শান্তির নোবেল তিন নারীর by সাব্বির রহমান খান, সুইডেন থেকে
এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন তিন নারী। তাঁদের মধ্যে দুজনই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার। আরেকজন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের। আফ্রিকা ও আরব বিশ্বে নারীর নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে নরওয়ের নোবেল কমিটি জানিয়েছে।
পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ, দেশটির নাগরিক অধিকার আদায় আন্দোলনের নেত্রী লেয়মা জিবোই এবং ইয়েমেনের নারীনেত্রী ও সাংবাদিক তাওয়াক্কুল কারমান।
পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ, দেশটির নাগরিক অধিকার আদায় আন্দোলনের নেত্রী লেয়মা জিবোই এবং ইয়েমেনের নারীনেত্রী ও সাংবাদিক তাওয়াক্কুল কারমান।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির চেয়ারম্যান থুরবিয়র্ন জগল্যান্ড তিন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'অহিংস সংগ্রামের মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তা বিধান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে নারীদের পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিতকরণের কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হলো।'
যেহেতু নারী অধিকারের বিষয়টি বর্তমানে বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক বিষয়, তাই এবারের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের কোনো ধরনের বিতর্ক ছাড়াই স্বাগত জানানো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন থুরবিয়র্ন জগল্যান্ড। তিনি বলেন, বিবিধ বৈশ্বিক দ্বন্দ্বের কারণে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের মধ্যে নারীরা অন্যতম। নির্বিচারে নারী নির্যাতন করা হচ্ছে। যুদ্ধের সময়
তাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে যেমন অবস্থান নেওয়া হয়, তেমনি তিন নারীনেত্রীকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নারীদের যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে নোবেল কমিটি।
২০০৫ সালে সরাসরি ভোটে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এলেন জনসন সারলিফ। তিনি শুধু লাইবেরিয়ার নন, পুরো আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট।
লেমা বাওয়ি লাইবেরিয়ার একজন নাগরিক অধিকার নেত্রী, যিনি সে দেশের একাধিক শান্তি আন্দোলনের পুরোধা। তিনি 'ওম্যান অব লাইবেরিয়া ম্যাস অ্যাকশন ফর পিস' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা লাইবেরিয়ার দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ বন্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান পেশায় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। ইয়েমেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আগামী ১০ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তিন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কারের অর্থ হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার তিনজনকে ভাগ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেককে একটি করে সনদ ও স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।
যেহেতু নারী অধিকারের বিষয়টি বর্তমানে বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক বিষয়, তাই এবারের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের কোনো ধরনের বিতর্ক ছাড়াই স্বাগত জানানো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন থুরবিয়র্ন জগল্যান্ড। তিনি বলেন, বিবিধ বৈশ্বিক দ্বন্দ্বের কারণে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের মধ্যে নারীরা অন্যতম। নির্বিচারে নারী নির্যাতন করা হচ্ছে। যুদ্ধের সময়
তাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে যেমন অবস্থান নেওয়া হয়, তেমনি তিন নারীনেত্রীকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নারীদের যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে নোবেল কমিটি।
২০০৫ সালে সরাসরি ভোটে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এলেন জনসন সারলিফ। তিনি শুধু লাইবেরিয়ার নন, পুরো আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট।
লেমা বাওয়ি লাইবেরিয়ার একজন নাগরিক অধিকার নেত্রী, যিনি সে দেশের একাধিক শান্তি আন্দোলনের পুরোধা। তিনি 'ওম্যান অব লাইবেরিয়া ম্যাস অ্যাকশন ফর পিস' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা লাইবেরিয়ার দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ বন্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান পেশায় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। ইয়েমেনে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আগামী ১০ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তিন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কারের অর্থ হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার তিনজনকে ভাগ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেককে একটি করে সনদ ও স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।
No comments