দেশিয়ানার জয়কে অভিনন্দন- পোশাক-বিপ্লব
কিছু বিপ্লব হুড়মুড় করে আসে, কিছু ঘটে নীরবে। বাংলাদেশে এমনই এক নীরব কিন্তু চোখে পড়ার মতো রুচি-বিপ্লব ঘটে গেছে। প্রতিবছর ঈদ বা পয়লা বৈশাখের মতো বড় উৎসব এলে সেই বিপ্লব মহাসমারোহে দৃশ্যমান হয়। অন্য ক্ষেত্রে না হোক, পোশাকের বেলায় আমরা রীতিমতো বাঙালি হয়েই আছি।
দেশি কাপড়, দেশি শৈলী, দেশি প্রতিষ্ঠানের পোশাকে ‘দেশি’ ভাবের এই উদ্যাপনকে এখন অভিনন্দন জানানোর সময় এসেছে। এই অভিনন্দন তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজাইনারদেরই প্রাপ্য।
পোশাকে পরিচয়ের ছাপ থাকে। বিশ্বায়নের তোড়ে বিলেতি ধাঁচ আর বলিউডি ছাঁচ যখন সবকিছুকে ঢেকে ফেলছে, তখন খাস ঢাকাই পোশাক মাথা ফুঁড়ে জানান দিয়েছে ‘আমরা মরে যাইনি আজও’। দেশি পোশাক বাঙালি পরিচয়কে ফ্যাশনের কায়দায় জনপ্রিয়ও করেছে। ক্ষমতাবান দেশের পোশাক-আশাক আর খাদ্যরুচিকে অন্তত পোশাকের ক্ষেত্রে ‘সামাল সামাল’ জানাতে পেরেছে বাংলাদেশের এই পোশাক-বিপ্লব। এর রং আর ঢং, কারিগর আর ভোক্তা, সর্বোপরি এর উদ্যোক্তা সবাই তরুণ-তরুণী। খুব ছোট থেকে দিনে দিনে এরা বড় হয়ে এখন দেশময় ঢাকাই ফতুয়া-পাঞ্জাবি-কামিজ আর টি-শার্টের প্লাবন বইয়ে দিয়েছে। একদা যা ছিল ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের উদ্ভাবনা, এখন সারা দেশের শহরগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমারখালীর গামছা, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক-তসর কেবলই ‘ঐতিহ্য’ নয় আর; এখন এসব সব বয়সের মানুষের দৈনন্দিন সঙ্গী। পোশাকে লেপ্টে গেছে বাংলার ঋতু, নিসর্গ, বর্ণমালা, কবিতা, রূপকথা, পতাকার রং, জাতীয় ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে জাতীয় ঐতিহ্য ও গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাস। শিশুদের পোশাকে বাঙালি সংস্কৃতির এই ছাপ নিঃসন্দেহে তাদের মনে স্বতঃস্ফূর্ত দেশিয়ানা জাগায়। এমনকি কলকাতায়ও ঢাকাই স্টাইলের জয়জয়কার। বিদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদেরও দেখা যায় বাংলাদেশি ফতুয়া, শাড়ি বা পাঞ্জাবির আকর্ষণে মাততে। ফতুয়া ও টি-শার্টকে লিঙ্গনির্বিশেষে সবার পোশাক করতে পারাও একধরনের সাংস্কৃতিক অগ্রগতি।
আর এর সবই ঘটেছে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে একদল জেদি, সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবনাপূর্ণ তরুণের মাধ্যমে। এর বাণিজ্যিক গুরুত্বও কম নয়। এর কারণে দেশীয় কুটিরশিল্প টিকে যেতে পেরেছে। আর এটা ঘটতে পেরেছে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ছাড়াই। ব্যাপারটা যখন ঘটে গেছে, তখন রাষ্ট্র পারে না পৃষ্ঠপোষকতা, প্যাটেন্ট এবং বাণিজ্যিক বিকাশে তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে?
পোশাকে পরিচয়ের ছাপ থাকে। বিশ্বায়নের তোড়ে বিলেতি ধাঁচ আর বলিউডি ছাঁচ যখন সবকিছুকে ঢেকে ফেলছে, তখন খাস ঢাকাই পোশাক মাথা ফুঁড়ে জানান দিয়েছে ‘আমরা মরে যাইনি আজও’। দেশি পোশাক বাঙালি পরিচয়কে ফ্যাশনের কায়দায় জনপ্রিয়ও করেছে। ক্ষমতাবান দেশের পোশাক-আশাক আর খাদ্যরুচিকে অন্তত পোশাকের ক্ষেত্রে ‘সামাল সামাল’ জানাতে পেরেছে বাংলাদেশের এই পোশাক-বিপ্লব। এর রং আর ঢং, কারিগর আর ভোক্তা, সর্বোপরি এর উদ্যোক্তা সবাই তরুণ-তরুণী। খুব ছোট থেকে দিনে দিনে এরা বড় হয়ে এখন দেশময় ঢাকাই ফতুয়া-পাঞ্জাবি-কামিজ আর টি-শার্টের প্লাবন বইয়ে দিয়েছে। একদা যা ছিল ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের উদ্ভাবনা, এখন সারা দেশের শহরগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমারখালীর গামছা, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক-তসর কেবলই ‘ঐতিহ্য’ নয় আর; এখন এসব সব বয়সের মানুষের দৈনন্দিন সঙ্গী। পোশাকে লেপ্টে গেছে বাংলার ঋতু, নিসর্গ, বর্ণমালা, কবিতা, রূপকথা, পতাকার রং, জাতীয় ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে জাতীয় ঐতিহ্য ও গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাস। শিশুদের পোশাকে বাঙালি সংস্কৃতির এই ছাপ নিঃসন্দেহে তাদের মনে স্বতঃস্ফূর্ত দেশিয়ানা জাগায়। এমনকি কলকাতায়ও ঢাকাই স্টাইলের জয়জয়কার। বিদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদেরও দেখা যায় বাংলাদেশি ফতুয়া, শাড়ি বা পাঞ্জাবির আকর্ষণে মাততে। ফতুয়া ও টি-শার্টকে লিঙ্গনির্বিশেষে সবার পোশাক করতে পারাও একধরনের সাংস্কৃতিক অগ্রগতি।
আর এর সবই ঘটেছে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে একদল জেদি, সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবনাপূর্ণ তরুণের মাধ্যমে। এর বাণিজ্যিক গুরুত্বও কম নয়। এর কারণে দেশীয় কুটিরশিল্প টিকে যেতে পেরেছে। আর এটা ঘটতে পেরেছে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ছাড়াই। ব্যাপারটা যখন ঘটে গেছে, তখন রাষ্ট্র পারে না পৃষ্ঠপোষকতা, প্যাটেন্ট এবং বাণিজ্যিক বিকাশে তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে?
No comments