গত বছর ২০ লাখ নারীর ক্যানসার শনাক্ত
সারা বিশ্বে গত বছর ২০ লাখ নারীর স্তন ও গর্ভাশয়ের ক্যানসার শনাক্ত করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ইনস্টিটিউটের চালানো এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদন গত বুধবার স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত বিশ্বের চেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর নারীদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। প্রতিবেদনে গবেষকেরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধে যথাযথ গুরুত্ব দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে ক্যানসার নিবন্ধক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সালে নতুন করে আরও ২০ লাখ নারীর স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছে আরও ছয় লাখ ২৫ হাজার। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ৫০ বছরের কম বয়সী নারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে এ প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ।
হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ইনস্টিটিউট ১৯৮০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৮৭টি দেশে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা চালায়। যুক্তরাজ্যে ১৯৮০ সালে স্তন ক্যানসারে প্রতি ৩২ জনে একজন মারা গেলেও ২০১০ সালে তা কমে হয়েছে প্রতি ৪২ জনে একজন। অথচ রুয়ান্ডার মতো দেশগুলোর চিত্র একেবারে বিপরীত। এখানে ১৯৮০ সালে স্তন ক্যানসারে প্রতি ৯৭ জনে একজন মারা গেলেও ২০১০ সালে এসে দেখা গেছে এ হার বেড়ে হয়েছে প্রতি ৬০ জনে একজন।
ক্যানসার চিকিৎসায় দাতব্য সংস্থা ও গবেষকেরা মাতৃমৃত্যুর মতোই স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার প্রতিরোধেও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অতীতে উন্নয়নশীল দেশে সন্তান জন্মদান বা গর্ভাবস্থায় মাতৃমৃত্যুর হার ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু বর্তমানে এসব দেশে উল্লিখিত দুই ধরনের ক্যানসারে মৃত্যুর হার মাতৃমৃত্যুর হারকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
গবেষকদের একজন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালান লোপেজ জানান, বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যু রোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। এখন স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার রোধেও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
আরেক গবেষক রাফায়েল লোজানো বলেন, স্তন ক্যানসারের পেছনে মূল কারণই হলো পচা, বাসি খাবার ও স্থূলতা। এ দুটিই দরিদ্র দেশগুলোর সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার মাধ্যমে স্তন ক্যানসারে নারীদের মৃত্যু হার কমিয়ে আনছে তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে দরিদ্র দেশগুলোতে এ ঝুঁকি বাড়ছে। স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যের মতো সঠিক খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত ও সঠিক নীতি গ্রহণ করে দরিদ্র দেশগুলোতে বিদ্যমান পরিস্থিতিও বদলে দেওয়া সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন লোজানো।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত বিশ্বের চেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর নারীদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। প্রতিবেদনে গবেষকেরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধে যথাযথ গুরুত্ব দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে ক্যানসার নিবন্ধক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সালে নতুন করে আরও ২০ লাখ নারীর স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছে আরও ছয় লাখ ২৫ হাজার। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ৫০ বছরের কম বয়সী নারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে এ প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ।
হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ইনস্টিটিউট ১৯৮০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৮৭টি দেশে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা চালায়। যুক্তরাজ্যে ১৯৮০ সালে স্তন ক্যানসারে প্রতি ৩২ জনে একজন মারা গেলেও ২০১০ সালে তা কমে হয়েছে প্রতি ৪২ জনে একজন। অথচ রুয়ান্ডার মতো দেশগুলোর চিত্র একেবারে বিপরীত। এখানে ১৯৮০ সালে স্তন ক্যানসারে প্রতি ৯৭ জনে একজন মারা গেলেও ২০১০ সালে এসে দেখা গেছে এ হার বেড়ে হয়েছে প্রতি ৬০ জনে একজন।
ক্যানসার চিকিৎসায় দাতব্য সংস্থা ও গবেষকেরা মাতৃমৃত্যুর মতোই স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার প্রতিরোধেও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অতীতে উন্নয়নশীল দেশে সন্তান জন্মদান বা গর্ভাবস্থায় মাতৃমৃত্যুর হার ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু বর্তমানে এসব দেশে উল্লিখিত দুই ধরনের ক্যানসারে মৃত্যুর হার মাতৃমৃত্যুর হারকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
গবেষকদের একজন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালান লোপেজ জানান, বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যু রোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। এখন স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার রোধেও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
আরেক গবেষক রাফায়েল লোজানো বলেন, স্তন ক্যানসারের পেছনে মূল কারণই হলো পচা, বাসি খাবার ও স্থূলতা। এ দুটিই দরিদ্র দেশগুলোর সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার মাধ্যমে স্তন ক্যানসারে নারীদের মৃত্যু হার কমিয়ে আনছে তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে দরিদ্র দেশগুলোতে এ ঝুঁকি বাড়ছে। স্তন ও গর্ভাশয় ক্যানসার প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যের মতো সঠিক খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত ও সঠিক নীতি গ্রহণ করে দরিদ্র দেশগুলোতে বিদ্যমান পরিস্থিতিও বদলে দেওয়া সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন লোজানো।
No comments