মনে পড়ে সেই দিন by নাজমুল আলম
ঈদ কাছাকাছি এলেই মাঝেমধ্যে একটা ঘোরের ভেতর হারিয়ে যাই। নস্টালজিয়া ভর করে বসে। হারিয়ে যাই সেই শৈশবে। আপন মনে হেসে উঠি নিজের বোকামিগুলোর কথা মনে করে। বয়স যখন আট-নয়, তখন ঈদের নতুন জামাকাপড়ের প্রতি অন্য রকম একটা নিবিড় টান ছিল। দিনে অন্তত দুবার কাপড়গুলো বের করে দেখতাম।
কাজটি করতে হতো খুব সাবধানে ও সংগোপনে। যদি কেউ দেখে ফেলে, তাহলে তো ঈদ শেষ। একবার রোজার ঈদের আগে আমার মা পাশের বাড়ির এক চাচিকে ঈদের জন্য কিনে আনা শার্ট-প্যান্টগুলো দেখাচ্ছিলেন। আমি খেলতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরে দেখি সেই ভয়ংকর দৃশ্য! আমার সব নতুন জামাকাপড় টিটুর মা নেড়েচেড়ে দেখছেন। টিটু আমার ছোটবেলার চরম প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু। সবকিছুতেই ওর সঙ্গে আমার বিতর্ক হতো। মাঝেমধ্যে হাতাহাতিও হতো। আর তার মা কিনা, ওহ্! আমি কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। আমার মাথাটা একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। রাগে আমার শরীর থরথর করে কাঁপছিল। আমি দৌড়ে গিয়ে বালিশের নিচে মাথা গুঁজে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে শুরু করলাম। আর একটু পর পর মাথা তুলে দেখছিলাম, কেউ দেখছে কি না। কারণ, এই কান্নার ঘটনা বাইরে ফাঁস হয়ে গেলে পাড়ায় আর মুখ দেখানো যাবে না। অথচ কান্নাটাও থামানো যাচ্ছে না। কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সভাপতি, বন্ধুসভা, রংপুর।
সভাপতি, বন্ধুসভা, রংপুর।
No comments