ভিয়েতনামের ভাগ্য অপেক্ষা করছে আফগানিস্তানে?
আফগানযুদ্ধের এক দশক পূর্ণ হলো আজ শুক্রবার। তালেবান ও আল-কায়েদাকে মুছে দিতে ২০০১ সালের এই দিনে ‘কথিত’ সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের নামে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালায়। ১০ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরও আফগানিস্তানে শান্তি আসেনি। বরং সর্বত্র ঘুরে ফিরছে মৃত্যুদূত।
তালেবানরা এখন আর আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেই। কিন্তু তারা সর্বত্র আছে যমদূতের মতো। আফগানিস্তান এখন এক মৃত্যুপুরী। তালেবানের হামলায় সেখানে প্রায় প্রতিদিনই মরছে সাধারণ মানুষ, মরছে দেশি ও বিদেশি সেনা। একের পর এক জঙ্গি হামলায় ইঙ্গ-মার্কিনদের স্বপ্নের তালেবানমুক্ত আফগানিস্তান এখনো অধরাই রয়ে গেছে। ন্যাটোর সেনারা এখন সেখান থেকে সরে যেতে পারলেই বাঁচেন। এ জন্য তাড়াহুড়ো করে আফগান বাহিনীর হাতে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে তাঁরা এখন ব্যতিব্যস্ত।
ইতিহাস সাক্ষী, আফগানিস্তান কখনই বিদেশি শক্তির জন্য অনুকূল ছিল না। এখানে যারাই এসেছে, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে গেছে।
১০ বছরের আফগানযুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে। আফগানিস্তানে গত এক দশকে এক হাজার ৮০১ জন মার্কিন সেনা, ৯৫২ জন অন্যান্য সহযোগী দেশের সেনা, আট হাজার ৫৮৭ জন আফগান সেনা, আট হাজার ৮১৩ জন আফগান বেসামরিক লোক, ২৯৮ জন ঠিকাদার ও ১৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি ও সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে গত তিন মাসে সাত হাজারের বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০১০ সালের তুলনায় সহিংসতা ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। এসব সহিংসতা মূলত বন্দুকযুদ্ধ ও বোমা হামলা-সংশ্লিষ্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর মাসিক গড় সহিংসতার হার দুই হাজার ১০৮টি। এর মধ্যে জুন মাসে দুই হাজার ৬২৬টি, জুলাইয়ে দুই হাজার ৬০৫টি এবং আগস্টে দুই হাজার ৩০৬টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ২০১০ সালের তুলনায় চলতি বছরের গত তিন মাসে দেশটিতে বেসামরিক লোকজনের হতাহতের পরিমাণও বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিনদের জন্য আফগানিস্তান দ্বিতীয় ভিয়েতনামে পরিণত হয়েছে। আফগানযুদ্ধ প্রতিবেশী পাকিস্তানকেও অস্থিতিশীল করে দিয়েছে। পাকিস্তানে বইছে রক্তবন্যা। আর আফগানিস্তান হয়েছে মৃত্যু-উপত্যকা। এ উপাখ্যানের কুশীলব ইঙ্গ-মার্কিনরাও এর শেষ জানে না।
তালেবানরা এখন আর আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেই। কিন্তু তারা সর্বত্র আছে যমদূতের মতো। আফগানিস্তান এখন এক মৃত্যুপুরী। তালেবানের হামলায় সেখানে প্রায় প্রতিদিনই মরছে সাধারণ মানুষ, মরছে দেশি ও বিদেশি সেনা। একের পর এক জঙ্গি হামলায় ইঙ্গ-মার্কিনদের স্বপ্নের তালেবানমুক্ত আফগানিস্তান এখনো অধরাই রয়ে গেছে। ন্যাটোর সেনারা এখন সেখান থেকে সরে যেতে পারলেই বাঁচেন। এ জন্য তাড়াহুড়ো করে আফগান বাহিনীর হাতে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে তাঁরা এখন ব্যতিব্যস্ত।
ইতিহাস সাক্ষী, আফগানিস্তান কখনই বিদেশি শক্তির জন্য অনুকূল ছিল না। এখানে যারাই এসেছে, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে গেছে।
১০ বছরের আফগানযুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে। আফগানিস্তানে গত এক দশকে এক হাজার ৮০১ জন মার্কিন সেনা, ৯৫২ জন অন্যান্য সহযোগী দেশের সেনা, আট হাজার ৫৮৭ জন আফগান সেনা, আট হাজার ৮১৩ জন আফগান বেসামরিক লোক, ২৯৮ জন ঠিকাদার ও ১৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি ও সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে গত তিন মাসে সাত হাজারের বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০১০ সালের তুলনায় সহিংসতা ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। এসব সহিংসতা মূলত বন্দুকযুদ্ধ ও বোমা হামলা-সংশ্লিষ্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর মাসিক গড় সহিংসতার হার দুই হাজার ১০৮টি। এর মধ্যে জুন মাসে দুই হাজার ৬২৬টি, জুলাইয়ে দুই হাজার ৬০৫টি এবং আগস্টে দুই হাজার ৩০৬টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ২০১০ সালের তুলনায় চলতি বছরের গত তিন মাসে দেশটিতে বেসামরিক লোকজনের হতাহতের পরিমাণও বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিনদের জন্য আফগানিস্তান দ্বিতীয় ভিয়েতনামে পরিণত হয়েছে। আফগানযুদ্ধ প্রতিবেশী পাকিস্তানকেও অস্থিতিশীল করে দিয়েছে। পাকিস্তানে বইছে রক্তবন্যা। আর আফগানিস্তান হয়েছে মৃত্যু-উপত্যকা। এ উপাখ্যানের কুশীলব ইঙ্গ-মার্কিনরাও এর শেষ জানে না।
No comments