তদন্ত প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করুন -শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি তদন্তে কমিটি গঠন করায় জনমনে যতটুকু উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছিল, কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় তাতে শুধু ভাটাই পড়েনি, বরং সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাঁরা শেয়ার কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী, সরকার তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে চায় কি না? তদন্ত কমিটি তো যথাসম্ভব দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সরকারের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে তা জনগণকে জানতে দেওয়া। কিন্তু ১১ দিন হয়ে গেল, এখনো প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হলো না।
সরকার প্রকাশ না করলেও পত্রপত্রিকায় অনেক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে দেশের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতির নাম আসছে। তাঁরা সবাই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালী। কিন্তু সরকার যেহেতু প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি, তাই এসব নাম সঠিক কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়। যদি ঠিক হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে এরকম ধারণা বদ্ধমূল হবে যে সরকার প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তিদের রক্ষার জন্যই বোধহয় প্রতিবেদন প্রকাশে গড়িমসি করছে। আর যদি নামগুলোতে ভুলভ্রান্তি থাকে, তাহলে নির্দোষ কোনো শিল্পপতি সম্পর্কে সমাজে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হবে। সরকার-ঘোষিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন যথাসময়ে প্রকাশ না করার এই হলো কুফল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়, ১৯৯৬ সালেও শেয়ার কেলেঙ্কারিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ হয়েছিল। সেই সময়ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে তাঁদেরই কারও কারও পক্ষে এবারের বাজার কেলেঙ্কারিতে কলকাঠি নাড়া সম্ভব হয়েছে বলে কথা উঠেছে। এখন যদি আবার তাঁদের রেখেঢেকে রাখার চেষ্টা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা থাকবে।
এখন সরকারের অন্তত দুটি কাজ খুব দ্রুত করতে হবে। প্রথমত, তদন্ত প্রতিবেদনটি অনতিবিলম্বে, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা। এখানে সরকারের যদি কোথাও আপত্তি থাকে, বা অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে সরকারের দ্বিমত থাকে, তাহলে একই সঙ্গে তা প্রকাশ করতে পারে। যদি আরও অনুসন্ধান দরকার বলে মনে করে, তাহলে সেটাও প্রকাশ করুক। এটাই তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। সরকার যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তাহলে তার প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশে বাধা কোথায়?
দ্বিতীয়ত, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিভিন্ন অনিয়মের জন্য দায়ী বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এসইসি পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প নেই। বাজারসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সবাই এই মত পোষণ করেন। এ ব্যাপারে কোনো রকম শৈথিল্য কাম্য নয়।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি করার সুযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারের ওপর মহলে তদবির করে প্রতিবেদনটি বাতিলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যদের সমাজের চোখে হেয়প্রতিপন্ন করারও অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ যদি সত্য হয় এবং এ ধরনের অপচেষ্টা যদি সফল হয়, তা হলে তা হবে একটি অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত। এটা শুধু শেয়ারবাজার নয়, দেশের অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর হবে। এ ধরনের কারসাজি রোধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সরকার প্রকাশ না করলেও পত্রপত্রিকায় অনেক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে দেশের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতির নাম আসছে। তাঁরা সবাই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালী। কিন্তু সরকার যেহেতু প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি, তাই এসব নাম সঠিক কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়। যদি ঠিক হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে এরকম ধারণা বদ্ধমূল হবে যে সরকার প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তিদের রক্ষার জন্যই বোধহয় প্রতিবেদন প্রকাশে গড়িমসি করছে। আর যদি নামগুলোতে ভুলভ্রান্তি থাকে, তাহলে নির্দোষ কোনো শিল্পপতি সম্পর্কে সমাজে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হবে। সরকার-ঘোষিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন যথাসময়ে প্রকাশ না করার এই হলো কুফল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়, ১৯৯৬ সালেও শেয়ার কেলেঙ্কারিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ হয়েছিল। সেই সময়ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে তাঁদেরই কারও কারও পক্ষে এবারের বাজার কেলেঙ্কারিতে কলকাঠি নাড়া সম্ভব হয়েছে বলে কথা উঠেছে। এখন যদি আবার তাঁদের রেখেঢেকে রাখার চেষ্টা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা থাকবে।
এখন সরকারের অন্তত দুটি কাজ খুব দ্রুত করতে হবে। প্রথমত, তদন্ত প্রতিবেদনটি অনতিবিলম্বে, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা। এখানে সরকারের যদি কোথাও আপত্তি থাকে, বা অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে সরকারের দ্বিমত থাকে, তাহলে একই সঙ্গে তা প্রকাশ করতে পারে। যদি আরও অনুসন্ধান দরকার বলে মনে করে, তাহলে সেটাও প্রকাশ করুক। এটাই তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। সরকার যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তাহলে তার প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশে বাধা কোথায়?
দ্বিতীয়ত, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিভিন্ন অনিয়মের জন্য দায়ী বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এসইসি পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প নেই। বাজারসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সবাই এই মত পোষণ করেন। এ ব্যাপারে কোনো রকম শৈথিল্য কাম্য নয়।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি করার সুযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারের ওপর মহলে তদবির করে প্রতিবেদনটি বাতিলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যদের সমাজের চোখে হেয়প্রতিপন্ন করারও অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ যদি সত্য হয় এবং এ ধরনের অপচেষ্টা যদি সফল হয়, তা হলে তা হবে একটি অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত। এটা শুধু শেয়ারবাজার নয়, দেশের অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর হবে। এ ধরনের কারসাজি রোধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
No comments