হামলাকারী যুবলীগ কর্মী কামরুল গ্রেপ্তার
গোদাগাড়ী প্রেসক্লাবে তালা দেওয়া ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী যুবলীগ ক্যাডার কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কামরুলকে সারাংপুর মহল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেন থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, ২০০৪ সালের একটি সন্ত্রাসী মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদবির করে ছাড়িয়ে নেওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাকে থানা থেকে রাজশাহীতে কোর্টহাজতে পাঠানো হয়।
পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত গোদাগাড়ী প্রেসক্লাবে তালা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। গোদাগাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমেদ জানান, উপজেলার বিলচড়াই বিলে চার লাখ টাকার মাছের পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আতাউর রহমান এবং তাঁর সহযোগীদের ইন্ধনে পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান দলবল নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে তালা মারে। অভিযোগে জানা গেছে, ওসি প্রেসক্লাবের তালা ভাঙার সময় কামরুল চিৎকার করে ওসিকে সাবধান করে দিয়ে বলে, এমপি সাহেবের নির্দেশ ছাড়া তালা ভাঙা হলে খুন-খারাবি হবে। গোদাগাড়ী এলাকার এমপি ফারুক চৌধুরী পরে ওসিকে তালা ভাঙার নির্দেশ দেন বলে পুলিশের সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে।
সাংবাদিকরা অভিযোগে জানান, সন্ত্রাসী মামলায় কামরুলের নামে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে জানিয়ে সাংবাদিকরা ক্লাবের মধ্যেই গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও ওসি কামরুল তাকে যেতে দেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারকে ফোনে বিস্তারিত জানিয়ে প্রতিকার ও নিরাপত্তা চাইলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এস এম রোকনউদ্দিন কামরুলকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে ওসি গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
সাংবাদিকরা আরো জানান, প্রেসক্লাবে চড়াও হওয়ার সময় কামরুলের সঙ্গে কয়েকজন শিবির ক্যাডারও ছিল। তারাও কামরুলের সহযোগী হিসেবে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। গতকাল বিকেলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে গোদাগাড়ী থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। ওসি জাকিরুল ইসলাম জানান এজাহারটি জিডি আকারে রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে গোদাগাড়ীর কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, যুবলীগ ক্যাডার কামরুলের নামে সন্ত্রাসী মামলার ওয়ারেন্টটি থানার এসআই আতিকুর রহমানের কাছে ছিল। সেটি তামিল না করে দারোগা আতিক ফেলে রেখেছিলেন। এমনকি দারোগা আতিকের কাছে কামরুলের ওয়ারেন্ট রয়েছে জানার পর সাংবাদিকরা সেই ওয়ারেন্টে কামরুলকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাতে একাধিকবার তাগিদ দিলেও আতিক প্রথমে কোনো ওয়ারেন্ট থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে ওসি তাঁকে ওয়ারেন্ট বের করতে বললে তিনি সেটি বের করে দেন। কামরুলকে তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দারোগা আতিক বলেন, ওসি সাহেবের নির্দেশ না থাকায় কামরুলকে তিনি এত দিন গ্রেপ্তার করেননি। কামরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় দারোগা আতিকের নেপথ্য সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুরনো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম বলেন, আতিকের কাছেই কামরুলের ওয়ারেন্টটি রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। কামরুলকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তিনি দারোগা আতিককে বারণ করেননি। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে তাঁর উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার সময় তিনি কামরুলকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু উপস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝ থেকে গ্রেপ্তার করলে সিন ক্রিয়েট হবে বলে তিনি তা করেননি। রাতেই তাকে এ জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে সাংবাদিকরা কামরুলের সহযোগী সন্ত্রাসীদেরও গ্রেপ্তার এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিকরা অভিযোগে জানান, সন্ত্রাসী মামলায় কামরুলের নামে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে জানিয়ে সাংবাদিকরা ক্লাবের মধ্যেই গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও ওসি কামরুল তাকে যেতে দেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারকে ফোনে বিস্তারিত জানিয়ে প্রতিকার ও নিরাপত্তা চাইলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এস এম রোকনউদ্দিন কামরুলকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে ওসি গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
সাংবাদিকরা আরো জানান, প্রেসক্লাবে চড়াও হওয়ার সময় কামরুলের সঙ্গে কয়েকজন শিবির ক্যাডারও ছিল। তারাও কামরুলের সহযোগী হিসেবে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। গতকাল বিকেলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে গোদাগাড়ী থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। ওসি জাকিরুল ইসলাম জানান এজাহারটি জিডি আকারে রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে গোদাগাড়ীর কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, যুবলীগ ক্যাডার কামরুলের নামে সন্ত্রাসী মামলার ওয়ারেন্টটি থানার এসআই আতিকুর রহমানের কাছে ছিল। সেটি তামিল না করে দারোগা আতিক ফেলে রেখেছিলেন। এমনকি দারোগা আতিকের কাছে কামরুলের ওয়ারেন্ট রয়েছে জানার পর সাংবাদিকরা সেই ওয়ারেন্টে কামরুলকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাতে একাধিকবার তাগিদ দিলেও আতিক প্রথমে কোনো ওয়ারেন্ট থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে ওসি তাঁকে ওয়ারেন্ট বের করতে বললে তিনি সেটি বের করে দেন। কামরুলকে তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দারোগা আতিক বলেন, ওসি সাহেবের নির্দেশ না থাকায় কামরুলকে তিনি এত দিন গ্রেপ্তার করেননি। কামরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় দারোগা আতিকের নেপথ্য সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুরনো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম বলেন, আতিকের কাছেই কামরুলের ওয়ারেন্টটি রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। কামরুলকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তিনি দারোগা আতিককে বারণ করেননি। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে তাঁর উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার সময় তিনি কামরুলকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু উপস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝ থেকে গ্রেপ্তার করলে সিন ক্রিয়েট হবে বলে তিনি তা করেননি। রাতেই তাকে এ জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে সাংবাদিকরা কামরুলের সহযোগী সন্ত্রাসীদেরও গ্রেপ্তার এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
No comments