সাত ভাইবোন সাতসকালে by আসাদ সরকার
ঈদের দিন ভোরে বিছানা ছেড়ে গোসল সেরে নেওয়ার ব্যাপারে বাবা কোনোভাবেই ছাড় দিতে চান না। আর তাই কনকনে শীতের ঈদেও আমরা সাত ভাইবোন সাতসকালে গোসল করা এবং থর থর করে কাঁপা থেকে রেহাই পাইনি কখনো। কয়েক বছর আগের এক ঈদের সময় সারা দেশে শৈতপ্রবাহ চলছিল।
সেই ঈদে আমরা সবাই ধরে নিয়েছিলাম, এ ঈদে অন্তত বাবা আমাদের রেহাই দেবেন। কিন্তু না, বরং সেই ঈদে একটু বেশি সকালেই বাবা সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করলেন। গোসলের পর আমাদের অবস্থা এমন হলো যে সবাই কাঁপতে কাঁপতে আবার লেপের নিচে ঢুকে পড়লাম। বাবা তা মলিন মুখে দেখলেন। আমরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু হায়! কোথায় বাঁচা ! কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই বাবা আবার সবাইকে ডেকে একসঙ্গে করলেন। আমাদের উঠোনের সারিবদ্ধ নারকেলগাছগুলো দেখিয়ে তিনি বোঝালেন সূর্য উঠেছে। আমাদের আর পায় কে? এক দৌড়ে সবাই জমায়েত হলাম উঠোনের সেই নারকেলতলায়। বাবাও এসে যোগ দিলেন। টানা তিন দিন পর ওঠা সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ আগে পুকুরের পানিতে গোসল করা আমাদের শুরু হলো সূর্যস্নান। মা তাতে যোগ করলেন ঈদের আমেজ। সবার হাতে পৌঁছে দিলেন সেমাইয়ের বাটি। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নারকেলতলায় দাঁড়িয়ে সাতসকালে সূর্যের রোদে সেমাই খাওয়া সেই ঈদ কখনোই ভোলার নয়।
সেই ঈদে আমরা সবাই ধরে নিয়েছিলাম, এ ঈদে অন্তত বাবা আমাদের রেহাই দেবেন। কিন্তু না, বরং সেই ঈদে একটু বেশি সকালেই বাবা সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করলেন। গোসলের পর আমাদের অবস্থা এমন হলো যে সবাই কাঁপতে কাঁপতে আবার লেপের নিচে ঢুকে পড়লাম। বাবা তা মলিন মুখে দেখলেন। আমরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু হায়! কোথায় বাঁচা ! কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই বাবা আবার সবাইকে ডেকে একসঙ্গে করলেন। আমাদের উঠোনের সারিবদ্ধ নারকেলগাছগুলো দেখিয়ে তিনি বোঝালেন সূর্য উঠেছে। আমাদের আর পায় কে? এক দৌড়ে সবাই জমায়েত হলাম উঠোনের সেই নারকেলতলায়। বাবাও এসে যোগ দিলেন। টানা তিন দিন পর ওঠা সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ আগে পুকুরের পানিতে গোসল করা আমাদের শুরু হলো সূর্যস্নান। মা তাতে যোগ করলেন ঈদের আমেজ। সবার হাতে পৌঁছে দিলেন সেমাইয়ের বাটি। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নারকেলতলায় দাঁড়িয়ে সাতসকালে সূর্যের রোদে সেমাই খাওয়া সেই ঈদ কখনোই ভোলার নয়।
No comments