রিয়াল-বার্সার দুই রকম জয়
একদল জিতল ৬-৩ গোলে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে, অন্য দল ২-০ গোলে কষ্টেসৃষ্টে। আগামী পরশু এল ক্লাসিকো চতুষ্টয়ের তৃতীয়টির আগে ভালোমতোই নিজেদের শাণিয়ে রাখল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার কপালে দুশ্চিন্তার কিছু ভাঁজ থেকেই গেল।
বার্সেলোনার দুশ্চিন্তার অনেকগুলো কারণই আছে। পেপ গার্দিওলা মুখে যত যাই বলুন, মানসিকভাবে রিয়াল এখন অনেকখানি এগিয়ে। চতুষ্টয়ের প্রথম এল ক্লাসিকোতে ১০ জনের দল নিয়েও পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোতেই জয়ের স্বাদ খুঁজেছে রিয়াল। সবচেয়ে বড় কথা, সর্পিল পাসের ফুটবল খেলা বার্সার স্রোতকে থামানোর দাওয়াই যেন হোসে মরিনহো পেয়েই গেছেন। স্বপ্নে পাওয়া মহৌষধ নয়; মরিনহোর অভিজ্ঞতাজাত দাওয়াই। সেই ওষুধ দিয়েই শেষ মুহূর্তের গোলে কিংস কাপ জিতেছে রিয়াল, ১৮ বছর পর। মানসিকভাবে এগিয়ে গেল আরও একটু।
এবার পরশুর হিসাবটাও মিলিয়ে নিন। রিয়ালের প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া, পয়েন্ট টেবিলে যাদের অবস্থান তিনে। ভ্যালেন্সিয়া খেলেছেও নিজেদের মাঠে। নিজেদের মাঠে বার্সার প্রতিপক্ষ ছিল ওসাসুনা, অবনমন অঞ্চল থেকে যারা মাত্র দুই পয়েন্ট ওপরে। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ল রিয়াল। জোড়া গোল গঞ্জালো হিগুয়েইনের; কাকা-বেনজেমার গোল একটি করে। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গত বিশ্বকাপের একমাত্র হ্যাটট্রিক হিরো হিগুয়েইন। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন কাকা। ৬০ থেকে ৮৫ মিনিটের মধ্যে ভ্যালেন্সিয়া অবশ্য তিনটি গোল ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাতে সম্মানহানি কিছুটা কম হওয়া ছাড়া বিশেষ প্রাপ্তি নেই।
রিয়ালের দাপুটে প্রথমার্ধের বিপরীত পাল্লায় বার্সেলোনাকে তুলুন। বার্সা প্রথমার্ধ ছেড়েছে ১১ ম্যাচ আর প্রায় দুই মাস বিরতির পর করা ডেভিড ভিয়ার একমাত্র গোল নিয়ে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে বার্সা যে উল্টো একটা গোল খেয়ে বসেনি, এর জন্য ভিক্টর ভালদেস আর ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। ভালদেস দুর্দান্ত সেভ করার পর বলও ভেতরে ঢুকেই যাচ্ছিল প্রায়। কিন্তু বাধা পায় ডান পোস্টে। দ্বিতীয়ার্ধেও এমন কিছু ভয় পাইয়ে দেওয়া পাল্টা আক্রমণ করেছিল ওসাসুনা। কিন্তু ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা মেসির ৮৭ মিনিটের গোল শেষ পর্যন্ত স্বস্তি ফেরায়। এটি এই মৌসুমে মেসির ৫০তম গোল।
বার্সেলোনা অবশ্য জাভি-ইনিয়েস্তা-মেসিকে বসিয়ে রেখেছিল। পেদ্রোকে খেলায়নি। পিকে-পুয়োলবিহীন রক্ষণ ছিল একেবারে অচেনা। রক্ষণে গার্দিওলা খেলিয়েছেন দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস আর হাভিয়ের মাচেরানোকে। কিন্তু সেটা বার্সার ঢাল হচ্ছে না। কারণ দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল রিয়ালও।
ম্যাচ শেষে ভিয়া অবশ্য মরিনহোর তত্ত্বটাই ঝাড়লেন—শেষ পর্যন্ত তিনটা পয়েন্টই আসল, ‘কাজটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। শারীরিক-মানসিকভাবে আমরা খুবই ক্লান্ত। লিগে একটা ম্যাচ কমল, আমরা ৮ পয়েন্টই এগিয়ে থাকলাম—এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আসলেই টানা তৃতীয় লিগ শিরোপার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল বার্সা। ম্যাচ বাকি মাত্র পাঁচটি। তবে যে আট পয়েন্টের ‘বড়াই’ বার্সা করছে, মরিনহো দাবি করলেন, সেসব নাকি দুর্বল দলগুলো তাদের ‘উপহার’ দিয়েছে, ‘গাণিতিকভাবে সম্ভাবনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। উপহার পাওয়া পয়েন্টগুলো নিয়ে বার্সা যদি লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাতে কী আসে-যায়!’
মরিনহোর জন্য এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দুই চোট-ফেরতা কাকা-হিগুয়েইনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রিয়াল কোচ সেটা বলেছেনও। গত মৌসুমে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিগুয়েইন সেরা একাদশে নিয়মিত জায়গার দাবিটাও করলেন জোরালো। গার্দিওলা অবশ্য বলছেন, ‘এভাবে তুলনা করলে হবে না। ওদের রিজার্ভ বেঞ্চে থাকে বেনজেমা, হিগুয়েইন আর কাকা। মাদ্রিদের শক্তিটা তো অবশ্যই বেশি।’
তবে মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসে যেন রিয়াল দিনকে দিন শক্তপোক্ত হচ্ছে, বার্সা হারিয়ে ফেলছে দম। যতই বল পজেশন থাকুক, লিগে গত ১১ ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধানে তারা জিতেছে মাত্র তিনবার!
বার্সেলোনার দুশ্চিন্তার অনেকগুলো কারণই আছে। পেপ গার্দিওলা মুখে যত যাই বলুন, মানসিকভাবে রিয়াল এখন অনেকখানি এগিয়ে। চতুষ্টয়ের প্রথম এল ক্লাসিকোতে ১০ জনের দল নিয়েও পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোতেই জয়ের স্বাদ খুঁজেছে রিয়াল। সবচেয়ে বড় কথা, সর্পিল পাসের ফুটবল খেলা বার্সার স্রোতকে থামানোর দাওয়াই যেন হোসে মরিনহো পেয়েই গেছেন। স্বপ্নে পাওয়া মহৌষধ নয়; মরিনহোর অভিজ্ঞতাজাত দাওয়াই। সেই ওষুধ দিয়েই শেষ মুহূর্তের গোলে কিংস কাপ জিতেছে রিয়াল, ১৮ বছর পর। মানসিকভাবে এগিয়ে গেল আরও একটু।
এবার পরশুর হিসাবটাও মিলিয়ে নিন। রিয়ালের প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া, পয়েন্ট টেবিলে যাদের অবস্থান তিনে। ভ্যালেন্সিয়া খেলেছেও নিজেদের মাঠে। নিজেদের মাঠে বার্সার প্রতিপক্ষ ছিল ওসাসুনা, অবনমন অঞ্চল থেকে যারা মাত্র দুই পয়েন্ট ওপরে। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ল রিয়াল। জোড়া গোল গঞ্জালো হিগুয়েইনের; কাকা-বেনজেমার গোল একটি করে। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গত বিশ্বকাপের একমাত্র হ্যাটট্রিক হিরো হিগুয়েইন। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন কাকা। ৬০ থেকে ৮৫ মিনিটের মধ্যে ভ্যালেন্সিয়া অবশ্য তিনটি গোল ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাতে সম্মানহানি কিছুটা কম হওয়া ছাড়া বিশেষ প্রাপ্তি নেই।
রিয়ালের দাপুটে প্রথমার্ধের বিপরীত পাল্লায় বার্সেলোনাকে তুলুন। বার্সা প্রথমার্ধ ছেড়েছে ১১ ম্যাচ আর প্রায় দুই মাস বিরতির পর করা ডেভিড ভিয়ার একমাত্র গোল নিয়ে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে বার্সা যে উল্টো একটা গোল খেয়ে বসেনি, এর জন্য ভিক্টর ভালদেস আর ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। ভালদেস দুর্দান্ত সেভ করার পর বলও ভেতরে ঢুকেই যাচ্ছিল প্রায়। কিন্তু বাধা পায় ডান পোস্টে। দ্বিতীয়ার্ধেও এমন কিছু ভয় পাইয়ে দেওয়া পাল্টা আক্রমণ করেছিল ওসাসুনা। কিন্তু ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা মেসির ৮৭ মিনিটের গোল শেষ পর্যন্ত স্বস্তি ফেরায়। এটি এই মৌসুমে মেসির ৫০তম গোল।
বার্সেলোনা অবশ্য জাভি-ইনিয়েস্তা-মেসিকে বসিয়ে রেখেছিল। পেদ্রোকে খেলায়নি। পিকে-পুয়োলবিহীন রক্ষণ ছিল একেবারে অচেনা। রক্ষণে গার্দিওলা খেলিয়েছেন দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস আর হাভিয়ের মাচেরানোকে। কিন্তু সেটা বার্সার ঢাল হচ্ছে না। কারণ দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল রিয়ালও।
ম্যাচ শেষে ভিয়া অবশ্য মরিনহোর তত্ত্বটাই ঝাড়লেন—শেষ পর্যন্ত তিনটা পয়েন্টই আসল, ‘কাজটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। শারীরিক-মানসিকভাবে আমরা খুবই ক্লান্ত। লিগে একটা ম্যাচ কমল, আমরা ৮ পয়েন্টই এগিয়ে থাকলাম—এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আসলেই টানা তৃতীয় লিগ শিরোপার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল বার্সা। ম্যাচ বাকি মাত্র পাঁচটি। তবে যে আট পয়েন্টের ‘বড়াই’ বার্সা করছে, মরিনহো দাবি করলেন, সেসব নাকি দুর্বল দলগুলো তাদের ‘উপহার’ দিয়েছে, ‘গাণিতিকভাবে সম্ভাবনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। উপহার পাওয়া পয়েন্টগুলো নিয়ে বার্সা যদি লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাতে কী আসে-যায়!’
মরিনহোর জন্য এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দুই চোট-ফেরতা কাকা-হিগুয়েইনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রিয়াল কোচ সেটা বলেছেনও। গত মৌসুমে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিগুয়েইন সেরা একাদশে নিয়মিত জায়গার দাবিটাও করলেন জোরালো। গার্দিওলা অবশ্য বলছেন, ‘এভাবে তুলনা করলে হবে না। ওদের রিজার্ভ বেঞ্চে থাকে বেনজেমা, হিগুয়েইন আর কাকা। মাদ্রিদের শক্তিটা তো অবশ্যই বেশি।’
তবে মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসে যেন রিয়াল দিনকে দিন শক্তপোক্ত হচ্ছে, বার্সা হারিয়ে ফেলছে দম। যতই বল পজেশন থাকুক, লিগে গত ১১ ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধানে তারা জিতেছে মাত্র তিনবার!
No comments