পাকিস্তানি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ
ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার অভিযোগে পাকিস্তানি এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিশন। শাকিল আফ্রিদি নামে ওই চিকিৎসক বর্তমানে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হেফাজতে আছেন।মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সহায়তায় অ্যাবোটাবাদে ভুয়া টিকাদান কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ রয়েছে শাকিলের বিরুদ্ধে। বিন লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই সিআইএ ওই কর্মসূচি পরিচালনা করে।
বিন লাদেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করাই ছিল কর্মসূচির মুখ্য উদ্দেশ্য। বিন লাদেন হত্যা তদন্তে গঠিত কমিশন গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় শাকিলের বিচার হওয়া উচিত।
অ্যাবোটাবাদ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অভিযানে বিন লাদেন হত্যার ঘটনা তদন্তে পাকিস্তান সরকার ওই কমিশন গঠন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র 'নিঃশব্দে' কিভাবে ওই অভিযান চালাতে সক্ষম হলো এবং সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিন লাদেনই বা কিভাবে বছরের পর বছর ধরে আ্যবোটাবাদে ছিলেন_তা বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। ইতিমধ্যে তারা সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং শাকিলকে জেরা করেছে।
পাকিস্তানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র আগাম কিছু না জানিয়ে তাদের মাটিতে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে কমিশন জানায়, 'যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে শাকিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিত।' তবে কী তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। পাকিস্তানে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে শাকিল শেষ পর্যন্ত বিন লাদেন বা তাঁর পরিবারের কারো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন কি না তা জানা যায়নি। অ্যাবোটাবাদে গত ২ মে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে বিন লাদেন মারা যান। ওই মাসেই শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু থেকেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তদন্ত কমিশনের বিবৃতিতে উভয় পক্ষের টানাটানির সম্পর্ক নতুন করে বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, কূটনীতিক, পুলিশ প্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই কমিশন গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
অ্যাবোটাবাদ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অভিযানে বিন লাদেন হত্যার ঘটনা তদন্তে পাকিস্তান সরকার ওই কমিশন গঠন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র 'নিঃশব্দে' কিভাবে ওই অভিযান চালাতে সক্ষম হলো এবং সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিন লাদেনই বা কিভাবে বছরের পর বছর ধরে আ্যবোটাবাদে ছিলেন_তা বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। ইতিমধ্যে তারা সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং শাকিলকে জেরা করেছে।
পাকিস্তানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র আগাম কিছু না জানিয়ে তাদের মাটিতে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে কমিশন জানায়, 'যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে শাকিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিত।' তবে কী তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। পাকিস্তানে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে শাকিল শেষ পর্যন্ত বিন লাদেন বা তাঁর পরিবারের কারো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন কি না তা জানা যায়নি। অ্যাবোটাবাদে গত ২ মে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে বিন লাদেন মারা যান। ওই মাসেই শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু থেকেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তদন্ত কমিশনের বিবৃতিতে উভয় পক্ষের টানাটানির সম্পর্ক নতুন করে বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, কূটনীতিক, পুলিশ প্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই কমিশন গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments