শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রথম আরব নারী কারমান

য়েমেনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে শুরু থেকেই ছিলেন তিনি। নারীদের অধিকার রক্ষায়ও কাজ করছেন। পেশায় সাংবাদিক। এতগুলো কাজ যিনি সমানভাবে করছেন তাঁর নাম তাওয়াক্কুল কারমান। নারীর নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার আদায়ে অহিংস আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইয়েমেনি এ নারী। আরব বিশ্বে প্রথম নারী হিসেবে তিনি এ পুরস্কার পেলেন। নরওয়ের নোবেল কমিটি গতকাল শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে।

কারমান আরো দুই নারীর সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার পেয়েছেন। বাকিরা হলেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ ও তাঁরই স্বদেশি শান্তিবাদী কর্মী লেমা বাওয়ি।
ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কারমানের পুরস্কার পাওয়ার কথাটি বেমালুম চেপে গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইয়েমেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ওই সময় রাজধানী সানায় চেঞ্জ স্কয়ারে ঘাঁটি গাড়ে বিক্ষোভকারীরা। এদের মধ্যে কারমানও ছিলেন। ৩২ বছর বয়সী এ নারী সাংবাদিক এখনো চেঞ্জ স্কয়ারেই আছেন এবং বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
পুরস্কার পাওয়ার খবরে কারমান বিবিসিকে বলেন, 'নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর শুনে আমি খুবই খুশি হয়েছি। তিউনিসিয়া, মিসর, ইয়েমেন, লিবিয়া ও সিরিয়ায় রাজনৈতিক সংস্কার আন্দোলনে যাঁরা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাঁদের সবার উদ্দেশে আমার এ পুরস্কার উৎসর্গ করলাম। আমার এ সম্মান ইয়েমেনের মানুষের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জয়ের প্রতীক।'
কারমান বলেন, 'নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম যে এ পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়েছে। বিবিসি ও আলজাজিরার আরবি সার্ভিস থেকে পুরস্কার পাওয়ার কথা জানতে পেরেছি। তাই আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।'
নারী সাংবাদিকদের জন্য কারমান ২০০৫ সালে 'উইমেন জার্নালিস্টস উইদাউট চেইনস' নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি নারীদের অধিকার রক্ষায়ও কাজ করে চলেছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

       

No comments

Powered by Blogger.