ঢাকা অফিসকে জানান, লিমনের সমস্যা নাই। তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। কিন্তু ওর মায়ের আঘাত রয়েছে। তার বাম ভ্রুয়ের ওপরে ফুলে গিয়েছে। বোধ হয় ঘুষি মেরেছে। মাথার দুই পাশেও আঘাত রয়েছে। ঘুষি অথবা ভোতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
লিমন পরে আরও বলেন, ‘‘মাকে কয়েকদিন হাসপাতালে রাখতে হতে পারে। এখনও কিছু বলতে পারছি না।’’ লিমন এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনার পর রাজাপুর থানা পুলিশ ও র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে পা হারান ঝালকাঠির কলেজছাত্র রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের লিমন হোসেন। র্যাবের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম। মামলায় র্যাবকে ‘নির্দোষ’ দেখিয়ে গত ১৪ আগস্ট চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
একই ঘটনায় লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দু’টি মামলায় লিমনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ আছে সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এ সময় তার মা হেনোয়ারা বেগম (৪০) ও বড় ভাই সুমন (২৫) এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়।
এতে লিমনের মা ও ভাই আহত হন। পরে এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে লিমনের মাকে ভর্তি করেছেন। লিমন ও তার ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লিমন বাংলানিউজকে ফোনে আরো বলেন, ‘‘গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। কাউখালীতে ফেরার পথে র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচিত স্থানীয় মৃত আব্দৃর রশীদের ছেলে ইবরাহীম তাকে বলে, গ্রামে আসছো কেন?’’
‘‘এ কথা বলে ইব্রাহিম আমাকে দুই গালে চড়-থাপ্পড় মারে । আমাকে বাঁচাতে এ সময় আমার মা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে।’’
রাজাপুর স্বাস্থ্য উপজেলা কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল ফোনে বাংলানউজের ঢাকা অফিসকে জানান, লিমনের সমস্যা নাই। তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। কিন্তু ওর মায়ের আঘাত রয়েছে। তার বাম ভ্রুয়ের ওপরে ফুলে গিয়েছে। বোধ হয় ঘুষি মেরেছে। মাথার দুই পাশেও আঘাত রয়েছে। ঘুষি অথবা ভোতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
লিমন পরে আরও বলেন, ‘‘মাকে কয়েকদিন হাসপাতালে রাখতে হতে পারে। এখনও কিছু বলতে পারছি না।’’ লিমন এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনার পর রাজাপুর থানা পুলিশ ও র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে পা হারান ঝালকাঠির কলেজছাত্র রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের লিমন হোসেন। র্যাবের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম। মামলায় র্যাবকে ‘নির্দোষ’ দেখিয়ে গত ১৪ আগস্ট চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
একই ঘটনায় লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দু’টি মামলায় লিমনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ আছে সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
No comments