ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আরও উসকে দেবে
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর নানা ঘটনায় আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে এখন বেশ টানাপোড়েন চলছে। এই অবস্থার মধ্যে গত মঙ্গলবার ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারি চুক্তি হয়েছে। পাকিস্তানের জন্য এ চুক্তি মোটেও সুখকর নয়। আফগানিস্তানের ওপর ভারত প্রভাব বিস্তার করবে—এটা পাকিস্তান ভালোভাবে নেবে না।
আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তান অন্যতম ভূমিকা রাখতে চায়। এ জন্য যেকোনো ধরনের আলোচনায় মুখ্য ভূমিকা পালনের দাবি করে ইসলামাবাদ। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সহায়তা ও বিনিয়োগ করে নিজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করতে আগ্রহী ভারত।
এ পরিস্থিতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের অংশীদারি চুক্তি ইসলামাবাদের আরও একা হয়ে পড়ারই ইঙ্গিত দেয়। চুক্তি অনুযায়ী, আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভারত। একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারত বড় ধরনের সাহায্য দেবে কাবুলকে।
চুক্তির ফলে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা ব্যাহত হবে, যা ইসলামাবাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা যতটা সম্ভব সীমিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে পাকিস্তান। এ জন্য তাঁরা ওয়াশিংটনকে ক্ষুব্ধ করে হলেও হাক্কানি নেটওয়ার্ককে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে।
আফগান-ভারত চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় খুবই সংযত মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইউসুফ রাজা গিলানি। তিনি বলেছেন, ‘উভয় দেশই (ভারত ও আফগানিস্তান) স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। কাজেই নিজেদের মধ্যে যেকোনো কিছু করার অধিকার তাদের আছে।’
তবে পাকিস্তানের ডানপন্থী পত্রিকা দ্য নেশন লিখেছে, এ চুক্তি আরও ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে এবং এতে করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কেউ-ই উপকৃত হবে না।
পাকিস্তানের সামরিক বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা আরও একটু এগিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান ইস্যু পাকিস্তান ও ভারতের দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে দেবে। কারণ, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত এবং এটাকে পাকিস্তান মোটেও নিজেদের স্বার্থের অনুকূল মনে করবে না।’
পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শীতল সম্পর্কের শুরু গত মে মাস থেকে। ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেন মার্কিন কমান্ডোরা। এই অভিযানের আগে পাকিস্তানকে কোনোকিছুই জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষুব্ধ হয় পাকিস্তান। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছে।
এ ছাড়া কয়েক দিন আগে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন শীর্ষপর্যায়ের একজন সামরিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগাযোগ রয়েছে। গত মাসে এ সংগঠনই কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বলে তাঁদের অভিযোগ।
হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করলেও সহযোগিতার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। বিষয়টি ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে শীতল করে তোলে। সম্প্রতি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও বোরহানউদ্দিন রাব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তান অন্যতম ভূমিকা রাখতে চায়। এ জন্য যেকোনো ধরনের আলোচনায় মুখ্য ভূমিকা পালনের দাবি করে ইসলামাবাদ। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সহায়তা ও বিনিয়োগ করে নিজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করতে আগ্রহী ভারত।
এ পরিস্থিতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের অংশীদারি চুক্তি ইসলামাবাদের আরও একা হয়ে পড়ারই ইঙ্গিত দেয়। চুক্তি অনুযায়ী, আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভারত। একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারত বড় ধরনের সাহায্য দেবে কাবুলকে।
চুক্তির ফলে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা ব্যাহত হবে, যা ইসলামাবাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা যতটা সম্ভব সীমিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে পাকিস্তান। এ জন্য তাঁরা ওয়াশিংটনকে ক্ষুব্ধ করে হলেও হাক্কানি নেটওয়ার্ককে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে।
আফগান-ভারত চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় খুবই সংযত মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইউসুফ রাজা গিলানি। তিনি বলেছেন, ‘উভয় দেশই (ভারত ও আফগানিস্তান) স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। কাজেই নিজেদের মধ্যে যেকোনো কিছু করার অধিকার তাদের আছে।’
তবে পাকিস্তানের ডানপন্থী পত্রিকা দ্য নেশন লিখেছে, এ চুক্তি আরও ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে এবং এতে করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কেউ-ই উপকৃত হবে না।
পাকিস্তানের সামরিক বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা আরও একটু এগিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান ইস্যু পাকিস্তান ও ভারতের দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে দেবে। কারণ, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত এবং এটাকে পাকিস্তান মোটেও নিজেদের স্বার্থের অনুকূল মনে করবে না।’
পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শীতল সম্পর্কের শুরু গত মে মাস থেকে। ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেন মার্কিন কমান্ডোরা। এই অভিযানের আগে পাকিস্তানকে কোনোকিছুই জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষুব্ধ হয় পাকিস্তান। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছে।
এ ছাড়া কয়েক দিন আগে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন শীর্ষপর্যায়ের একজন সামরিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগাযোগ রয়েছে। গত মাসে এ সংগঠনই কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বলে তাঁদের অভিযোগ।
হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করলেও সহযোগিতার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। বিষয়টি ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে শীতল করে তোলে। সম্প্রতি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও বোরহানউদ্দিন রাব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
No comments