সনদসর্বস্ব কারিগরি শিক্ষার দায় কার? by পাপন বড়ুয়া শাকিল
গত ১২ মে সমকালের খোলা চোখে পাতায় প্রকাশিত মাইনুল এইচ সিরাজীর সনদসর্বস্ব কারিগরি শিক্ষা লেখাটি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। লেখক কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। লেখক বর্তমান কারিগরি শিক্ষা সংকটের জন্য শিক্ষক সংকট, শিক্ষক সম্মানী ও নকল প্রবণতাকে দায়ী করলেও আমি
একজন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী ও সংশিল্গষ্ট পেশাজীবী হিসেবে মনে করি, এই সংকট আরও গভীর। প্রকৌশল ডিপেল্গামা কোর্সকে মানহীন করতে কিছু কারিগরি আমলা এবং একটি কুচক্রী মহল সক্রিয়।
সাধারণ শিক্ষায় এসএসসি পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল ডিপেল্গামা কোর্স সম্পন্ন করে কর্মক্ষেত্রে সরাসরি উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পরে দক্ষতা ও যোগ্যতা বলে সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে শীর্য পদে অনেক ডিপেল্গামা ইঞ্জিনিয়ার অবস্থান করেন। তাই একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে পলিটেকনিক শিক্ষা কার্যক্রমকে মানহীন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মেধাবী শিক্ষকরা যেন পলিটেকনিক শিক্ষকতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন সে জন্য তাদের পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ১৯৫৫ সাল থেকে উচ্চ শিক্ষিত পলিটেকনিক শিক্ষকরা প্রশিক্ষক হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ সাল থেকে শিক্ষকরা তাদের প্রভাষক-অধ্যাপক কাঠামোতে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন। উলেল্গখ্য, ডিপেল্গামা ইঞ্জিনিয়ারিং চার বছরের কোর্স কিন্তু ডিপেল্গামা কমার্স (কর্মাশিয়াল ইনস্টিটিউট) কোর্স দুই বছরের হলেও শিক্ষকদের পদবি প্রভাষক-অধ্যাপক কাঠামোর। আরেক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষক চক্র প্রাইভেট বাণিজ্য ও অবাধে নকল করার সুযোগ দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাবিমুখ করে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যদিও কারিগরি শিক্ষায় প্রাইভেটের কোনো প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না। বরং উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পেশাগত ক্ষেত্রেও ডিপেল্গামা ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে, কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি পেশাজীবীদের অবস্থান নিশ্চিত করে কারিগরি শিক্ষার সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে।
ৎ ডিপেল্গামা প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম
সাধারণ শিক্ষায় এসএসসি পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল ডিপেল্গামা কোর্স সম্পন্ন করে কর্মক্ষেত্রে সরাসরি উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পরে দক্ষতা ও যোগ্যতা বলে সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে শীর্য পদে অনেক ডিপেল্গামা ইঞ্জিনিয়ার অবস্থান করেন। তাই একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে পলিটেকনিক শিক্ষা কার্যক্রমকে মানহীন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মেধাবী শিক্ষকরা যেন পলিটেকনিক শিক্ষকতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন সে জন্য তাদের পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ১৯৫৫ সাল থেকে উচ্চ শিক্ষিত পলিটেকনিক শিক্ষকরা প্রশিক্ষক হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ সাল থেকে শিক্ষকরা তাদের প্রভাষক-অধ্যাপক কাঠামোতে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন। উলেল্গখ্য, ডিপেল্গামা ইঞ্জিনিয়ারিং চার বছরের কোর্স কিন্তু ডিপেল্গামা কমার্স (কর্মাশিয়াল ইনস্টিটিউট) কোর্স দুই বছরের হলেও শিক্ষকদের পদবি প্রভাষক-অধ্যাপক কাঠামোর। আরেক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষক চক্র প্রাইভেট বাণিজ্য ও অবাধে নকল করার সুযোগ দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাবিমুখ করে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যদিও কারিগরি শিক্ষায় প্রাইভেটের কোনো প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না। বরং উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পেশাগত ক্ষেত্রেও ডিপেল্গামা ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে, কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি পেশাজীবীদের অবস্থান নিশ্চিত করে কারিগরি শিক্ষার সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে।
ৎ ডিপেল্গামা প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম
No comments