ঝটিকা সফরে লিবিয়ায় ক্যামেরন ও সারকোজি
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন লিবিয়ার পলাতক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ডেভিড ক্যামেরন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি গতকাল বৃহস্পতিবার ঝটিকা সফরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে পৌঁছান। গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের এটাই প্রথম ত্রিপোলি সফর।
গত মাসে গাদ্দাফির অনুগতদের হাত থেকে দখল নেওয়ার পর ত্রিপোলিকে নিরাপদ ঘোষণা করেন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল। এরপর ডেভিড ক্যামেরন এবং নিকোলা সারকোজি এই সফর করলেন।
ত্রিপোলিতে পৌঁছে গতকাল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন দুই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, লিবিয়ার জনগণ পুরোপুরি বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ন্যাটো বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। জাতিসংঘের প্রস্তাব ১৯৭৩ অনুযায়ী লিবিয়ার জনগণকে রক্ষার জন্য যত দিন প্রয়োজন, ঠিক তত দিন ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
ক্যামেরন বলেন, ‘এখনো অনেক কাজ বাকি, এখনো অনেক পথ হাঁটতে হবে। তবে দেশ গঠনে এনটিসির জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার জনগণের জন্য যুক্তরাজ্য যে ভূমিকা রাখতে পেরেছে, সে জন্য আমি গর্বিত। তবে শেষ কাজটি লিবিয়ার জনগণই করেছে। আর সে জন্যই আমি লিবিয়ার জনগণকে ধন্যবাদ দিতে এবং লিবিয়াকে গঠনে জনগণকে কীভাবে আমরা সহায়তা করতে পারি, তার পরিকল্পনা করতে এসেছি।’ তিনি গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে সহায়তারও আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি বলেন, গাদ্দাফি এখনো দেশটির জন্য হুমকি। তাই তাঁকে এবং তাঁর অবশিষ্ট বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজ এখনো বাকি রয়েছে। তিনি লিবিয়ার জনগণকে প্রতিশোধ গ্রহণের মানসিকতা পরিহার করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান।
সফরকালে সারকোজির সঙ্গে ছিলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলা জুপ্পে। আর ক্যামেরনের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ।
দুই নেতার আগমন উপলক্ষে ত্রিপোলিতে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ত্রিপোলির মেটিগা বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি অভিজাত হোটেল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফরাসি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তাকর্মীদের বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়।
ডেভিড ক্যামেরন ও নিকোলা সারকোজি ত্রিপোলির বিমানবন্দরে পৌঁছালে এনটিসি-প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল এবং এনটিসির নির্বাহী প্রধান মাহমুদ জিব্রিল তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। মুস্তাফা আবদেল জলিল জানান, দুই নেতা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক লিবিয়া গড়তে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে দুই নেতা হেলিকপ্টারে ত্রিপোলির একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আজ শুক্রবার লিবিয়ায় সফর করবেন।
গত মাসে গাদ্দাফির অনুগতদের হাত থেকে দখল নেওয়ার পর ত্রিপোলিকে নিরাপদ ঘোষণা করেন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল। এরপর ডেভিড ক্যামেরন এবং নিকোলা সারকোজি এই সফর করলেন।
ত্রিপোলিতে পৌঁছে গতকাল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন দুই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, লিবিয়ার জনগণ পুরোপুরি বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ন্যাটো বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। জাতিসংঘের প্রস্তাব ১৯৭৩ অনুযায়ী লিবিয়ার জনগণকে রক্ষার জন্য যত দিন প্রয়োজন, ঠিক তত দিন ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
ক্যামেরন বলেন, ‘এখনো অনেক কাজ বাকি, এখনো অনেক পথ হাঁটতে হবে। তবে দেশ গঠনে এনটিসির জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার জনগণের জন্য যুক্তরাজ্য যে ভূমিকা রাখতে পেরেছে, সে জন্য আমি গর্বিত। তবে শেষ কাজটি লিবিয়ার জনগণই করেছে। আর সে জন্যই আমি লিবিয়ার জনগণকে ধন্যবাদ দিতে এবং লিবিয়াকে গঠনে জনগণকে কীভাবে আমরা সহায়তা করতে পারি, তার পরিকল্পনা করতে এসেছি।’ তিনি গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে সহায়তারও আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি বলেন, গাদ্দাফি এখনো দেশটির জন্য হুমকি। তাই তাঁকে এবং তাঁর অবশিষ্ট বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজ এখনো বাকি রয়েছে। তিনি লিবিয়ার জনগণকে প্রতিশোধ গ্রহণের মানসিকতা পরিহার করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান।
সফরকালে সারকোজির সঙ্গে ছিলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলা জুপ্পে। আর ক্যামেরনের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ।
দুই নেতার আগমন উপলক্ষে ত্রিপোলিতে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ত্রিপোলির মেটিগা বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি অভিজাত হোটেল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফরাসি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তাকর্মীদের বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়।
ডেভিড ক্যামেরন ও নিকোলা সারকোজি ত্রিপোলির বিমানবন্দরে পৌঁছালে এনটিসি-প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল এবং এনটিসির নির্বাহী প্রধান মাহমুদ জিব্রিল তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। মুস্তাফা আবদেল জলিল জানান, দুই নেতা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক লিবিয়া গড়তে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে দুই নেতা হেলিকপ্টারে ত্রিপোলির একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আজ শুক্রবার লিবিয়ায় সফর করবেন।
No comments