একটানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণ হওয়ায় বিভিন্ন সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পানি জমে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে চমেক হাসপাতালের সামনে একটি বড় কড়ই গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়লে একটি বেবিট্যাক্সি ও একটি রিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বৃষ্টির কারণে সরকারি ছুটির দিনে গতকাল নগরীর রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস ব্যাহত হয়। ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় মাছ ধরা ট্রলার ও ছোট নৌকাগুলো তীরের কাছাকাছি অবস্থান করে। তবে ট্রেন ও বিমান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে ও আটকে থাকা পানি সরাতে অতিরিক্ত ২০০ কর্মচারীকে কাজে নামায়। তারা নালা-নর্দমা পরিষ্কার করে পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকা এবং সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আরও কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরেই বর্ষণ চলছে। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মুষলধারার বৃষ্টিতে নগরীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঘুম থেকে উঠে নিম্নাঞ্চলের মানুষ বাসাবাড়ি কিংবা রাস্তার সামনে হাঁটু থেকে কোমর পানি দেখতে পায়। বিশেষ করে চকবাজার, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাকলিয়া ডিসি রোডসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি। এসব এলাকার সড়ক-মহাসড়ক ও অলিগলিতে সব ধরনের যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। আগ্রাবাদে সরকারি কমার্স কলেজের নিচতলায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মূল গেট ও মর্গের মাঝামাঝি এলাকায় রাস্তার পাশের একটি কড়ই গাছ উপড়ে পড়ে। এই গাছের চাপায় পড়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি রিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে এক রিকশাচালক আহত হন। সড়ক বিভাগ গাছটি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্দরের বিভিন্ন জেটি ও বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ অর্ধশতাধিক জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে আছে চাল, গম, তেল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যভর্তি জাহাজও। সাগর উত্তাল থাকায় বন্ধ আছে শতাধিক লাইটারেজ জাহাজের কার্যক্রমও। বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য আনতে বুকিং দেওয়ার পরও লাইটারেজ জাহাজ যেতে পারছে না সাগরে। বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বৃষ্টির কারণে খোলা পণ্যবাহী জাহাজের খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে কনটেইনার বোঝাই জাহাজের খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।'
চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরেই বর্ষণ চলছে। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মুষলধারার বৃষ্টিতে নগরীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঘুম থেকে উঠে নিম্নাঞ্চলের মানুষ বাসাবাড়ি কিংবা রাস্তার সামনে হাঁটু থেকে কোমর পানি দেখতে পায়। বিশেষ করে চকবাজার, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাকলিয়া ডিসি রোডসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি। এসব এলাকার সড়ক-মহাসড়ক ও অলিগলিতে সব ধরনের যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। আগ্রাবাদে সরকারি কমার্স কলেজের নিচতলায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মূল গেট ও মর্গের মাঝামাঝি এলাকায় রাস্তার পাশের একটি কড়ই গাছ উপড়ে পড়ে। এই গাছের চাপায় পড়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি রিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে এক রিকশাচালক আহত হন। সড়ক বিভাগ গাছটি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্দরের বিভিন্ন জেটি ও বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ অর্ধশতাধিক জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে আছে চাল, গম, তেল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যভর্তি জাহাজও। সাগর উত্তাল থাকায় বন্ধ আছে শতাধিক লাইটারেজ জাহাজের কার্যক্রমও। বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য আনতে বুকিং দেওয়ার পরও লাইটারেজ জাহাজ যেতে পারছে না সাগরে। বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বৃষ্টির কারণে খোলা পণ্যবাহী জাহাজের খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে কনটেইনার বোঝাই জাহাজের খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।'
No comments