মৌন-মুখর মরিনহো, বিনয়ী গার্দিওলা
হোসে মরিনহোর মনটা এমনিতেই ভালো ছিল না। ম্যাচের আগেই বার্সেলোনার চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল দল। সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মৌনব্রতও পালন করছিলেন আগে থেকেই। পরশু বার্সেলোনার সঙ্গে ধ্রুপদি লড়াইয়ে ১-১ গোলে ড্র করার পরও একরকম মৌনই রইলেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ।
সংবাদ সম্মেলনে গেছেন, কথাও বলেছেন। তবে মাদ্রিদের কোনো পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল থেকে প্রশ্ন এলে চুপ থেকেছেন। সামনে ঠেলে দিয়েছেন তাঁর সহকারী আইতর কারাঙ্কাকে। এএস পত্রিকার এক প্রতিবেদক আইতরের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালে বেরিয়ে আসেন মরিনহো। মৌনব্রত ভেঙে ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আপনি কি এএস-এর পরিচালক? যদি তা না হন, তাহলে আপনার সঙ্গে আমি কথা বলব না। এটা আপনারই দর্শন। আপনি যদি আমার সহকারীর সঙ্গে কথা না বলেন, তাহলে আমিও আপনার পরিচালকের সঙ্গেই শুধু কথা বলব।’
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও সংবাদ সম্মেলনে মরিনহো নিজের রাগ আর ক্ষোভ ঠিকই প্রকাশ করেছেন। এই পর্তুগিজ কোচ সবচেয়ে বেশি হতাশ ৫২ মিনিটে রাউল আলবিওলের লাল কার্ড পাওয়ায়, ‘আমরা চাই, রেফারির সিদ্ধান্ত দুই দলের জন্যই সমান হোক। সেই একই আইন এবং আমি ১০ জন নিয়ে খেলে ক্লান্ত। দানি আলভেজের বেলায় রেফারির দৃষ্টিভঙ্গি কেমন বদলে গেল! আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, বক্সের মধ্যে ফাউল করেও কেন আলভেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেল না।’
রাউল আলবিওলের ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। পেনাল্টি গোলের আগে আলবিওল দেখেন লাল কার্ড। তবে আলভেজ বক্সে ফাউল করেও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান। এ নিয়েই আপত্তি মরিনহোর। ‘আমি চতুর্থ রেফারিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আলভেজকে কেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেওয়া হলো না। সে আমাকে উত্তর দিয়েছে, আলভেজ ফুলব্যাক বলেই দেওয়া হয়নি!’
১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলা যে কতটা কষ্টের, সেটা বোঝাতে মরিনহো বলেছেন, ‘একবারের জন্য হলেও আমি ১০ জনের বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে চাই।’ মরিনহোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে রিয়াল ডিফেন্ডার আলভেরো আরবেলোয়া বলেছেন, ‘আলভেজেরও লাল কার্ড পাওয়া উচিত ছিল।’
লাল কার্ড দূরের কথা, বার্সেলোনা শিবির এই পেনাল্টিটাই মানছে না। দানি আলভেজ নিজে বলেছেন, ‘আমরা সাধারণত রেফারিং নিয়ে কিছু বলি না। তবে কখনো কখনো তো বলতেই হয়। রেফারিরা তাঁদের কাজটা ঠিকঠাকভাবেই করতে চান, প্রায় সময়ই তা করতে পারেন। কখনো কখনো তাঁরা ভুলও করেন। আমার বিপক্ষে দেওয়া পেনাল্টিটি ঠিক ছিল না। পরিষ্কারভাবে আমি বল জিতেছি।’
আলভেজ ছাড়া আর কেউই রেফারিং বা পেনাল্টি নিয়ে তেমন কথা বলেননি। বার্সেলোনার কোচ পেপ গার্দিওলা এবং তাঁর শিষ্য জাভি হার্নান্দেজ বলেছেন ম্যাচ আর শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে। জাভির কথা, ‘আজ (পরশু) রাতে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে বার্সাই ভালো দল ছিল।’ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা এখনো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাইনি। মাত্র তো ৮ পয়েন্ট এগিয়ে আছি। ছয়টি ম্যাচ এখনো বাকি।’
গার্দিওলা বিনয় দেখালেও এখনই বার্সেলোনার মাথায় স্প্যানিশ লিগের মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৮ পয়েন্টের ব্যবধান রিয়াল মাদ্রিদ ঘোচাতে পারবে বলে মনে করেন না তাঁরা। তবে রিয়াল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস এখনো আশা ছাড়ছেন না, ‘আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’
সংবাদ সম্মেলনে গেছেন, কথাও বলেছেন। তবে মাদ্রিদের কোনো পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল থেকে প্রশ্ন এলে চুপ থেকেছেন। সামনে ঠেলে দিয়েছেন তাঁর সহকারী আইতর কারাঙ্কাকে। এএস পত্রিকার এক প্রতিবেদক আইতরের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালে বেরিয়ে আসেন মরিনহো। মৌনব্রত ভেঙে ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আপনি কি এএস-এর পরিচালক? যদি তা না হন, তাহলে আপনার সঙ্গে আমি কথা বলব না। এটা আপনারই দর্শন। আপনি যদি আমার সহকারীর সঙ্গে কথা না বলেন, তাহলে আমিও আপনার পরিচালকের সঙ্গেই শুধু কথা বলব।’
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও সংবাদ সম্মেলনে মরিনহো নিজের রাগ আর ক্ষোভ ঠিকই প্রকাশ করেছেন। এই পর্তুগিজ কোচ সবচেয়ে বেশি হতাশ ৫২ মিনিটে রাউল আলবিওলের লাল কার্ড পাওয়ায়, ‘আমরা চাই, রেফারির সিদ্ধান্ত দুই দলের জন্যই সমান হোক। সেই একই আইন এবং আমি ১০ জন নিয়ে খেলে ক্লান্ত। দানি আলভেজের বেলায় রেফারির দৃষ্টিভঙ্গি কেমন বদলে গেল! আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, বক্সের মধ্যে ফাউল করেও কেন আলভেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেল না।’
রাউল আলবিওলের ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। পেনাল্টি গোলের আগে আলবিওল দেখেন লাল কার্ড। তবে আলভেজ বক্সে ফাউল করেও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান। এ নিয়েই আপত্তি মরিনহোর। ‘আমি চতুর্থ রেফারিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আলভেজকে কেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেওয়া হলো না। সে আমাকে উত্তর দিয়েছে, আলভেজ ফুলব্যাক বলেই দেওয়া হয়নি!’
১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলা যে কতটা কষ্টের, সেটা বোঝাতে মরিনহো বলেছেন, ‘একবারের জন্য হলেও আমি ১০ জনের বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে চাই।’ মরিনহোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে রিয়াল ডিফেন্ডার আলভেরো আরবেলোয়া বলেছেন, ‘আলভেজেরও লাল কার্ড পাওয়া উচিত ছিল।’
লাল কার্ড দূরের কথা, বার্সেলোনা শিবির এই পেনাল্টিটাই মানছে না। দানি আলভেজ নিজে বলেছেন, ‘আমরা সাধারণত রেফারিং নিয়ে কিছু বলি না। তবে কখনো কখনো তো বলতেই হয়। রেফারিরা তাঁদের কাজটা ঠিকঠাকভাবেই করতে চান, প্রায় সময়ই তা করতে পারেন। কখনো কখনো তাঁরা ভুলও করেন। আমার বিপক্ষে দেওয়া পেনাল্টিটি ঠিক ছিল না। পরিষ্কারভাবে আমি বল জিতেছি।’
আলভেজ ছাড়া আর কেউই রেফারিং বা পেনাল্টি নিয়ে তেমন কথা বলেননি। বার্সেলোনার কোচ পেপ গার্দিওলা এবং তাঁর শিষ্য জাভি হার্নান্দেজ বলেছেন ম্যাচ আর শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে। জাভির কথা, ‘আজ (পরশু) রাতে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে বার্সাই ভালো দল ছিল।’ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা এখনো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাইনি। মাত্র তো ৮ পয়েন্ট এগিয়ে আছি। ছয়টি ম্যাচ এখনো বাকি।’
গার্দিওলা বিনয় দেখালেও এখনই বার্সেলোনার মাথায় স্প্যানিশ লিগের মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৮ পয়েন্টের ব্যবধান রিয়াল মাদ্রিদ ঘোচাতে পারবে বলে মনে করেন না তাঁরা। তবে রিয়াল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস এখনো আশা ছাড়ছেন না, ‘আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’
No comments