হার্টলির পানি সাগরের মতো
গবেষকেরা বলছেন, ধূমকেতু হার্টলি-২-তে যে পানি রয়েছে, তা অনেকটা পৃথিবীর মহাসাগরের পানির মতো। অন্য কোনো পরিচিত ধূমকেতুর পানি এ রকম নয়। বলা হচ্ছে, এটি ধূমকেতু থেকেই পৃথিবীর বেশির ভাগ পানি এসে থাকার প্রমাণ হতে পারে।
হার্শেল মহাশূন্য টেলিস্কোপের সাহায্যে হার্টলি-২ ধূমকেতুর পানিতে ডিউটেরিয়াম নামের এক বিরল ধরনের হাইড্রোজেনের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা। অন্য ধূমকেতুগুলোতে যে পরিমাণ ডিউটেরিয়াম পাওয়া যায়, তার অর্ধেক রয়েছে হার্টলি-২-এর পানিতে। এটা আমাদের পৃথিবীর মহাসাগরে যে পরিমাণ ডিউটেরিয়াম রয়েছে, প্রায় তার মতো।
এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’ -এ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আছড়ে পড়া ধূমকেতু থেকেই পৃথিবীতে বেশির ভাগ পানি এসে থাকতে পারে।
জন্মের মাত্র কয়েক লাখ বছর পর নবীন পৃথিবী গ্রহটি ছিল পাথুরে ও শুষ্ক। খুব সম্ভবত আজকের পৃথিবীতে যে জলরাশি দেখা যায়, তা বাইরে থেকেই এসেছিল। পানিতে ডিউটেরিয়ামের পরিমাণ তার আণবিক গঠনের ইঙ্গিত দেয়। এর আগে ছয়টির মতো ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এ পরিমাণ মাপা হয়েছে। সেগুলোতে ডিউটেরিয়ামের মাত্রা আমাদের সাগরের পানির চেয়ে দ্বিগুণ।
অন্যদিকে গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে পৃথিবীতে যে উল্কা আসে, তাতে পৃথিবীর সাগরের সমানুপাতে ডিউটেরিয়াম দেখা যায়। তাই ধরে নেওয়া হয়, পৃথিবীর পানি যদি অন্য কোথাও থেকে এসেই থাকে, তবে তা এসেছে গ্রহাণু থেকে। এর আগ পর্যন্ত যেসব ধূমকেতুর ডিউটেরিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, তার সবগুলোই ‘ওর্ট ক্লাউড’ বস্তু নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, সেগুলো সৌরজগৎ সৃষ্টির প্রারম্ভে নেপচুন ও ইউরেনাস গ্রহের অঞ্চলে জন্মলাভ করে। পরে ওই গ্রহ দুটির সঙ্গে এবং পারস্পরিক সংঘর্ষের কারণে সেগুলো অনেক দূরে ছিটকে পড়ে।
হার্শেল মহাশূন্য টেলিস্কোপের সাহায্যে হার্টলি-২ ধূমকেতুর পানিতে ডিউটেরিয়াম নামের এক বিরল ধরনের হাইড্রোজেনের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা। অন্য ধূমকেতুগুলোতে যে পরিমাণ ডিউটেরিয়াম পাওয়া যায়, তার অর্ধেক রয়েছে হার্টলি-২-এর পানিতে। এটা আমাদের পৃথিবীর মহাসাগরে যে পরিমাণ ডিউটেরিয়াম রয়েছে, প্রায় তার মতো।
এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’ -এ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আছড়ে পড়া ধূমকেতু থেকেই পৃথিবীতে বেশির ভাগ পানি এসে থাকতে পারে।
জন্মের মাত্র কয়েক লাখ বছর পর নবীন পৃথিবী গ্রহটি ছিল পাথুরে ও শুষ্ক। খুব সম্ভবত আজকের পৃথিবীতে যে জলরাশি দেখা যায়, তা বাইরে থেকেই এসেছিল। পানিতে ডিউটেরিয়ামের পরিমাণ তার আণবিক গঠনের ইঙ্গিত দেয়। এর আগে ছয়টির মতো ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এ পরিমাণ মাপা হয়েছে। সেগুলোতে ডিউটেরিয়ামের মাত্রা আমাদের সাগরের পানির চেয়ে দ্বিগুণ।
অন্যদিকে গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে পৃথিবীতে যে উল্কা আসে, তাতে পৃথিবীর সাগরের সমানুপাতে ডিউটেরিয়াম দেখা যায়। তাই ধরে নেওয়া হয়, পৃথিবীর পানি যদি অন্য কোথাও থেকে এসেই থাকে, তবে তা এসেছে গ্রহাণু থেকে। এর আগ পর্যন্ত যেসব ধূমকেতুর ডিউটেরিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, তার সবগুলোই ‘ওর্ট ক্লাউড’ বস্তু নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, সেগুলো সৌরজগৎ সৃষ্টির প্রারম্ভে নেপচুন ও ইউরেনাস গ্রহের অঞ্চলে জন্মলাভ করে। পরে ওই গ্রহ দুটির সঙ্গে এবং পারস্পরিক সংঘর্ষের কারণে সেগুলো অনেক দূরে ছিটকে পড়ে।
No comments