মুসলিম ভোটারদের দিকে তাকিয়ে আছে সব দল
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে সব দল মুসলিম ভোটারদের দিকে তাকিয়ে আছে। এখানে মুসলিম ভোটারেরা নির্বাচনের ফল নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত।
এত দিন মুসলিমদের বেশির ভাগ ভোট বাম দলের দিকে ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস। এর আগে বিজেপিকে সমর্থন করায় মমতার দিকে মুসলিম ভোটারদের সমর্থন তেমন ছিল না। তবে এবার বিশেষ করে নন্দীগ্রাম, তরুণ প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু এবং তসলিমাকে কলকাতা থেকে বিতাড়নের আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিবাচক ভূমিকায় মুসলিম ভোটে নতুন মেরুকরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই ভোট পেতে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দল দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। মুসলিমদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশ মুসলিম। আর রাজ্য বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭০টি মুসলিমপ্রধান। এ ছাড়া আরও ৫৫টি আসন রয়েছে, যেখানে মুসলিমরাই ভোটের নির্ণায়ক শক্তি। সব মিলিয়ে ১২৫টি কেন্দ্রে মুসলিম ভোটের ওপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের ফলাফল। সিপিআইএমের নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাশাপাশি তাঁদের তিন মুসলিম নেতা মোহাম্মদ সেলিম, আবদুস সাত্তার ও রেজ্জাক মোল্লা মুসলিম ভোটারদের মন জয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
মমতাও মুসলিম ভোটারদের নিজের পক্ষে টানার উদোগ নিয়েছেন। তাই পদযাত্রায় বেরিয়ে তিনি কখনো দরগায় ঢুকে পড়ছেন, কখনো মসজিদে গিয়েও সম্মান জানাচ্ছেন। মমতার সঙ্গে রয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীর তোহা সিদ্দিকী ও কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম মওলানা নূরুর রহমান বরকতির মতো ধর্মীয় নেতারা।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং পরে পঞ্চায়েত ও পুরভোটের ফল থেকে স্পষ্ট হয়, মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ বামবিমুখ হয়ে পড়েছে। অথচ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর মুসলিমরাই ছিল বামদের নিশ্চিত ভোট ব্যাংক। সেই ভোট ব্যাংকে ভাঙন ধরায় সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন। গত বছর কলকাতা পুরসভার ভোটে দেখা যায়, মুসলিম অধ্যুষিত ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিআইএম জয় পায় মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ডে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১২৫টি মুসলিম প্রভাবিত বিধানসভা এলাকার ৯৭টিতেই বামফ্রন্ট তৃণমূলের চেয়ে পিছিয়ে ছিল।
গত এক বছরে বাম সরকার মুসলিমদের মন জয় করতে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। এমনকি মুসলিমদের জন্য চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছে। বাম নেতাদের দাবি, তৃণমূল নেত্রীর প্রতি মুসলিমদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই মুসলিম ভোট আবার বামমুখী।
তবে মমতা রেলমন্ত্রী হওয়ার পর মুসলিমদের মন জয় করতে সংখ্যালঘুদের কল্যাণে বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মতে, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সংখ্যালঘুরা তাঁদের প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন তা এবারও অটুট থাকবে।
এত দিন মুসলিমদের বেশির ভাগ ভোট বাম দলের দিকে ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস। এর আগে বিজেপিকে সমর্থন করায় মমতার দিকে মুসলিম ভোটারদের সমর্থন তেমন ছিল না। তবে এবার বিশেষ করে নন্দীগ্রাম, তরুণ প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু এবং তসলিমাকে কলকাতা থেকে বিতাড়নের আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিবাচক ভূমিকায় মুসলিম ভোটে নতুন মেরুকরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই ভোট পেতে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দল দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। মুসলিমদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশ মুসলিম। আর রাজ্য বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭০টি মুসলিমপ্রধান। এ ছাড়া আরও ৫৫টি আসন রয়েছে, যেখানে মুসলিমরাই ভোটের নির্ণায়ক শক্তি। সব মিলিয়ে ১২৫টি কেন্দ্রে মুসলিম ভোটের ওপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের ফলাফল। সিপিআইএমের নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাশাপাশি তাঁদের তিন মুসলিম নেতা মোহাম্মদ সেলিম, আবদুস সাত্তার ও রেজ্জাক মোল্লা মুসলিম ভোটারদের মন জয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
মমতাও মুসলিম ভোটারদের নিজের পক্ষে টানার উদোগ নিয়েছেন। তাই পদযাত্রায় বেরিয়ে তিনি কখনো দরগায় ঢুকে পড়ছেন, কখনো মসজিদে গিয়েও সম্মান জানাচ্ছেন। মমতার সঙ্গে রয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীর তোহা সিদ্দিকী ও কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম মওলানা নূরুর রহমান বরকতির মতো ধর্মীয় নেতারা।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং পরে পঞ্চায়েত ও পুরভোটের ফল থেকে স্পষ্ট হয়, মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ বামবিমুখ হয়ে পড়েছে। অথচ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর মুসলিমরাই ছিল বামদের নিশ্চিত ভোট ব্যাংক। সেই ভোট ব্যাংকে ভাঙন ধরায় সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন। গত বছর কলকাতা পুরসভার ভোটে দেখা যায়, মুসলিম অধ্যুষিত ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিআইএম জয় পায় মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ডে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১২৫টি মুসলিম প্রভাবিত বিধানসভা এলাকার ৯৭টিতেই বামফ্রন্ট তৃণমূলের চেয়ে পিছিয়ে ছিল।
গত এক বছরে বাম সরকার মুসলিমদের মন জয় করতে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। এমনকি মুসলিমদের জন্য চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছে। বাম নেতাদের দাবি, তৃণমূল নেত্রীর প্রতি মুসলিমদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই মুসলিম ভোট আবার বামমুখী।
তবে মমতা রেলমন্ত্রী হওয়ার পর মুসলিমদের মন জয় করতে সংখ্যালঘুদের কল্যাণে বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মতে, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সংখ্যালঘুরা তাঁদের প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন তা এবারও অটুট থাকবে।
No comments