বাজেটে শুল্কস্তরের পুনর্বিন্যাস চায় এফবিসিসিআই
শুল্কস্তর পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই মূলধনি যন্ত্রপাতি ও মৌলিক কাঁচামালের ওপর ১ শতাংশ, মধ্যবর্তী কাঁচামালের ওপর ৩ শতাংশ এবং দেশে উৎপাদিত মধ্যবর্তী কাঁচামাল ও অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে ১২ শতাংশ এবং তৈরি ও বিলাসপণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের দাবি করেছে।
গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত চলমান প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এসব দাবিসহ ৪৫ দফা সুপারিশ করা হয়। এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, এনবিআরের সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী, আমিনুর রহমান, শাহ্ আলম খান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জসিম উদ্দিন, আবদুল হক, আবদুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা মনজুর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় শিল্পের সংরক্ষণ এবং আমদানি বিকল্প পণ্যের শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শুল্ক স্তরসহ ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনায়। এ ছাড়া তৈরি, বিলাসজাত ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণে সক্ষম সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
তবে আয়কর হার আয়করদাতার জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বা সামঞ্জস্যপূর্ণ করে করমুক্ত সীমা দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কর ২৫ শতাংশ, অতালিকাভুক্ত ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ২৭ শতাংশ, ট্রেডিং/নন-ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কর অবকাশসুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান বিধান অনুসারে ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত নির্দিষ্টকৃত নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আয় অবস্থান ভেদে প্রতিষ্ঠার প্রথম দু-তিন বছর ১০০ শতাংশ আয় করমুক্ত, পরবর্তী দু-তিন বছর ৫০ শতাংশ আয় করমুক্ত এবং পরবর্তী এক বছর ২৫ শতাংশ আয় করমুক্ত। কর মুক্তির এ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিল্পপ্রতিষ্ঠার সময়সীমা ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ আয়কর আইনে বিদ্যমান ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ক্ষমতা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ক্ষমতাবলে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া আইনটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের অন্তরায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ কে আজাদ আরও বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক সরকারই স্বাধীনতার ৪০ বছরের মধ্যে এই আইনটি প্রয়োগ করেনি। তবে যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে, কেবল তারাই এই আইনটি প্রয়োগ করে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পর তাদের হয়রানি করে।
সালমান এফ রহমান আয়করদাতাদের ব্যক্তি তথ্য প্রকাশ না করার দাবি জানান। তিনি বলেন, আয়কর আইনে করদাতার ব্যক্তি তথ্য গোপন রাখার বিধি রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।
এফবিসিসিআই মূলধনি যন্ত্রপাতি ও মৌলিক কাঁচামালের ওপর ১ শতাংশ, মধ্যবর্তী কাঁচামালের ওপর ৩ শতাংশ এবং দেশে উৎপাদিত মধ্যবর্তী কাঁচামাল ও অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে ১২ শতাংশ এবং তৈরি ও বিলাসপণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের দাবি করেছে।
গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত চলমান প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এসব দাবিসহ ৪৫ দফা সুপারিশ করা হয়। এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, এনবিআরের সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী, আমিনুর রহমান, শাহ্ আলম খান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জসিম উদ্দিন, আবদুল হক, আবদুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা মনজুর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় শিল্পের সংরক্ষণ এবং আমদানি বিকল্প পণ্যের শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শুল্ক স্তরসহ ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনায়। এ ছাড়া তৈরি, বিলাসজাত ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণে সক্ষম সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
তবে আয়কর হার আয়করদাতার জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বা সামঞ্জস্যপূর্ণ করে করমুক্ত সীমা দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কর ২৫ শতাংশ, অতালিকাভুক্ত ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ২৭ শতাংশ, ট্রেডিং/নন-ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কর অবকাশসুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান বিধান অনুসারে ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত নির্দিষ্টকৃত নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আয় অবস্থান ভেদে প্রতিষ্ঠার প্রথম দু-তিন বছর ১০০ শতাংশ আয় করমুক্ত, পরবর্তী দু-তিন বছর ৫০ শতাংশ আয় করমুক্ত এবং পরবর্তী এক বছর ২৫ শতাংশ আয় করমুক্ত। কর মুক্তির এ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিল্পপ্রতিষ্ঠার সময়সীমা ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ আয়কর আইনে বিদ্যমান ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ক্ষমতা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ক্ষমতাবলে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া আইনটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের অন্তরায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ কে আজাদ আরও বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক সরকারই স্বাধীনতার ৪০ বছরের মধ্যে এই আইনটি প্রয়োগ করেনি। তবে যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে, কেবল তারাই এই আইনটি প্রয়োগ করে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পর তাদের হয়রানি করে।
সালমান এফ রহমান আয়করদাতাদের ব্যক্তি তথ্য প্রকাশ না করার দাবি জানান। তিনি বলেন, আয়কর আইনে করদাতার ব্যক্তি তথ্য গোপন রাখার বিধি রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।
No comments