দলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সমালোচনা
তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাকে ভিসা দেওয়ার জন্য আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর শেষ মুহূর্তের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। এ নিয়ে নৈতিক সংকটে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার শাসক দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) সমর্থক এবং সে দেশের সরকার-সমর্থক পত্রিকাগুলো। মুখ খুলেছেন ডেসমন্ড টুটুও।
সমালোচকেরা বলছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত হয়তো প্রতীকী। তার পরও যে দল বর্ণবৈষম্যের অবসানে সাহায্য করেছে, তারাই এখন মুক্তি-আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার আমলে এএনসি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী দলের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল, তা এ আমলে খাটো করে দেখা হচ্ছে। বর্ণবৈষম্য অবসানের ১৭ বছর পর দেশের বিরাটসংখ্যক দরিদ্র মানুষ উপেক্ষিত।
দালাই লামাকে ভিসা না দেওয়ার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ টুটু। তিনি জুমার সরকারকে ‘বর্ণবাদী সরকারের চেয়ে জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নিক বোরেইন মনে করেন, এএনসির সমর্থকদের কাছে সরকারের সিদ্ধান্ত পীড়াদায়ক মনে হয়েছে। কারণ, এখনো তারা মনে করে, এএনসির উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ অব্যাহত আছে।
দালাই লামার অফিস থেকে গত মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্তের পর তিনি তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। ডেসমন্ড টুটুর ৮০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দালাই লামা আফ্রিকা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জুমার সরকার তাঁর ভিসার আবেদন দীর্ঘদিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফেলে রাখে।
দালাই লামাকে ভিসা না দেওয়ার ব্যাপারে জুমার সরকারের ওপর চীনের চাপ ছিল। দালাই লামাকে এখনো চীন তিব্বতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবেই দেখে। আবার চীন দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী। ফলে জুমার সরকার চীনকে চটাতে চায়নি।
সমালোচকেরা বলছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত হয়তো প্রতীকী। তার পরও যে দল বর্ণবৈষম্যের অবসানে সাহায্য করেছে, তারাই এখন মুক্তি-আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার আমলে এএনসি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী দলের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল, তা এ আমলে খাটো করে দেখা হচ্ছে। বর্ণবৈষম্য অবসানের ১৭ বছর পর দেশের বিরাটসংখ্যক দরিদ্র মানুষ উপেক্ষিত।
দালাই লামাকে ভিসা না দেওয়ার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ টুটু। তিনি জুমার সরকারকে ‘বর্ণবাদী সরকারের চেয়ে জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নিক বোরেইন মনে করেন, এএনসির সমর্থকদের কাছে সরকারের সিদ্ধান্ত পীড়াদায়ক মনে হয়েছে। কারণ, এখনো তারা মনে করে, এএনসির উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ অব্যাহত আছে।
দালাই লামার অফিস থেকে গত মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্তের পর তিনি তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। ডেসমন্ড টুটুর ৮০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দালাই লামা আফ্রিকা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জুমার সরকার তাঁর ভিসার আবেদন দীর্ঘদিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফেলে রাখে।
দালাই লামাকে ভিসা না দেওয়ার ব্যাপারে জুমার সরকারের ওপর চীনের চাপ ছিল। দালাই লামাকে এখনো চীন তিব্বতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবেই দেখে। আবার চীন দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী। ফলে জুমার সরকার চীনকে চটাতে চায়নি।
No comments