মাদকদ্রব্যের আন্তর্জাতিক উৎস হয়ে উঠতে পারে মিয়ানমার
মিয়ানমার আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের আন্তর্জাতিক উৎস হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তান থেকে মাদকদ্রব্য পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যুক্তরাষ্ট্রের একজন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ কথা বলেন। তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সীমান্তে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বলছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিকসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম ব্রাউনফিল্ড বলেন, মিয়ানমার এরই মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদক দেশ হিসেবে বদনাম কুড়িয়েছে। এ কারণে দেশটির প্রতি মাদকদ্রব্য পাচারকারীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে হেরোইন ও আফিমের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হচ্ছে আফগানিস্তান। সে দেশ থেকে মাদকদ্রব্য পাচার রোধ করার আন্তর্জাতিক চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হবে বলে মনে হচ্ছে।
ব্রাউনফিল্ড বলেন, মাদকদ্রব্য পাচারকারীরা এখন অবশ্যই মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার উপযোগী অন্য দেশ খুঁজে নেবে। সে দিক থেকে তাদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দেশটি হচ্ছে মিয়ানমার।
মার্কিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বলেন, সেনা-প্রভাবিত দেশটিতে আগামী বছরগুলোতে অবৈধ মাদকদ্রব্যের উৎপাদন ও পাচারের ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডকে বিষয়টির বাস্তবতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
ব্রাউনফিল্ড বলেন, মাদক পাচারকারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি চালাক-চতুর হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যেসব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে, আজকাল প্রায়ই তাদের চেয়ে বেশি প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে পাচারকারীদের। তাদের অস্ত্র ও সাজসরঞ্জামও অনেক ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের চেয়ে ভালো থাকে।
মিয়ানমারে মাদকদ্রব্যের ব্যবসার এ ব্যাপক উত্থান নিয়ে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির মতে, দেশটি হেরোইন ও অ্যামফেটামাইনের মতো কৃত্রিম মাদকদ্রব্যের বড় উৎপাদক হিসেবে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে।
ইউএনওডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে রোগের কারণে আফগানিস্তানে আফিমের উৎস পপি চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ আফিম উৎপাদন হয় সে দেশে। এ ধসের কারণে সারা বিশ্বে আফিম উৎপাদন ৩৮ শতাংশ কমে যায়। সব মিলিয়ে তা চার হাজার ৮৬০ পাউন্ড।
এদিকে আফগানিস্তানে যখন আফিম উৎপাদনে মন্দা দেখা দিয়েছে, মিয়ানমারে তখন এ উৎপাদন বাড়ছে। ২০১০ সালে মিয়ানমারে পপি চাষ ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৭ সালে বিশ্ববাজারে মিয়ানমারের আফিম উৎপাদনের হার ছিল পাঁচ শতাংশ। গত বছর তা বেড়ে ১২ শতাংশে পৌঁছেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যুক্তরাষ্ট্রের একজন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ কথা বলেন। তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সীমান্তে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বলছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিকসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম ব্রাউনফিল্ড বলেন, মিয়ানমার এরই মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদক দেশ হিসেবে বদনাম কুড়িয়েছে। এ কারণে দেশটির প্রতি মাদকদ্রব্য পাচারকারীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে হেরোইন ও আফিমের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হচ্ছে আফগানিস্তান। সে দেশ থেকে মাদকদ্রব্য পাচার রোধ করার আন্তর্জাতিক চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হবে বলে মনে হচ্ছে।
ব্রাউনফিল্ড বলেন, মাদকদ্রব্য পাচারকারীরা এখন অবশ্যই মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার উপযোগী অন্য দেশ খুঁজে নেবে। সে দিক থেকে তাদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দেশটি হচ্ছে মিয়ানমার।
মার্কিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বলেন, সেনা-প্রভাবিত দেশটিতে আগামী বছরগুলোতে অবৈধ মাদকদ্রব্যের উৎপাদন ও পাচারের ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডকে বিষয়টির বাস্তবতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
ব্রাউনফিল্ড বলেন, মাদক পাচারকারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি চালাক-চতুর হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যেসব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে, আজকাল প্রায়ই তাদের চেয়ে বেশি প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে পাচারকারীদের। তাদের অস্ত্র ও সাজসরঞ্জামও অনেক ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের চেয়ে ভালো থাকে।
মিয়ানমারে মাদকদ্রব্যের ব্যবসার এ ব্যাপক উত্থান নিয়ে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির মতে, দেশটি হেরোইন ও অ্যামফেটামাইনের মতো কৃত্রিম মাদকদ্রব্যের বড় উৎপাদক হিসেবে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে।
ইউএনওডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে রোগের কারণে আফগানিস্তানে আফিমের উৎস পপি চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ আফিম উৎপাদন হয় সে দেশে। এ ধসের কারণে সারা বিশ্বে আফিম উৎপাদন ৩৮ শতাংশ কমে যায়। সব মিলিয়ে তা চার হাজার ৮৬০ পাউন্ড।
এদিকে আফগানিস্তানে যখন আফিম উৎপাদনে মন্দা দেখা দিয়েছে, মিয়ানমারে তখন এ উৎপাদন বাড়ছে। ২০১০ সালে মিয়ানমারে পপি চাষ ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৭ সালে বিশ্ববাজারে মিয়ানমারের আফিম উৎপাদনের হার ছিল পাঁচ শতাংশ। গত বছর তা বেড়ে ১২ শতাংশে পৌঁছেছে।
No comments