নাগালের বাইরে সাড়ে ৭ হাজার টিকিট
প্ররতি ম্যাচে সৌজন্য টিকিটই থাকবে ৩৭৮১টি। বিশেষ সুবিধায় বিক্রি হবে ৩৬৬০টি টিকিট। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের জেলায় ম্যাচপ্রতি টিকিট বিক্রি হবে মাত্র ১০৮টি। সিটি ব্যাংক ছাড়া অন্য একটি বেসরকারি ব্যাংকেও টিকিট পাওয়া যাবে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটটা এবার বিশ্বকাপের কোনো টিকিট বুথের সামনে দাঁড়িয়ে উদ্যাপন করে ফেলাই ভালো। পরদিন ১ জানুয়ারি টিকিট বিক্রি শুরু। সাধারণ দর্শকদের জন্য সেই টিকিটের সংখ্যা এতটাই নগণ্য যে, সকালে নাশতা সেরে টিকিট কিনতে যাওয়াটা হবে বিশ্বকাপ বিসর্জন দেওয়ার মতো ব্যাপার।
তবে বিশ্বকাপের টিকিট কেনার জন্য সবাইকে এই কষ্টটুকু করতে হবে না। কারও কারও ঘরেই হয়তো পৌঁছে যাবে টিকিট। আবার কেউ ঘরে বসে সেটা না পেলেও বিসিবির অফিসে তাঁদের টিকিটটি রেখে দেওয়া হবে সযত্নে। সময় করে এসে টাকা দিয়ে সেটি শুধু কিনে নিলেই হবে। লাইনে দাঁড়ানোর দরকার নেই।
বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির (এলওসি) টিকিট ও সিটিং কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রতিটি ম্যাচে এই ‘সৌভাগ্যবান’দের সংখ্যা হবে অন্তত ৭৪৪১! অর্থাৎ, প্রতি ম্যাচের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টিকিট থাকবে সাধারণ দর্শকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় একই অবস্থা হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ম্যাচ দুটিতেও।
৭৪৪১টি টিকিটের মধ্যে আইসিসির ১২৭০টি ছাড়াও সৌজন্য টিকিট আছে আরও ২৫১১টি। এ ছাড়া ‘বিশেষ সুবিধায় কেনা’র সুযোগ দিয়ে বিক্রি হবে আরও ৩৬৬০টি টিকিট।
২৫৫০৯ জন দর্শক ধারণক্ষমতার মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় প্রতি ম্যাচে সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৫ হাজারের মতো। এর সঙ্গে ওই ৭৪৪১টি টিকিট, আগেই অনলাইনে বিক্রি হওয়া ৫ শতাংশ টিকিট এবং হসপিটালিটি বক্সের ৪৮২টি আসন যোগ করলেও আরও অন্তত ১৩১৬টি টিকিট থেকে যাওয়ার কথা। এলওসির টিকিট ও সিটিং কমিটির প্রধান বিসিবির পরিচালক জি এস হাসান তামিম অবশ্য বলেছেন, ‘সব টিকিটের সংখ্যাই কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। কোনোটাই এখনো চূড়ান্ত নয়।’
প্রতি ম্যাচে ২৫১১টি সৌজন্য টিকিট বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে দেশের সব মন্ত্রী, সাংসদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, সব মন্ত্রণালয় ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, দূতাবাস, বিসিবি ও অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তা, বিওএ, বিসিবির কাউন্সিলর, জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে। এর মধ্যে প্রতি ম্যাচে ভিআইপি গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকিট থাকবে ১১৩৩টি, ক্লাব হাউস (উত্তর) ৫৩০টি, ক্লাব হাউস (দক্ষিণ) ২৭টি, আন্তর্জাতিক গ্যালারি ১০৪টি, উত্তর গ্যালারি ১৭৩টি, দক্ষিণ গ্যালারি ২০টি এবং সাধারণ গ্যালারি ৫২৪টি। বিভিন্ন শ্রেণী মিলিয়ে শুধু বিসিবির সভাপতি ও পরিচালকদের জন্যই সৌজন্য টিকিট থাকছে ম্যাচপ্রতি ২৭২টি করে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে প্রতি ম্যাচের ১২২টি টিকিট।
বিশেষ সুবিধায় বিক্রির টিকিটের মধ্যে ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (ক্লাবপ্রতি ৩০টি) এবং প্রথম (ক্লাবপ্রতি ২৫টি), দ্বিতীয় (ক্লাবপ্রতি ২০টি) ও তৃতীয় বিভাগ (ক্লাবপ্রতি ২০টি) ক্রিকেটের ৭২টি ক্লাবের জন্য বরাদ্দ ১৭৪০টি টিকিট। দেশের ৬৪টি জেলা ও ছয় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা মিলিয়ে ‘বিশেষ সুবিধায়’ কিনতে পারবে আরও ১৯২০টি টিকিট। বিক্রি শুরু হলে এসব টিকিট বিসিবি থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সৌজন্য টিকিট’ বা বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি হতেই পারে। কিন্তু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই যখন এই ‘সৌভাগ্যবান’দের ভাগে চলে যায়, সাধারণ দর্শকদের হাহাকার কেবলই বাড়ে। বিশ্বকাপে এই হাহাকার বেশি শোনা যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি ৬২টি জেলায়। এসব জেলার প্রতিটিতে ম্যাচপ্রতি টিকিট বিক্রি হবে মাত্র ১০৮টি করে! বুথের জন্য নির্দিষ্ট টিকিটের বাকি প্রায় সাড়ে আট হাজার ভাগ হয়ে বিক্রি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বুথগুলোতে।
এলওসি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় সিটি ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বনানী, ধানমন্ডি, ইসলামপুর রোড, নিউ মার্কেট, উত্তরা, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, মৌচাক ও ইমামগঞ্জ শাখায় বিক্রি হবে বিশ্বকাপের টিকিট। এ ছাড়া চট্টগ্রামের নিজাম রোড, পাহাড়তলী, জুবিলি রোড, চকবাজার ও আন্দরকিল্লা শাখায়ও বুথ বসবে। তবে সারা দেশেই সিটি ব্যাংক ছাড়া আরও একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকেও বিক্রি হতে পারে টিকিট। কালও এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল।
ব্যাংক আর বুথ বাড়লেও টিকিট কিন্তু বাড়ছে না। বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে হাহাকারটা থাকছেই।
থার্টি ফার্স্ট নাইটটা এবার বিশ্বকাপের কোনো টিকিট বুথের সামনে দাঁড়িয়ে উদ্যাপন করে ফেলাই ভালো। পরদিন ১ জানুয়ারি টিকিট বিক্রি শুরু। সাধারণ দর্শকদের জন্য সেই টিকিটের সংখ্যা এতটাই নগণ্য যে, সকালে নাশতা সেরে টিকিট কিনতে যাওয়াটা হবে বিশ্বকাপ বিসর্জন দেওয়ার মতো ব্যাপার।
তবে বিশ্বকাপের টিকিট কেনার জন্য সবাইকে এই কষ্টটুকু করতে হবে না। কারও কারও ঘরেই হয়তো পৌঁছে যাবে টিকিট। আবার কেউ ঘরে বসে সেটা না পেলেও বিসিবির অফিসে তাঁদের টিকিটটি রেখে দেওয়া হবে সযত্নে। সময় করে এসে টাকা দিয়ে সেটি শুধু কিনে নিলেই হবে। লাইনে দাঁড়ানোর দরকার নেই।
বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির (এলওসি) টিকিট ও সিটিং কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রতিটি ম্যাচে এই ‘সৌভাগ্যবান’দের সংখ্যা হবে অন্তত ৭৪৪১! অর্থাৎ, প্রতি ম্যাচের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টিকিট থাকবে সাধারণ দর্শকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় একই অবস্থা হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ম্যাচ দুটিতেও।
৭৪৪১টি টিকিটের মধ্যে আইসিসির ১২৭০টি ছাড়াও সৌজন্য টিকিট আছে আরও ২৫১১টি। এ ছাড়া ‘বিশেষ সুবিধায় কেনা’র সুযোগ দিয়ে বিক্রি হবে আরও ৩৬৬০টি টিকিট।
২৫৫০৯ জন দর্শক ধারণক্ষমতার মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় প্রতি ম্যাচে সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৫ হাজারের মতো। এর সঙ্গে ওই ৭৪৪১টি টিকিট, আগেই অনলাইনে বিক্রি হওয়া ৫ শতাংশ টিকিট এবং হসপিটালিটি বক্সের ৪৮২টি আসন যোগ করলেও আরও অন্তত ১৩১৬টি টিকিট থেকে যাওয়ার কথা। এলওসির টিকিট ও সিটিং কমিটির প্রধান বিসিবির পরিচালক জি এস হাসান তামিম অবশ্য বলেছেন, ‘সব টিকিটের সংখ্যাই কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। কোনোটাই এখনো চূড়ান্ত নয়।’
প্রতি ম্যাচে ২৫১১টি সৌজন্য টিকিট বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে দেশের সব মন্ত্রী, সাংসদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, সব মন্ত্রণালয় ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, দূতাবাস, বিসিবি ও অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তা, বিওএ, বিসিবির কাউন্সিলর, জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে। এর মধ্যে প্রতি ম্যাচে ভিআইপি গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকিট থাকবে ১১৩৩টি, ক্লাব হাউস (উত্তর) ৫৩০টি, ক্লাব হাউস (দক্ষিণ) ২৭টি, আন্তর্জাতিক গ্যালারি ১০৪টি, উত্তর গ্যালারি ১৭৩টি, দক্ষিণ গ্যালারি ২০টি এবং সাধারণ গ্যালারি ৫২৪টি। বিভিন্ন শ্রেণী মিলিয়ে শুধু বিসিবির সভাপতি ও পরিচালকদের জন্যই সৌজন্য টিকিট থাকছে ম্যাচপ্রতি ২৭২টি করে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে প্রতি ম্যাচের ১২২টি টিকিট।
বিশেষ সুবিধায় বিক্রির টিকিটের মধ্যে ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (ক্লাবপ্রতি ৩০টি) এবং প্রথম (ক্লাবপ্রতি ২৫টি), দ্বিতীয় (ক্লাবপ্রতি ২০টি) ও তৃতীয় বিভাগ (ক্লাবপ্রতি ২০টি) ক্রিকেটের ৭২টি ক্লাবের জন্য বরাদ্দ ১৭৪০টি টিকিট। দেশের ৬৪টি জেলা ও ছয় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা মিলিয়ে ‘বিশেষ সুবিধায়’ কিনতে পারবে আরও ১৯২০টি টিকিট। বিক্রি শুরু হলে এসব টিকিট বিসিবি থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সৌজন্য টিকিট’ বা বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি হতেই পারে। কিন্তু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই যখন এই ‘সৌভাগ্যবান’দের ভাগে চলে যায়, সাধারণ দর্শকদের হাহাকার কেবলই বাড়ে। বিশ্বকাপে এই হাহাকার বেশি শোনা যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি ৬২টি জেলায়। এসব জেলার প্রতিটিতে ম্যাচপ্রতি টিকিট বিক্রি হবে মাত্র ১০৮টি করে! বুথের জন্য নির্দিষ্ট টিকিটের বাকি প্রায় সাড়ে আট হাজার ভাগ হয়ে বিক্রি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বুথগুলোতে।
এলওসি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় সিটি ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বনানী, ধানমন্ডি, ইসলামপুর রোড, নিউ মার্কেট, উত্তরা, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, মৌচাক ও ইমামগঞ্জ শাখায় বিক্রি হবে বিশ্বকাপের টিকিট। এ ছাড়া চট্টগ্রামের নিজাম রোড, পাহাড়তলী, জুবিলি রোড, চকবাজার ও আন্দরকিল্লা শাখায়ও বুথ বসবে। তবে সারা দেশেই সিটি ব্যাংক ছাড়া আরও একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকেও বিক্রি হতে পারে টিকিট। কালও এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল।
ব্যাংক আর বুথ বাড়লেও টিকিট কিন্তু বাড়ছে না। বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে হাহাকারটা থাকছেই।
No comments