গাদ্দাফিকে নির্বাসনে পাঠাতে দেশ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁকে কোন দেশে নির্বাসনে পাঠানো হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। আফ্রিকা মহাদেশের কোনো দেশে তাঁকে পাঠানো হতে পারে বলেও ভাবছে তারা। গাদ্দাফির পতনের পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আস্থাভাজন কোনো বিদ্রোহী নেতাকে পাওয়া যায়নি বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের লক্ষ করে সফল অভিযান চালানোর দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। পূর্বাঞ্চলীয় শহর আজদাবিয়ায় অভিযান চালিয়েছে গাদ্দাফি বাহিনী।
ন্যাটো জোটের সব দেশ লিবিয়া অভিযানে সম্পৃক্ত না হওয়ায় সম্প্রতি অভিযানের গতি কিছুটা কমে এসেছে। গাদ্দাফিও বারবার ঘোষণা করছেন, কোনোভাবেই তিনি দেশ ছেড়ে যাবেন না। এর মধ্যেও গাদ্দাফিকে অন্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সুযোগ সৃষ্টি হলে গাদ্দাফিকে শান্তিপূর্ণভাবে লিবিয়া থেকে অন্য দেশে পাঠানোর উপায় খুঁজছি আমরা।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি গত মাসে বলেন, আফ্রিকার কোনো একটি দেশ গাদ্দাফিকে আশ্রয় দিতে পারে। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। শাদ, মালি, জিম্বাবুয়েসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে গাদ্দাফির চমৎকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে অন্য কোনো দেশে পাঠানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার জটিল হয়ে পড়বে। তাই তাঁকে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের যেকোনো একটিতে পাঠানোর কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। লিবিয়ায় নিজের জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও ১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডে লকারবির আকাশে যাত্রীবাহী বিমানে হামলার ঘটনায় গাদ্দাফিকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে লিবিয়ায় বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা মিসরাতায় গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালিয়ে একটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। মিসরাতার রাজপথ থেকে গাদ্দাফির অনুগত কয়েকজন বন্দুকধারীকে আটকের দাবিও করে তারা।
আজদাবিয়ায় গতকাল রোববারও হামলা চালায় গাদ্দাফির অনুগত সেনারা। এই হামলায় হতাহতের খবর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আগের দিন গাদ্দাফি বাহিনীর রকেট হামলায় আজদাবিয়ায় আট জন নিহত ও অন্তত ২৭ জন আহত হয়। গতকালের হামলার পর অনেক বিদ্রোহী আজদাবিয়া ছেড়ে চলেযায়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত ১৭ মার্চ লিবিয়ার জনগণকে রক্ষায় ‘প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ’ নেওয়ার অনুমোদন দেয়। এতে গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু লিবিয়া অভিযান শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে বলে বারবার বলে আসছে।
এদিকে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের লক্ষ করে সফল অভিযান চালানোর দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। পূর্বাঞ্চলীয় শহর আজদাবিয়ায় অভিযান চালিয়েছে গাদ্দাফি বাহিনী।
ন্যাটো জোটের সব দেশ লিবিয়া অভিযানে সম্পৃক্ত না হওয়ায় সম্প্রতি অভিযানের গতি কিছুটা কমে এসেছে। গাদ্দাফিও বারবার ঘোষণা করছেন, কোনোভাবেই তিনি দেশ ছেড়ে যাবেন না। এর মধ্যেও গাদ্দাফিকে অন্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সুযোগ সৃষ্টি হলে গাদ্দাফিকে শান্তিপূর্ণভাবে লিবিয়া থেকে অন্য দেশে পাঠানোর উপায় খুঁজছি আমরা।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি গত মাসে বলেন, আফ্রিকার কোনো একটি দেশ গাদ্দাফিকে আশ্রয় দিতে পারে। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। শাদ, মালি, জিম্বাবুয়েসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে গাদ্দাফির চমৎকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে অন্য কোনো দেশে পাঠানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার জটিল হয়ে পড়বে। তাই তাঁকে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের যেকোনো একটিতে পাঠানোর কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। লিবিয়ায় নিজের জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও ১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডে লকারবির আকাশে যাত্রীবাহী বিমানে হামলার ঘটনায় গাদ্দাফিকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে লিবিয়ায় বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা মিসরাতায় গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালিয়ে একটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। মিসরাতার রাজপথ থেকে গাদ্দাফির অনুগত কয়েকজন বন্দুকধারীকে আটকের দাবিও করে তারা।
আজদাবিয়ায় গতকাল রোববারও হামলা চালায় গাদ্দাফির অনুগত সেনারা। এই হামলায় হতাহতের খবর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আগের দিন গাদ্দাফি বাহিনীর রকেট হামলায় আজদাবিয়ায় আট জন নিহত ও অন্তত ২৭ জন আহত হয়। গতকালের হামলার পর অনেক বিদ্রোহী আজদাবিয়া ছেড়ে চলেযায়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত ১৭ মার্চ লিবিয়ার জনগণকে রক্ষায় ‘প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ’ নেওয়ার অনুমোদন দেয়। এতে গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু লিবিয়া অভিযান শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে বলে বারবার বলে আসছে।
No comments