আফগানিস্তানে লক্ষ্য অর্জন থেকে বহু দূরে যুক্তরাষ্ট্র
আফগান যুদ্ধের ১০ বছর পরও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী লক্ষ্য অর্জন থেকে অনেক দূরে আছে। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সাবেক কমান্ডার স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল এ মন্তব্য করেছেন। সাফল্যের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রের যথাযথ কৌশলের ঘাটতি আছে বলে মনে করেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সে গত বৃহস্পতিবার তিনি এসব মন্তব্য করেন।যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আফগানিস্তানে হামলার ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল শুক্রবার।
যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে এবং আল-কায়েদা ও তালেবানকে নির্মূল করতে আফগানিস্তানে হামলা চালায় তারা। জাতিসংঘের হিসাবে যুদ্ধে এ পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি বিদেশি সেনা মারা গেছেন। শুধু গত পাঁচ বছরেই বেসামরিক লোক মারা গেছে ১০ হাজারেরও বেশি। ভিয়েতনাম যুদ্ধের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে এটি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র 'ভয়ংকর রকমের সাদামাটা ধারণা' থেকে আফগানিস্তানে হামলা চালায়। এমনকি সফলতার সঙ্গে লক্ষ্যে পেঁৗছানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কৌশলও তাদের জানা নেই। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত আফগান যুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন ম্যাকক্রিস্টাল।
ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, 'আফগানিস্তানে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী অর্ধেক পথ এগিয়েছে। আমরা আগেও এ ব্যাপারে খুব বেশি জানতাম না এবং এখনো জানি না। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও ইতিহাস সম্পর্কে আমিসহ আমাদের অনেকের ধারণাই খুব অস্পষ্ট। বিশেষ করে গত ৫০ বছরের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা ভয়ংকর রকমের সাদামাটা।'
ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, আফগান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়াকে ন্যায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ৯/১১ হামলার পর নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যুক্তি দিতে পারে। কিন্তু দুই বছর পরই ইরাকে আগ্রাসনকে কিছুটা কম যুক্তিসঙ্গত মনে করেন তিনি। ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ইরাক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মুসলিম বিশ্বের ধারণাকেই পাল্টে দিয়েছে।
আফগান যুদ্ধের এক দশক পূর্তিতে এ যুদ্ধের অর্জন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আফগানিস্তান পুনর্গঠনের বিষয়টিকেও 'ফাঁকাবুলি' বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০০১ সাল থেকে দেশটিকে প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হয়েছে। তার পরও আফগানদের বড় একটি অংশই চরম দারিদ্র্যের চক্রে ফেঁসে আছে বলে দাবি করছে সাহায্য সংস্থাগুলো। আফগানিস্তানে কর্মরত ১১১টি দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থার মিলিত প্লাটফর্ম এসিবিএআর জানায়, 'তালেবান শাসনের অবসানের পর আফগানিস্তানের শহরাঞ্চলগুলোয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। এর পরও দুর্বল অবকাঠামো, সহিংসতা ও দুর্নীতির কারণে বিশ্বের অন্যতম বাজে পরিস্থিতি বিরাজ করছে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যখাতে। আর আফগানদের ধারণা, সাহায্য হিসেবে বিদেশিরা যে অর্থ দিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমুন্নত করতে ও পাচার হয়ে সেই অর্থের বড় একটি অংশই আবারও বিদেশে ফেরত গেছে।
সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র 'ভয়ংকর রকমের সাদামাটা ধারণা' থেকে আফগানিস্তানে হামলা চালায়। এমনকি সফলতার সঙ্গে লক্ষ্যে পেঁৗছানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কৌশলও তাদের জানা নেই। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত আফগান যুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন ম্যাকক্রিস্টাল।
ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, 'আফগানিস্তানে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী অর্ধেক পথ এগিয়েছে। আমরা আগেও এ ব্যাপারে খুব বেশি জানতাম না এবং এখনো জানি না। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও ইতিহাস সম্পর্কে আমিসহ আমাদের অনেকের ধারণাই খুব অস্পষ্ট। বিশেষ করে গত ৫০ বছরের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা ভয়ংকর রকমের সাদামাটা।'
ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, আফগান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়াকে ন্যায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ৯/১১ হামলার পর নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যুক্তি দিতে পারে। কিন্তু দুই বছর পরই ইরাকে আগ্রাসনকে কিছুটা কম যুক্তিসঙ্গত মনে করেন তিনি। ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ইরাক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মুসলিম বিশ্বের ধারণাকেই পাল্টে দিয়েছে।
আফগান যুদ্ধের এক দশক পূর্তিতে এ যুদ্ধের অর্জন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আফগানিস্তান পুনর্গঠনের বিষয়টিকেও 'ফাঁকাবুলি' বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০০১ সাল থেকে দেশটিকে প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হয়েছে। তার পরও আফগানদের বড় একটি অংশই চরম দারিদ্র্যের চক্রে ফেঁসে আছে বলে দাবি করছে সাহায্য সংস্থাগুলো। আফগানিস্তানে কর্মরত ১১১টি দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থার মিলিত প্লাটফর্ম এসিবিএআর জানায়, 'তালেবান শাসনের অবসানের পর আফগানিস্তানের শহরাঞ্চলগুলোয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। এর পরও দুর্বল অবকাঠামো, সহিংসতা ও দুর্নীতির কারণে বিশ্বের অন্যতম বাজে পরিস্থিতি বিরাজ করছে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যখাতে। আর আফগানদের ধারণা, সাহায্য হিসেবে বিদেশিরা যে অর্থ দিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমুন্নত করতে ও পাচার হয়ে সেই অর্থের বড় একটি অংশই আবারও বিদেশে ফেরত গেছে।
সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments