ম্যারাডোনার অভিষেকটা শুরু হলো পরাজয় দিয়ে
কোচের দায়িত্বে থাকা সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেও নিজের দলকে ৪ গোল খেতে দেখেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেওয়ায় আর্জেন্টিনায় ফিরে ম্যারাডোনা সমর্থকদের ভালোবাসা পেলেও ফুটবল ফেডারেশন কর্তাদের মন গলাতে পারেননি। 'আকাশি-নীল'দের দায়িত্ব ছেড়ে ম্যারাডোনা তাই এখন যোজন যোজন দূরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে। আল ওয়াসল ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পরও ভাগ্য খুব একটা বদলায়নি তাঁর। ৩ জুলাই ২০১০, আর ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১। মাঝের সময়ের ফারাকটা এক বছরের একটু বেশি হলেও, ম্যারাডোনার দলের জালে গোলের সংখ্যা একই। মৌসুমে নিজেদের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই আল জাজিরার কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছে তাঁর দল আল ওয়াসল।
জার্মানি-আর্জেন্টিনা ম্যাচ যতটা একপেশে ছিল, আরব আমিরাতের পেশাদার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আল জাজিরার বিপক্ষে আল ওয়াসলের ম্যাচটা অবশ্য ততটা একপেশে হয়নি। বরং একটা সময় জয়ের আশাই জাগিয়ে তুলেছিলেন ম্যারাডোনার শিষ্যরা। পিছিয়ে পড়েও সমতা ফিরিয়ে ৩-৩ গোলের ড্র'তেই যখন শেষ বাঁশির অপেক্ষা, তখনি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বেয়ারের গোলে আল জাজিরা পেয়ে যায় ৪-৩ গোলের জয়। মাঠে দারুণ ফুটবল রোমাঞ্চের পাশাপাশি ম্যারাডোনার ফুটবল স্কিলও দেখেছেন দর্শকরা। খেলার মধ্যবিরতিতে বল নিয়ে 'জাগলিং' করে দেখিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। আর ম্যাচশেষে হেরে গেলেও শিষ্যদের প্রশংসাই ছিল তাঁর কণ্ঠে, 'মাঠে আমরা সত্যিকারের পৌরুষ দেখিয়ে লড়েছি, এ জন্য আমি দলের সব খেলোয়াড়কে ধন্যবাদ জানাই। তাদের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই খুব খুশি।' পেশাদার লিগে প্রথম ম্যাচ হলেও এটাই অবশ্য ম্যারাডোনার কোচিংয়ে আল ওয়াসলের প্রথম ম্যাচ নয়। গত মাসেই একটি প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে তারা ইতিহাদ কালবাকে হারিয়েছিল ৩-১ গোলে।
No comments