সুশীল সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে: আন্না হাজারে
ভারতের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারে বলেছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে কয়েকজন অহংবোধে ভুগছে। তবে এ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আন্না বলেন, তাঁর অন্যতম সহযোগী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। খবর পিটিআইয়ের।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সাক্ষাৎকারে আন্না হাজারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছেন। আপনি কি মনে করেন, আপনার এই শীর্ষ সহযোগীদের মধ্যে অনৈক্য আছে?
জবাবে আন্না বলেন, ‘আমি তাঁদের বদলানোর চেষ্টা করব। তাঁরা অহংবোধে ভুগছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন চিদাম্বরম ও কপিল সিবাল। আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় আছে। অনশনের সময় যখন সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছিল, তখন আমি সব তথ্য ঠিকঠাকমতো পাইনি, প্রধানমন্ত্রীও পাননি। এতে করেই সমস্যা জটিল হয়েছিল। পরে বিলাসরাও দেশমুখ ও অন্য মন্ত্রীরা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হন এবং এতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলেই সমস্যার সমাধান হয়। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণ ভালো মানুষ। তবে তাঁদের বদলানোর প্রয়োজন। আমি তাঁদের বদলাব।’
তবে গতকাল বিবৃতিতে আন্না বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছিলাম, আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। তার পরও যদি কোনো সমস্যা চিহ্নিত হয়, তাহলে আমি তা সমাধানের চেষ্টা করব। কিন্তু ওই সাংবাদিক আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণকে আমি বাদ দেব। এটা মিথ্যা কথা।’
আন্না জানান, প্রশান্ত ভূষণের মতো তিনি নিজেও বর্তমান অর্থনৈতিক নীতির বিরোধী। একই সঙ্গে তিনি ওই সাংবাদিককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, পারলে তিনি রেকর্ড করা অডিওবার্তা দেখান।
আন্না অভিযোগ করেন, সুশীল সমাজকে বিভক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণকে বাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
পিস্তল ঠেকিয়ে কাজ করানো যাবে না: আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, আন্নার নতুন করে আন্দোলনের হুমকির জবাবে ভারতের ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস বলেছে, পিস্তল ঠেকিয়ে কাজ করানো যাবে না। কংগ্রেস সময়মতোই জনলোকপাল বিল পাসের উদ্যোগ নেবে।
কয়েক দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে আন্না বলেছিলেন, পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল পাস না হলে পাঁচটি রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবেন। কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আন্না বলেন, তাঁর অন্যতম সহযোগী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। খবর পিটিআইয়ের।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সাক্ষাৎকারে আন্না হাজারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছেন। আপনি কি মনে করেন, আপনার এই শীর্ষ সহযোগীদের মধ্যে অনৈক্য আছে?
জবাবে আন্না বলেন, ‘আমি তাঁদের বদলানোর চেষ্টা করব। তাঁরা অহংবোধে ভুগছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন চিদাম্বরম ও কপিল সিবাল। আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় আছে। অনশনের সময় যখন সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছিল, তখন আমি সব তথ্য ঠিকঠাকমতো পাইনি, প্রধানমন্ত্রীও পাননি। এতে করেই সমস্যা জটিল হয়েছিল। পরে বিলাসরাও দেশমুখ ও অন্য মন্ত্রীরা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হন এবং এতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলেই সমস্যার সমাধান হয়। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণ ভালো মানুষ। তবে তাঁদের বদলানোর প্রয়োজন। আমি তাঁদের বদলাব।’
তবে গতকাল বিবৃতিতে আন্না বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছিলাম, আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। তার পরও যদি কোনো সমস্যা চিহ্নিত হয়, তাহলে আমি তা সমাধানের চেষ্টা করব। কিন্তু ওই সাংবাদিক আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণকে আমি বাদ দেব। এটা মিথ্যা কথা।’
আন্না জানান, প্রশান্ত ভূষণের মতো তিনি নিজেও বর্তমান অর্থনৈতিক নীতির বিরোধী। একই সঙ্গে তিনি ওই সাংবাদিককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, পারলে তিনি রেকর্ড করা অডিওবার্তা দেখান।
আন্না অভিযোগ করেন, সুশীল সমাজকে বিভক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণকে বাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
পিস্তল ঠেকিয়ে কাজ করানো যাবে না: আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, আন্নার নতুন করে আন্দোলনের হুমকির জবাবে ভারতের ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস বলেছে, পিস্তল ঠেকিয়ে কাজ করানো যাবে না। কংগ্রেস সময়মতোই জনলোকপাল বিল পাসের উদ্যোগ নেবে।
কয়েক দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে আন্না বলেছিলেন, পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল পাস না হলে পাঁচটি রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবেন। কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাবেন।
No comments